ছোট বারান্দার সাজ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফ্ল্যাটের এক চিলতে বারান্দার সাজ বদল করা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত

ফ্ল্যাটের এক চিলতে বারান্দার সাজ বদল করা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনকার বাড়িতে বেশিরভাগই ছোট বারান্দা। টানা লম্বা বারান্দা এখন পাওয়া দুষ্কর। তাই ছোট বারান্দাতেই সখ মেটাতে হয়। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আপনার ফ্ল্যাটের এক চিলতে বারান্দার সাজ বদল করা সম্ভব। জেনে নিন কিছু সহজ উপায়।

দেওয়াল ব্যবহার করুন

বারান্দা ছোট হলে বারান্দার দেওয়ালগুলো ব্যবহার করুন। ছবি, আয়না বা ঘর সাজানোর জিনিস দিয়ে সাজাতে পারেন বারান্দার দেয়াল। দেওয়াল জুড়ে ঝোপের মতো বড় হবে এই ধরনের গাছ রাখতে পারেন। তাহলে বাগানের একটা আমেজ পাওয়া যাবে।

বসার ব্যবস্থা করুন

বারান্দায় বসে গল্প করতে বা চা-কফি খেতে কার না ভাল লাগে। তাই একটা বসার ব্যবস্থা অবশ্যই করবেন। ছোট্ট টেবিল আর দু’টো চেয়ার রাখতে পারেন। খুব ছোট জায়গা হলে ফোল্ডিং চেয়ার-টেবিল কিনুন। যদি মনে হয়, তাতেও অসুবিধা হচ্ছে, তাহলে আরও একটা উপায় আছে। মাটিতে পাতার বড়সড় কুশন পাততে পারেন। সেগুলোর কভার মাঝে মাঝে বদল করলে বারান্দার সাজও বদলে যাবে।

গাছ লাগান

সবুজে মুড়ে দিন বারান্দার ধারগুলো।বেশি জায়গা না হলে নানা আকারের রংবেরঙের ঝোলানো টব রাখুন

আলো দিয়ে সাজান

কৃত্রিম মোমবাতি দিয়ে সাজাতে পারেন বারান্দা।বিশেষ দিনে পছন্দের মানুষের সঙ্গে রোম্যান্টিক ডিনারের আয়োজনও হয়ে যাবে আপনার প্রিয় বারান্দাতেই।

বাগানের মতো

কৃত্রিম ঘাস লাগিয়ে অনেকেই এখন বারান্দাটা বাগানের মতো সাজান। পুরোটা না করলেও একদিকটা এভাবে সাজাতে পারেন। পাশে নুড়ি পাথর ছড়িয়ে দিন। বসার জায়গায় কার্পেট বা ডোরি পেতে দিন। একঘেয়েমি কাটবে।

দীর্ঘদিন একই গ্লাসে পানি পান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতে ঘুমের ঘোরে পানি তেষ্টা পায় অনেকেরই। মাঝেমাঝেই উঠে পানি খেতে হয়। তাই সুবিধার জন্য খাটের পাশের টেবিলেই পানির গ্লাস রেখে দেন অনেকে। বিছানা থেকে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। ঘুম চোখে আর উঠতে হয় না। প্রতি দিনই রাতে শুতে যাওয়ার আগে মনে করে গ্লাসে পানি ভরেন। কিন্তু গ্লাসটি পরিষ্কার করেন কি? একই গ্লাসে পর পর দু’সপ্তাহে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা সে তথ্যই দিচ্ছে।

শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম শর্ত হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া। তবে শুধু পানি খেলেই হবে না। কোন পাত্রে পানি খাচ্ছেন, সে বিষয়েও নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্লাস্টিকের বোতলে পানি খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। তাতে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। নানা কঠিন রোগের ঝুঁকিও থাকে। তেমন একই গ্লাসে দীর্ঘ দিন ধরে পানি খেলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কাচের গ্লাস হলেও প্রতি দিন তাতে পানি ভরার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিন।

গ্লাস হোক কিংবা বোতল, নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া জমতে বাধ্য। দীর্ঘদিন সেই ভাবে ফেলে রাখলে সেই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলো আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেগুলো পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা তৈরি করে। বমি, ডায়েরিয়া, পেটের সংক্রমণের মতো কিছু রোগ দেখা দিতে পারে। বেশি করে পানি খেয়েও রোগের সঙ্গে লড়াই করা মুশকিল হবে।

ধুতে হবে বলে নিয়মরক্ষা করার জন্য পানি দিয়ে গ্লাস ধুয়ে রেখে দিলে কিন্তু হবে না। তরল সাবান অথবা অন্য কোনও কিছু দিয়ে সঠিক পদ্ধতি মেনে গ্লাস পরিষ্কার করতে হবে। ঘষে ঘষে না মাজলে গ্লাসের ব্যাকটেরিয়াগুলো সহজে যাবে না।

আরও বেশি সতর্ক থাকতে গ্লাসে পানি ঢালার পর ঢেকে রাখুন। বাতাসেও ব্যাকটেরিয়া ভেসে বেড়ায়। সেগুলো পানির সংস্পর্শে আসতে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই। যদি গ্লাসে পানি ঢালার কিছুক্ষণ পর খাবেন বলে মনস্থির করেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই গ্লাস ঢাকা দিয়ে রাখুন।

;

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীরা যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায় রোজা রাখবেন। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত উপবাসী থাকাই হল রোজা রাখার নিয়ম। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না, যে ডায়াবেটিস থাকলে রোজা রাখা যায় কি না।

রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে খাওয়াদাওয়ার উপর বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। কারণ কী খাচ্ছেন এবং কখন খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে রক্তে ডায়াবেটিসের মাত্রা ওঠানামা করবে কি না। বিশেষ করে ডায়াবেটিকদের খালি পেটে থাকতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়াদাওয়া করা ডায়াবেটিস রোগের অন্যতম ওষুধ। সে জন্য ডায়াবেটিস থাকলে রোজা রাখার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেহরি এবং ইফতারের ডায়েট হতে হবে স্বাস্থ্যকর। না হলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা হাইপারগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই রোজায় সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীরা কোন বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন?

স্বাস্থ্যকর সেহরি

দিনের শুরুতে সূর্য ওঠার আগেই খাবার খেয়ে নিতে হয়। এই সময় এমন কিছু খাবার খান যাতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরতে থাকে। সারা দিন শরীর আর্দ্র রাখবে, এমন কিছু খাবার খান। পানি আছে, এমন ফল বেশি করে খান। ডাবের পানি, লেবুর রসও খেতে পারেন। সারা দিন যেহেতু চাইলেও পানি খেতে পারবেন না, তাই বেশ কিছুটা পানিও খেয়ে নিন।

জিআই-এর পরিমাণ কম এমন খাবার কম

গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম, এমন খাবার বেশি করে খান। জিআই বেশি থাকে যে খাবারে, সেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। কার্বোহাইর্ড্রেট, ফাইবার আছে এমন খাবারও খেতে পারেন। খাবার যা-ই হোক, পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয়। একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে নিলে সমস্যা হতে পারে।

ডায়াবেটিসের মাত্রা মাপা জরুরি

প্রতি দিন এক বার করে ডায়াবেটিসের মাত্রা মেপে নিন। একটু হলেও খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম হয় এই সময়। তার প্রভাব পড়তে পারে ডায়াবেটিসের মাত্রার উপর। যদি দেখেন রক্তে শর্করার পরিমাণ খানিক বেশি, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

শরীরচর্চা এবং পর্যাপ্ত ঘুম

খাওয়াদাওয়ার অনিয়মের প্রভাব যাতে শরীরে না পড়ে, তার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস বজায় রাখুন। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়াও জরুরি। খুব সকালে যেহেতু উঠতে হয়, ফলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া জরুরি।

;

দুর্ঘটনা এড়াতে বন্ধ থাকা এসি চালুর আগে যা করবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধীরে ধীরে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। আর সেই গরম থেকে বাঁচতে অনেকেরই ভরসা এসি। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এসি। এখন তা চালানোর আগে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হয়। না হলে যন্ত্রের ক্ষতি তো হয়ই, এমনকি বিস্ফোরণের আশঙ্কাও থেকে যায়।

শীতে এসি বন্ধ থাকার পর, আবার সেই যন্ত্রটি চালানোর আগে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন থাকে। এসির মেশিনে বা ফিল্টারে ধুলো-ময়লা থাকলে যন্ত্রটি ঠান্ডা হতে চায় না। ধুলোর আস্তরণ পড়ে যন্ত্রের কম্প্রেসারটিও বিগড়ে যেতে পারে। আর কোন কোন কারণে এসি বিগড়ে যেতে পারে, তা জেনে রাখা প্রয়োজন।

>> অনেক পুরনো বা নিম্নমানের যন্ত্র ব্যবহার করলে, প্রচণ্ড গরমে ঘর ঠান্ডা করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তখন যন্ত্র বিকল হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

>> ঘরের আয়তন বুঝে এসি না কিনলেও এই ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে।

>> শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে আগুন লাগা বা বিস্ফোরণ ঘটার অন্যতম কারণ হল এসির গ্যাস লিক হওয়া। তাই বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর, আবার এসি চালাতে গেলে আগে গ্যাস লিক হচ্ছে কি না, তা দেখে নেওয়া উচিত।

>> একটানা অনেকক্ষণ এসি চালানোর ফলে যন্ত্রটির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। সেখান থেকেও অনেক সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে।

>> এসি-র ভিতরে কোনও বৈদ্যুতিক তার আলগা হয়ে গেলে, সেখান থেকেও বিপদ ঘটতে পারে।

;

বয়স ৩০ পেরোলেই নারীদের করাতে হবে যে ৫ স্বাস্থ্যপরীক্ষা!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবারের বাকি সদস্যদের স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা চিন্তিত থাকেন নারীরা, নিজেদের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে ততটাই অবহেলা তাদের। অথচ ঘরে, বাইরে, অফিসে, একা হাতে সবটাই সামলাতে হয়। শরীরের প্রতি দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর অযত্নের ফলে অজান্তেই জন্ম নেয় নানা ধরনে অসুখ।বয়স ৩০ পেরোলেই নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা শুরু হতে থাকে। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন বয়স তিরিশের কোঠা ছাড়ালেই স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই বয়সে করা জরুরি। কারণ শরীরে যদি কোনও সমস্যা থাকেও, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতেই ধরা গেলে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা যাবে।

ডায়াবেটিস

বয়স বাড়লেই ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থাকে, এই ধারণা কিন্তু ভুল। কমবয়সেও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই বয়স ৩০ পেরোলেই ৬ মাস অন্তর এক বার করে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।

থাইরয়েড এবং কোলেস্টেরল

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, নারীদের মধ্যে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই ৩০ পেরোনোর পর থাইরয়েড পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। তবে শুধু থাইরয়েড নয়, পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রাও ঠিক আছে কি না। সে ক্ষেত্রে বছরে অন্তত এক বার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করাতে হবে।

ক্যান্সার স্ক্রিনিং

অত্যন্ত দরকারি একটি পরীক্ষা। স্তন থেকে ডিম্বাশয়, এমনকি জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে নারীদের। তাই একটা বয়সের পর এই পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি।

হাড়ের স্বাস্থ্য

হাড় সংক্রান্ত নানা সমস্যা নিয়ে পুরুষের চেয়ে নারীর বেশি ভোগেন। হাঁটুতে ব্যথা, আর্থরাইটিস, গাঁটে গাঁটে ব্যথা— এই ধরনের সমস্যাগুলো নারীদেরই বেশি হয়। তাই ৩০ পেরোনোর পর ভিটামিন ডি৩ পরীক্ষা করানো জরুরি। এ ছাড়া শরীরের ক্যালশিয়ামের মাত্রা পর্যাপ্ত থাকছে কি না, সে ব্যাপারেও কড়া নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি যদি ইউরিক অ্যাসিডের পরীক্ষাও করিয়ে নিতে পারেন, তাহলে ভাল।

চোখের পরীক্ষা

যান্ত্রিক জীবনে কমবয়স থেকেই চোখের সমস্যা শুরু হওয়া অস্বাভাবিক নয়। একটু বয়স বা়ড়লে তো চোখের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি মাত্রায় সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তাই বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে চোখের পরীক্ষা করা জরুরি। পাওয়ার বেড়েছে কি না, চশমা নিতে হবে কি না, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন।

;