অবশেষে ঢাকা বারের ভোট গণনা শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাকা আইনজীবী সমিতি

ঢাকা আইনজীবী সমিতি

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ২৮ ঘণ্টা পর শুরু হলো দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম বার খ্যাত ঢাকার আইনজীবী সমিতির ২০২০-২১ মেয়াদে দুই দিনব্যাপী কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের ভোট গণনা।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার পর ভোট গণনা শুরু হয়।

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুইদিন ব্যাপী ভোটগ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।

শুক্রবার সকালে ভোট গণনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিকেল ৩টায় ভোট গণনা শুরু হলেও মাত্র ১০ মিনিট পর বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকা বারের সাবেক এজিএস তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বার্তা২৪.কমকে জানান, বিকেল ৩টায় ভোট গণনা শুরু হলেও অপর্যাপ্ত পর্যবেক্ষকের কারণ দেখিয়ে ১০ মিনিট পর ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

রাত ৮টায় নির্বাচন কমিশনার নজরুল ইসলাম শামীম মাইকে ঘোষণা দেন রাত সাড়ে আটটায় ভোট গণনা শুরু হবে। তবে নির্ধারিত সময়েও ভোট গণনা শুরু হয়নি। অবশেষে রাত ৯টা ৫ মিনিটে ভোট গণনা শুরু হয়।

এর আগে দুই দিনে ১৮ হাজার ১৪৮ ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ২৯৯ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। মাঝে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ১ ঘণ্টা নামাজ ও খাবারের বিরতির পর বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল থেকে ২৩ জন ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে ২৩ জন মোট ৪৬জন প্রার্থী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গতবছরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তাই এবার আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির পরাজিত প্রার্থীই এবার দ্বিতীয় বারের মতো মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ফলে এবার নতুন ও পুরাতনের জমজমাট লড়াই আশা করছেন সাধারণ আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. আহসান তারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে বিএনপি সমর্থত নীল প্যানেলের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গতবারের পরাজিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. হোসেন আলী খান হাসান।

বিগত বছরগুলোতে ১২টি সম্পাদকীয় পদসহ মোট ২৭জন করে প্রার্থী থাকলেও এবার সদস্য পদসংখ্যা ১৫ থেকে কমিয়ে ১১ জন করা হয়েছে। ফলে কার্যকরি কমিটির ২৩টি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।

এবছর সমিতির সদস্য সংখ্যা ২৫ হাজার ১৬৪ জন। তবে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার ১৫০ জন।

সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুন্সি ফখরুল ইসলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১০ জন কমিশনার এবং ১০০জন সদস্য নিয়ে মোট ১১১ জন বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

সাদা প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. আবদুল কাদের, সহ-সভাপতি পদে মো. ইমাম হোসেন মঞ্জু, ট্রেজারার পদে মো. আনিসুর রহমান আনিস, সিনিয়র সহ- সাধারণ সম্পাদক পদে একেএম হাবিবুর রহমান চুন্নু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সিকদার মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান হিমেল, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে মো. আতাউর রহমান খান (রুকু), সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তাসলিমা আক্তার রীতা, অফিস সম্পাদক পদে আবা খালেদ মাহমুদ দাইয়ান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে সাইফুল ইসলাম সুমন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে শায়লা পারভিন পিয়া, সদস্য পদে এএইচএম শফিকুল ইসলাম সোহাগ, মো. বাহারুল ইসলাম বাহার, অ্যাডভোকেট মো. মাসুম মৃধা, মো. সাব্বির হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মো. মেহেদী হাসান মেরিন, মো. রমজান আলী সরদার রানা, এবিএম ফয়সাল সারোয়ার, মো. মাইন উদ্দিন, সুলতানা রাজিয়া রুমা এবং ইমতিয়াজ আহমেদ প্রিন্স।

নীল প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি পদে মো. আনিসুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ পদে আব্দুল আল মামুন, সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদক নিহার হোসেন ফারুক, সহ-সাধারণ সম্পাদক শাকায়েত উল্লাহ ভূইয়া (ছোটন), লাইব্রেরী সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে হাবিবা কাদের মিলি, অফিস সম্পাদক পদে এইচএম মাসুম, ক্রীড়া সম্পাদক মনিরুল ইসলাম আকাশ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাহবুবু হাসান রানা, সদস্য পদে মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ (শামীম), মোছা. তাছলিমা আক্তার, কাজী আফরোজা সুলতানা (ইভা), ইয়াছিন মিয়া, মো. আব্দুল বাসেত রাখী, আজহার উদ্দিন রিপন, এমআরকে রাসেল, মো. তানভীর হাসান সোহেল, মো. হোসনী মোবারক, বাবুল আক্তার বাবু ও সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া (জাদু)।

উল্লেখ্য, গত ২০১৯-২০২০ নির্বাচনে ২৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮টি পদে এবং নীল প্যানেল ৩টি সম্পাদকীয় পদসহ ৯টি পদে জয়লাভ করে।

   

গয়েশ্বর-কায়সার কামালের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে পল্‌টন থানার চার ও রমনা থানার দুই মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গয়েশ্বরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে এদিন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানি শেষে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

;

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;