যে সকল ভুলে ঠোঁট কালো হয়
ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যায় কম-বেশি সবাই ভোগেন। লম্বা সময়ের অযত্ন, বেখেয়াল ও অসচেতনা থেকেই এই সমস্যাটি দেখা দেয়। আপনি ঠোঁটে কী ধরণের পণ্য ব্যবহার করছেন সেটার উপরে অনেকাংশে নির্ভর করে ঠোঁট কালো হওয়া ও না হওয়া। কারণ বেশিরভাগ পণ্যে বিশেষ ধরণের কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। যা ঠোঁটের কোমল ও পাতলা ত্বকের ক্ষেত্রে বেশ ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। ঠোঁটের কালো হওয়া রোধ করতে চাইলে এ ধরণের পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের ব্যবহার
ঠোঁটে শুধু লিপস্টিক নয়, লিপ বাম, চ্যাপস্টিক, এসেনশিয়াল অয়েলসহ ব্যবহার করা হয় হরেক পণ্য। এক্ষেত্রে পণ্যের মেয়াদ বেশ বড় ভূমিকা পালন করে এবং এ বিষয়ে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। মেয়াদ চলে যাওয়া পেট্রোলিয়াম জেলি, মিনারেল ও এসেনশিয়াল অয়েল, প্যারাবেনস,অক্সিবেনজোন, বুটিলেটেড হাইড্রোক্সায়ানিসোল (butylated hydroxyanisole) ঠোঁটের উপর দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয়। এ কারণে ঠোঁটের ব্যবহারে পণ্যে মেয়াদের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
ঠোঁটে আর্দ্রতার অভাব
যেহেতু ঠোঁটের ত্বক তুলনামূলক বেশি পাতলা হয়ে থাকে, তা সহজেই আর্দ্রতা হারিয়ে শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে ওঠে। এতে ঠোঁটের চামড়া ফেটে উঠে আসে। ঠোঁটের চামড়া এভাবে ফেটে যাওয়া ঠোঁটের কিছু স্থানে কালচে দাগ পড়ে যায়। এমন অবস্থা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে নিয়মিত ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজিং লিপবাম ব্যবহার করতে হবে।
ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাস
ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাস অনেকেরই থাকে। কোন কিছু চিন্তা করার সময়ে অবচেতনেই ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাসটি থেকে ঠোঁটের ত্বকের ক্ষতি হয়ে কালচে দাগ বসে যেতে পারে। তাই সযত্নে এই অভ্যাসটি ত্যাগের চেষ্টা করতে হবে।
রোদের আলো
রোদের আলোর ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি শুধু মুখ, হাত-পায়ের ত্বকের জন্যেই নয়, ঠোঁটের জন্যেও সমানভাবে ক্ষতিকর। এই রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব ঠোঁটকে সহজেই কালো করে দিতে পারে। এই সমস্যা এড়াতে রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন সমেত লিপবাম ব্যবহার করতে হবে।