সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামায় যেসব উপকার হয়
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2022/Dec/26/1672014815688.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
অনেকেরই ধারণা, জিমে গিয়ে ভারী ভারী ওজন তোলা অথবা ট্রেডমিলে দৌড়ে ঘাম ঝরানোই আদতে শরীরচর্চা। কিন্তু শরীরের বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার একমাত্র উপায় শুধুমাত্র জিম নয়। ফিটনেসবিদদের মতে, সুস্থ-সবল শরীর চাইলে নানা ধরনের শারীরিক কসরতই উপায়। হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা তার মধ্যে অন্যতম। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, মাংসপেশির গঠন এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে খুবই কার্যকর। বেশি ক্যালোরি ঝরানো এবং পেশির টোনিংয়ে সাহায্য করে এই কসরত। লিফট ব্যবহার না করে দিনের মধ্যে বার কয়েক খুব সাধারণ এই কসরত করলে হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়ে। হাঁটুর মাংসপেশি মজবুত হওয়ার পাশাপাশি এই অভ্যাসের আরও অনেক সুফল।
মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে
সকালে মাঠে দৌড়নো কিংবা জগিংয়ের চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশিগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধুমাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়ি চড়ার সময় আপনার গ্লুটস, কোয়াডস এবং হ্যামস্ট্রিং একসঙ্গে কাজ করে। মেদমুক্ত পেশির জন্য এই কসরত দারুণ উপকারী।
বাড়বে শরীরের ভারসাম্য
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় পায়ের স্থির পেশি, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার্থে একসঙ্গে কাজ করে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এই কসরতের ফলে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং হৃদস্পন্দন ঠিক থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল
শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটার ফলে হরমোন গ্রন্থি থেকে ভাল হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। মনমেজাজও ভাল থাকে।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ
দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন? তাহলে নিয়মিত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে দেখুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই কসরত বেশ উপকারী।