কোলেস্টেরল হয়েছে কি না বুঝে নিন জিভ দেখেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বয়স বাড়লে যে রোগগুলো বাসা বাঁধে শরীরে, সেই তালিকায় কোলেস্টেরল উপরের দিকে থাকে। তবে কোলেস্টেরল যে কোনও বয়সে শরীরে হানা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস, শরীরের প্রতি যত্ন না নেওয়া— এমন কিছু কারণেই কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আপনি কোলেস্টেরলে আক্রান্ত কি না, তা সব সময়ে বাইরে থেকে বোঝা যায় না। অনেক দিন ধরে কোলেস্টেরলের সঙ্গে বসবাস করার পরে হয়তো জানা যায়। তবে শরীরের কয়েকটি অঙ্গ কিছু ইঙ্গিত দেয়। যেগুলো দেখে খানিকটা হলেও বোঝা সম্ভব যে আপনি কোলেস্টেরলের শিকার কি না।

চোখ, পা তো রয়েছেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জিভের রং দিতে পারে কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত।

‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেডিসিন’ নামক মেডিকেল পত্রিকায় গবেষণা জানাচ্ছে, জিভের ডগা বেগুনি কিংবা নীলাভ বর্ণ হয়ে যাওয়া আসলে কোলেস্টেরলের লক্ষণ। জিভে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে এমন রং হয় মূলত। এটি ঘটে যখন রক্ত কোষগুলোর মাধ্যমে স্বতস্ফূর্ত ভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। এর ফলে রক্ত প্রবাহের গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। জিভের রং বেগুনি হয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ হতে পারে, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক ভাবে হচ্ছে না। ফলে শরীরের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় না।

তবে ঠোঁটের রং বেগুনি হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে যে একমাত্র কোলেস্টেরলের হাত রয়েছে, তা কিন্তু নয়। আরও বেশ কয়েকটি রোগের লক্ষণ হতে পারে বেগুনি রঙের জিভ। মুখের ক্যানসারের কারণও হতে পারে। এ ছাড়া, ভিটামিনের ঘাটতিও এর কারণ হতে পারে। তবে যে কারণেই হোক জিভের এই লক্ষণ দেখা দিলে এড়িয়ে চলবে না।

   

দু’চোখে ঘুম আনতে চুমুক দিন ভেষজ চায়ে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অফিসে কাজের চাপ, পারিবারিক অশান্তির কারণে ওষ্ঠাগত প্রাণ। মানসিক চাপ এত বেশি বেড়ে গিয়েছে যে, রাতে ঘুমও ঠিকঠাক হয় না। তাই দু’চোখে ঘুম আনতে চুমুক দিতে পারেন ভেষজ চায়ে। প্রচলিত ধারণা বলছে, চা খেলে ঘুম চলে যায়। অর্থাৎ, ঘুম ঘুম ভাব বা ঝিমুনি কাটাতে সাহায্য করে এই গরম পানীয়। কিন্তু সারা দিন পর বিছানায় শুয়েও যদি দু’চোখের পাতা এক করতে না পারেন, মন শান্ত না হয় তখনও যে এই চা-ই ঘুম পাড়ানি ওষুধের মতো কাজ করবে এমন ধারণা হয়তো অনেকেরই নেই। তবে যে কোনও চা খেলেই যে ঘুম আসবে, এমনটা কিন্তু নয়।

ক্যাফিনমুক্ত গ্রিন টি

চায়ের মধ্যে ক্যাফিন থাকে। এই ক্যাফিনই কিন্তু স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যাফিনমুক্ত গ্রিন টি স্নায়ুর উত্তেজনা প্রশমিত করে, মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। ফলে ঘুম আসে সহজেই।

ক্যামোমাইল চা

অনিদ্রাজনিত সমস্যায় প্রাচীনকাল থেকেই ক্যামোমাইল চায়ের ব্যবহার হয়ে আসছে। উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ রাখতে, প্রদাহনাশক করতে ক্যামোমাইল চায়ের জুড়ি মেলা ভার। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে এক কাপ চায়ে চুমুক দিলেই ঘুম নেমে আসবে চোখে।

পুদিনা চা

উদ্বেগ, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে কিন্তু ঘুম আসবে না। রাতে ঘুমোনোর আগে মনকে শান্ত রাখতে পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি চা বিশেষভাবে কার্যকরী।

ল্যাভেন্ডার চা

ল্যাভেন্ডার ফুলের কুঁড়ি বা নির্যাস দিয়ে তৈরি চা মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। সারা দিনের ক্লান্তি কাটাতে স্নানের পানিতে দু’ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল আর বিছানায় যাওয়ার আগে ল্যাভেন্ডার চায়ের জোড়া দাওয়াই ঘুম আনতে বাধ্য।

লেমনগ্রাস চা

কাজের চাপ তো আছেই। সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তনে গা, হাত, পায়ের পেশিতে ব্যথা হয়েছে। জ্বর না এলেও গা ম্যাজম্যাজ করছে। এই সময়ে ঘুম আসতে সমস্যা হয় অনেকেরই। বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করতে হয়। এক কাপ লেমনগ্রাস চায়ে যদি চুমুক দিতে পারেন, সব সমস্যা সঙ্গে সঙ্গে উধাও হবে।

;

কম সময়ে ব্রণ তাড়াতে যেসব খাবার খেতে পারেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিয়ের আর বাকি ১৫ দিন। প্রস্তুতি তাই জোরকদমে চলছে। কেনাকাটা প্রায় শেষের মুখে। ব্যস্ততার ফাঁকেই অনেকে সময় বার করে নিচ্ছেন রূপচর্চার জন্য। ঘরোয়া টোটকা, বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহার করে মুখে তাৎক্ষণিক জেল্লা এলেও ব্রণ কিছুতেই যেতে চাইছে না। তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। সব সময়ে রূপটান দিয়ে ব্রণ আড়াল করা যায় না। তাছাড়া, ব্রণ থাকলে অনেক সময় আত্মবিশ্বাসও কমে যায়। তাই ব্রণমুক্ত ত্বক পেতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি খাবারে।

গাজর

ভিটামিন এ ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ব্রণর ব্যথা-বেদনা তো বটেই, এমনকি দাগও কমাতে পারে এই ভিটামিন। গাজরে ভরপুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই রোজ স্যালাড বা সুপে গাজর রাখতে ভুলবেন না। গাজর কাঁচাও খেতে পারেন। আবার চাউমিন, পাস্তাতে দিয়েও গাজর খেতে পারেন।

পাতিলেবু

লেবুতে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান, যা শুধু শরীর নয়, একসঙ্গে যত্ন নেয় ত্বকেরও। পাতিলেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ত্বক ভাল রাখতে কতটা কার্যকরী, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে ভিটামিন সি সত্যিই উপকারী। তবে সরাসরি ত্বকে লেবুর রস লাগানো ঠিক হবে না। তাতে আবার হিতে বিপরীত হতে পারে।

বেরিজাতীয় ফল

স্ট্রবেরি, চেরি, ব্লুবেরির মতো ফলে এক ধরনের অ্যাসিড থাকে, যা রক্ত পরিশুদ্ধ করে। রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। তাছাড়া, এই ফলগুলিতে ভিটামিন সি-ও কম নেই। সেই সঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। উপকারী এই উপাদানগুলি ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করে নিমেষে। সেই সঙ্গে ব্রণ থেকে মুক্তি দেয়।

;

মুখে যে ৫ লক্ষণ ফুটে উঠলেই সাবধান হতে হবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শরীরে কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে কিনা, পরীক্ষা না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষেও বলে দেওয়া কিন্তু কঠিন। আবার এমন অনেক লক্ষণ রয়েছে, যা মুখে ফুটে উঠলেও অনেক সময়েই এড়িয়ে যান সাধারণ মানুষ। সচেতনতার অভাব এবং ধারণা না থাকার ফলে অসুখ শরীরের মধ্যে ডালপালা বিস্তার করতে থাকে। মারাত্মক কিছু ঘটলে তখন খেয়াল হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়। তাই আগাম সতর্ক থাকা জরুরি।

চোখের তলার কালি

রাত জেগে কাজ করলে, সিরিজ দেখলে অনেক সময়েই চোখের তলায় কালি পড়তে পারে। আবার মানসিক চাপ, অবসাদের কারণেও চোখের তলায় কালি পড়ে। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলেও কিন্তু এই লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে।

চোখের তলার ফোলাভাব

বয়স ৫০ পেরোনোর পরে অনেকেরই চোখের নিচে ফোলাভাব লক্ষ করা যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এটি বেশ কিছু রোগের পূর্বলক্ষণ হতে পারে। কোলেস্টেরল থাকলে এমন লক্ষণ ফুটে ওঠে চোখের তলায়। তা ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা থাকলেও চোখের তলায় ফোলা ভাব দেখা যায়।

চোখে হলদেটে ভাব

সাধারণত জন্ডিস হলে, বা রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি থাকলে চোখের সাদা অংশ ঘোলাটে বা হলদেটে হয়ে যেতে পারে। তাই এমন লক্ষণ দেখলে আগেভাগে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি।

রক্তবর্ণ চোখ

স্নান করার পরে, চোখে সাবানের কণা বা শ্যাম্পু ঢুকে গেলে অনেক সময়েই চোখ লাল হয়ে যায়। তাই এই ধরনের লক্ষণ অনেকেই এড়িয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, লিভারের কর্মকাণ্ড বিঘ্নিত হলেও চোখ এমন রক্তবর্ণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া উচিত।

ফাটা ঠোঁট

শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা খুব সাধারণ। গরমকালেও কারও কারও এমন হয়। পানি কম খেলে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে ঠোঁট। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন, যাদের সারা বছরই ঠোঁট ফাটে। মূলত ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতির কারণে এমন হয়। এই ভিটামিনের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সচেতন হওয়া জরুরি।

;

পেঁপে কেন খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে সহজলভ্য ও জনপ্রিয় একটি সবজি পেঁপে

দেশে সহজলভ্য ও জনপ্রিয় একটি সবজি পেঁপে

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের দেশে সহজলভ্য ও জনপ্রিয় একটি সবজি পেঁপে। মৌসুমি ফল হিসাবেও এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

১০০ গ্রাম পেঁপেতে ৩২ ক্যালরি ও ৭ গ্রাম শর্করা আছে। এছাড়াও পেঁপেতে আছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’,পটাশিয়াম, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফসফরাস, আয়রন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও অ্যালবুমিন এনজাইম। 

এজন্য চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ সবাই পেঁপে খেতে বলেন। ওজন কমানোর জন্য অনেকেরই পছন্দের তালিকায় থাকে পেঁপে।  

পেঁপের আছে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা:

ত্বকের যত্নে পেঁপে: ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ উপকারী পেঁপে। এটি মুখের ব্রণ, র‌্যাশ, দাগ দূর করতে  দারুণভাবে সাহায্য করে। পেঁপের ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ত্বক সুস্থ রাখে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: পেঁপের বিভিন্ন এনজাইম পেট পরিষ্কার রাখে। যে কারণে পেট ঠান্ডা থাকে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে পেঁপে: পেঁপের আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে দেহে জমে থাকা সোডিয়াম দূর করতেও সহায়তা করে। 

হজমে সাহায্য করে পেঁপে: পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ, যা হজমে সাহায্যকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাছাড়া পাপাইন এনজাইম হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। পেঁপে মুখের রুচি বৃদ্ধি করে, এতে ক্ষুধাও বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও পেঁপে পেট পরিষ্কার রাখে, ফলে গ্যাসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে। যেগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ক্যারোটিন ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে পেঁপে: দেশজুড়ে চলছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রক্তে প্লাটিলেট কমে যায়। এই প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহয়তা করে কাঁচা পেঁপে। পেঁপে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাকা পেঁপে থেকেই ১০০ ভাগ ভিটামিন সি পাওয়া যায়।  

দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে: এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি কমায়। পেঁপেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও ই চোখের জন্য অনেক উপকারী।

;