দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে যেসব নিয়ম মানবেন
চোখ শরীরের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখ নিয়ে শুরু হয় দুর্ভোগ। তবে আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে কম বয়সেও চোখ নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। কাজের চাপ, ব্যস্ততা— সব মিলিয়ে ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বিশ্রাম পায় না চোখও। অথচ যত চাপ চোখের উপরেই। অফিসে ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ কাজ হোক কিংবা বাড়ি ফিরে নেটফ্লিক্সে ফিল্ম দেখা— চোখের বিশ্রাম তেমন করে হয় না বললেই চলে। কম বয়সের এই অভ্যাসের ফলে বার্ধক্যে চোখে দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। তাই শুরু থেকেই চোখের খেয়াল রাখা জরুরি। চোখের যত্ন নেওয়া যে খুব কঠিন ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একটু সতর্ক থাকলেই ভাল থাকবে চোখ।
>> চোখ ভাল রাখতে বেশি করে পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। শরীরে পানির মাত্রা যত বেশি থাকবে, চোখ তত ভাল থাকবে। অনেকক্ষণ একদৃষ্টে কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। মাঝেমাঝে চোখে পানির ঝাপটা দিন।
>> অতিরিক্ত রোদে বেরোনো চোখের জন্য ভাল নয়। সূর্যের আলো সরাসরি যাতে চোখে বেশিক্ষণ না পড়ে, তার জন্য কালো রোদচশমা পরে নেওয়া যেতে পারে। খুব চড়া রোদে খালি চোখে বেরোবেন না।
>> এখন সর্বক্ষণ টিভি বা কম্পিউটারের পর্দায় চোখ থাকে অধিকাংশের। কিন্তু সেই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে চোখের কথা ভেবে। না হলে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যদি টানা কম্পিউটারে কাজ করতে হয়, তবে পর্দার সঙ্গে চোখের যেন থাকে যথেষ্ট দূরত্ব।
>> শরীর সুস্থ রাখতে যেমন নিয়মিত শরীরচর্চার প্রয়োজন, তেমনই চোখ ভাল রাখতেও করতে হবে চোখের ব্যায়াম। এই ক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন ২০-২০ নিয়ম। এই নিয়ম অনুসারে কুড়ি মিনিট একটানা পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার পর অন্তত কুড়ি সেকেন্ড কুড়ি ফুট দূরত্বের কোনও বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি, বার বার চোখের পলক ফেলাও জরুরি।
>> নিয়মিত যারা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করেন, তাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি, এখন বিশেষ ধরনের চশমা পাওয়া যায় যা বৈদ্যুতিন পর্দা থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। প্রয়োজনে পরতে হবে নীল ও অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধক চশমা।