দামী পোশাকের যত্নে

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পোশাকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়। ছবি: সংগৃহীত

পোশাকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়। ছবি: সংগৃহীত

দামী সিল্কের শাড়ি বা পোশাক বিশেষ অনুষ্ঠান বা পার্টি ছাড়া পরা হয় না। এজন্য দামী পোশাক আলমারির অন্ধকূপ থেকে খুব সহজে বের হয় না। কিন্তু সিল্ক, তসর, লিনেন বা সুতির মতো প্রাকৃতিক ফাইবারের শ্বাস নেওয়ার প্রয়োজন হয়। মাসখানেক পরে থাকলে ফ্যাব্রিকের খুব একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু অনিশ্চিত ভাবে পরে থাকলে কাপড়চোপড়ের যত্নের ব্যবস্থাটাও করা উচিত।

পোশাকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় বর্ষাকালের স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায়। সিন্থেটিক ফ্যাব্রিকের গায়ে ব্যাক্টেরিয়া বা ফাঙ্গাস জন্মায় না। কিন্তু সিল্ক, সুতি বা তসর অনেকদিন নাড়াচাড়া না হয়ে পড়ে থাকলে তার তন্তুর গায়ে জীবাণু জন্মাবে। সবচেয়ে তাড়াতাড়ি সিলভার ফিশ লাগে সিল্কের গায়ে। কারণ সিল্কের তন্তুর মধ্যে থাকে প্রাণিজ প্রোটিন, সেগুলি আবার ওই পোকার প্রিয় খাদ্য। তাই বর্ষা শুরুর আগে আর পরে জামাকাপড় রোদে দেওয়ার পরম্পরা তো আছে। রোদের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি পোশাক জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞাপন

যে কোনও দামী পোশাকের ক্ষেত্রেই মাঝে মাঝে ভাঁজ বদলে দেওয়া দরকার। কারণ ভাঁজের মাঝে মাঝে ধুলো বাসা বাঁধে এবং সেই বরাবর ফ্যাব্রিক চিড় খেয়ে যায়। এই জন্য সময় সু্যোগ পেলেই পোশাক বের করে ফেলুন আলমারি থেকে। ভাঁজ খুলে ভালো করে ঝেড়ে নিন নরম কোনও ব্রাশ দিয়ে। তার পর রোদে রাখুন। রোদ থেকে তুলে ভাঁজ বদলান এবং একেবারে ঠান্ডা করে নিয়ে ফের আলমারিতে তুলুন। সেই সঙ্গে আলমারিতে রাখুন জীবাণুনাশক ওষুধপত্র। অনেকে নিমপাতার উপরেও আস্থা রাখেন। সেটাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।