চল্লিশ পরবর্তী সাজ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খেয়াল রাখুন যেন পোশাক হয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই। ছবি: সংগৃহীত

খেয়াল রাখুন যেন পোশাক হয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চল্লিশ পেরোলেই চালশে। সাজে আর মন দেবেন না ভাবছেন? বরং উল্টোটাই করুন। আরও একটু বেশি মন দিন পোশাকে। বয়সের সঙ্গে বেশ বদলানো মন্দ নয়। তবে এখন ৪০ এমন কোনও বয়সও নয়। শুধু খেয়াল রাখুন যেন পোশাক হয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই। কারণ, জীবনের এই সময়ে অধিকাংশ আধুনিকাই সাজের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে পছন্দ করেন। সেই মতো এই ৩টি জিনিস সব সময়ে প্রস্তুত রাখুন নিজের ঘরে।

সাদা শার্ট

একটা লম্বা হাতার সাদা শার্ট অফিসের বৈঠক থেকে নৈশভোজ সবেতে মানানসই। বাকি সাজটা প্রয়োজন মতো বদলে ফেললেই হল। যেমন সাদা শার্টের সঙ্গে মানানসই একটি পেন্সিল স্কার্ট কিংবা কালো প্যান্টস। তার সঙ্গে মানিয়ে নানা রঙের পুঁতির একটি হার পরে নিলে তো আর কথাই নেই।

একরঙা শাড়ি

হ্যান্ডলুম সুতি কিংবা সিল্ক, শাড়িটা হোক একরঙা। চেকস্‌, স্ট্রাইপস্‌, ছাপা, সবই পরতে পারেন। তবে কয়েকটি একরঙা শাড়ি যে কোনও অনুষ্ঠানে মুশকিল আসান করে দেয়। কারণ, যে কোনও একরঙা শাড়ির সঙ্গে নিজের রুচি মতো গয়না মানিয়ে যায়। যে জায়গায় নিজেকে যেমন ভাবে প্রকাশ করতে চান, তেমনটাই দেখাবে। ইচ্ছেমতো ব্লাউজ বানানোরও সুবিধে থাকে এ ক্ষেত্রে। ফলে সহজ মনে হয় ৪০-এর ওপারের সাজ!

চামড়ার চটি

রকমারি জুতো-চটি কিনতেই পারেন। কিন্তু একটা কালো কিংবা বাদামি রঙের ভারী চামড়ার চটি বুঝিয়ে দেয় ব্যক্তিত্বের গুরুত্ব। ৪০ পরবর্তী বয়সে যে সব জায়গায় আমন্ত্রণ আসে, সেখানে ব্যক্তিত্বের ভার চোখে পড়লে মন্দ হয় না। চামড়ার জিনিস সেই ভারটা বজায় রাখতে সক্ষম। কোনও নতুন জায়গায় পা ফেলা মাত্র, তা নজর কাড়তে পারে চারপাশের মানুষজনের।

ওজন কমবে মেথির গুণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় দেখেই হাত নিশপিশ করে, তবে কেনার আগেই মাথায় শত চিন্তা আসে! যা ভুঁড়ি হয়েছে, তাতে পোশাকগুলি পরলে আদৌ মানাবে তো? রোগা হতে গেলে তো ভারী কসরত করতে হবে, আর ওতেই যে বড্ড অনীহা! রোগা হতে গেলে যে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা একেবারেই নয়। রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করে আর খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলেই কিন্তু ওজন কমানো যায়। এর পাশাপাশি কিছু মশলার গুণেও কিন্তু ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা যায়। মেথিরও সেই গুণ রয়েছে।

মেথি চা

চা তো খান রোজ, এ বার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও হবে। স্বাদে তেঁতো হলেও কাজ দেবে ষোলো আনা। একেবারেই খেতে না পারলে, চায়ে যোগ করে দিন এলাচ কিংবা আদা।

কী করে বানাবেন? ফুটিয়ে তাতে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে দিন। তার পর চা ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন কিছুক্ষণ। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।

মেথির পানি

ঠাকুরমা-দিদিমারা পেট গরম হলেই মেথির পানি খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয় এই পানীয়।

অঙ্কুরিত মেথি

ভিটামিন ও নানা খনিজপদার্থে ভরপুর মেথিবীজ হজমে সাহায্য করে। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে পানি দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।

মেথি গুঁড়ো

মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমায়। বাজার চলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। এই পানিতে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।

;

চা-কফির নেশা কাটাবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই সময়ে চা কিংবা কফিতে চুমুক না দিলে যে খুব ক্ষতি হবে, তা নয়। কিন্তু কোনও মতেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বা সারা দিনে কাজের মাঝে অগুণতি বার কফি পান করলে এই গরমে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে কফি পান করলে কর্টিজলের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণ এই হরমোনটি। তাই যদি চা-কফি পানে লাগাম টানতে চান, তিন পন্থা অবলম্বন করে দেখতেই পারেন।

শরীরচর্চায় মন দিন

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরচর্চা করতে শুরু করলে অনেক সময় চা বা কফির নেশা কমতে শুরু করে। কারণ, প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদদের দেওয়া খাবার তালিকায় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের মাত্রায় হ্রাস টানতে বলা থাকে।

এমন মানুষদের সঙ্গে মিশুন যারা চা বা কফি পান করেন না

কথায় বলে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস। সত্যিই যদি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে এমন মানুষদের সঙ্গ নিন, যারা কথায় কথায় চা, কফি পান করেন না।

চা, কফির বদলে স্বাস্থ্যকর পানীয়র অভ্যাস করুন

যখনই চা বা কফি পান করতে ইচ্ছে করবে তখন এমন কোনও পানীয় খেতে চেষ্টা করুন, যা স্বাস্থ্যকর। অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা চা বা কফি পান করে থাকেন। তার বদলে ফলের রস, স্বাস্থ্যকর শরবত খেতে পারেন।

;

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমায় যেসব অভ্যাস



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। দিনের পর দিন এই অভ্যাসগুলোর কারণেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছি আমরা। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস বাদ দিলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে।

১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা 

অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। এই বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর করে দেয়। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।

২. উচ্চশব্দে গান শোনা

কানে বড় হেডফোন গুজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে এক জনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম

অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানা দিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখা— সব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যায় পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলি, অন্য কাজেও মনোযোগ কম দিই, ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

৪. অতিরিক্ত একা থাকা

এখন আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার হাজার হলেও নিজ জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যারা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তারা। এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তারা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

৫. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া

অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে বার্গার, ভাজাভুজি, আলুর চিপ্‌স বা নরম পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্য দিকে, সবুজ শাকসব্জি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।

;

ঘরোয়া উপায়ে র‍্যাশের রাশ টানুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমকালে অতিরিক্ত ঘামের ফলে বড়দের গায়ে র‍্যাশ, ঘামাচি হয়। সারাক্ষণ ডায়াপার পরলে গরমকালে শিশুদের ত্বকেও নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। অথচ ডায়াপার না পরালেও নয়। রাতে ঘুমোনোর সময়ে বার বার পোশাক, বিছানা ভিজিয়ে ফেললে ঝামেলায় পড়তে হয় মা-বাবাকে। তাই দিনের বেশির ভাগ সময়ে ডায়াপার পরিয়ে রাখলে অভিভাবকেরা অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।

তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, গরমকালে ডায়াপার পরলে অনেক শিশুরই ত্বকে র‍্যাশ হয়। তা নিয়ে চিন্তার বিশেষ কোনও কারণ নেই। ঘরোয়া কিছু টোটকাতেই এই সমস্যা সমাধান করা যায়।

নারকেল তেল

নারকেল তেলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণাগুণ ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। পাশাপাশি এই তেলের অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল যৌগগুলি ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হতে দেয় না।

অ্যালোভেরা

কাটা, ছড়া, পুড়ে যাওয়া— যে কোনও সমস্যায় অ্যালোভেরা দারুণ কাজ করে। শিশুদের ত্বকের যে কোনও সমস্যায় ব্যবহার করা যায় এই ভেষজ। অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ ত্বকের যে কোনও প্রকারের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। তবে গাছ থেকে পাতা কেটে সরাসরি এই জেল শিশুর ত্বকে না মাখানোই ভাল।

ওটসের গুঁড়ো

ওটসের গুঁড়োর সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিন। শিশুকে স্নান করানোর আগে তার গায়ে এই মিশ্রণ ভাল করে মাখিয়ে দিন। হালকা হাতে ঘষে নিয়ে পানি ঢেলে ধুয়ে ফেলুন। ডায়াপার থেকে হওয়া র‌্যাশ, ঘামাচি দূর হবে সহজেই।

;