সাইনাসের সংক্রমণ এড়াতে করণীয়
সাইনাস বা সাইনোসাইটিস মূলত এক ধরণের অনুনাসিক সমস্যা। মৌসুম যাই হোক সময় মতো ভাল চিকিৎসা না করালে সাইনাসের সংক্রমণ আপনার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। শীতল আবহাওয়া, ধূলিকণার কারণে সৃষ্ট অ্যালার্জি এই সমস্যাটির অন্যতম কারণ। সাইনাসের লক্ষণ ব্যাক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। নাকের ভেতরে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা , তীব্র মাথাব্যাথা এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
পুষ্টিবিদ ডাক্তার লোভনিত বাতরা বলেছেন, খাদ্য স্বাস্থ্যের সমস্যাকে ঠিক রাখতে এবং বাড়িয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যদি আপনি এমন কিছু খান যা আপনার সাইনাসের লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে তোলে।
তিনি আরও বলেন, আপনার যদি সাইনোসাইটিস থাকে তবে আপনি এই সাতটি খাবার থেকে দূরে থাকুন-
১. দই:
পেটের জন্য দই দুর্দান্ত খাবার তবে আপনার যদি সাইনাস থাকে তবে তা বিপদজনক। দই খেলে সর্দি ও কফ বেড়ে যায় ফলে সাইনাসের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। যদি আপনি দই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে চান তবে রাতে খাওয়া এড়ানো উচিত।
২. কলা:
কলা কফের বৃদ্ধি প্রভাবিত করে এবং সর্দি বাড়িয়ে তোলে। বিশেষত শীতকালে সাইনোসাইটিস রোগীদের রাতে কলা খাওয়া উচিত নয়। এটি আপনার অনুনাসিক গহ্বর আটকে রাখে ফলে শ্বাসকষ্ট নিতে সমস্যা হয়।
৩. ভাত:
ডাঃ বাতরার মতে, আপনি আপনার চাল কীসের সাথে মিলিত করছেন তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। আপনি যদি দই দিয়ে ভাত খান, তবে এটি প্রদাহ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৪. ওয়াইন:
আপনি যখন ওয়াইন পান করেন তখন আপনার দেহ হিস্টামিন নিসৃত করে। এর ফলে নাক বন্ধ বাড়তে থাকে। ফলে সাইনাসের লক্ষণগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
৫. টমেটো:
টমেটো খেলে জ্বালাপোড়া বাড়ে, যদিও এটি ব্যাক্তিভেদে নির্ভর করে। ডাঃ বাতরার সতর্ক করেছেন, আর্থ্রাইটিস রোগীদের অবশ্যই কাঁচা টমেটো এড়ানো উচিত, কারণ কাঁচা টমেটো প্রদাহ বৃদ্ধি করে।
৬. লাল মাংস:
লাল মাংস প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। উচ্চ প্রোটিনের ফলে শরীরে শ্লেষ্মা জমে যায়। ফলে এটি সাইনাসের লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তোলে।
৭. আমলা:
সন্দেহ নেই, আমলা একটি সুপারফুড তবে আপনার যদি সাইনাস থাকে তবে তা বিপদজনক। আমলার রস খাওয়া বা পান করার পরে গলাতে চুলকানি হতে পারে। যা সাইনোসাইটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।