বসন্ত, সরস্বতী বন্দনা আর ভালোবাসার দিন আজ
পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ অনুভূতি হলো ভালোবাসা! পৃথিবী টিকে আছে ভালোবাসার মজবুত সম্পর্কের ওপরে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকার কারণেই পৃথিবী এত সুন্দর! শুধু প্রেমী বা পরিবার নয়, ভালোবাসা তৈরি হতে পারে প্রাণী, প্রকৃতির ওপরও। সব ভালোবাসার সৌন্দর্যই উদযাপন করা হয়। তবে, জীবনসঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা সবসময় অনন্য! সারাটিজীবন যে পাশে কাটায়, তার জন্য ভালোবাসা প্রাধান্য পায় সবার জীবনেই। তাই, ভালোবাসা দিবসে বিশেষ মানুষটির প্রতি অনুভূতি প্রকাশ করতে, বিশেষ আয়োজন করেন প্রেমীরা।
ভালোবাসার কাতরতা যখন বুক থেকে মুখ ফুটে বাইরে আসতে পারে না, তখন মন হাহাকার করে ওঠে। তবে প্রকৃতির অকৃত্রিম করুণার প্রভাবে মনের অস্ফুট কথা প্রকাশ করতে প্রতীকীর সাহায্য নেওয়া যায়। প্রিয় মানুষের প্রতি নীরব আবেগ প্রকাশ করা যায় ফুল আদান-প্রদানের মাধ্যমে। ফুলের মৌসুম বসন্ত। শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে ঋতুরাজ। এই সময়েই চারদিক রঙিন হয়ে ওঠে রঙ-বেরঙের ফুলে। প্রকৃতিতে বসন্ত আসে ফাল্গুনের হাত ধরে! বাতাসে মধুর সুবাস জানান দেয়, ফাল্গুনের আগমনের।
তবে জীবন সুন্দর করতে একমাত্র ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়। জীবন সুখের করতে মানুষকে বিশুদ্ধ জ্ঞানী হতে হয়। জীবনে সবাই নিজের লক্ষ্যে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখে। বিদ্যাবুদ্ধিই একমাত্র মানুষের জীবনে সম্মানের সাথে সাফল্য নিয়ে আসতে পারে।
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসার আবেগ এবং ফুলের প্রতি মুগ্ধতার অনুভূতি মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে আজ। ফুলের সেই আগমনী বার্তা একই সাথে বরণ করবে, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আবেগকে। একই দিনেই পড়েছে বসন্ত পঞ্চমীর তিথি। জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর বন্দনার এই শুভক্ষণ মেতে উঠবে ভালোবাসার রঙে এবং বসন্তের ফুলের সুবাসে। তেমন তোড়জোড়ে উদযাপিত না হলেও, এই একই দিনে পালন করা হয় ‘সুন্দরবন রক্ষা দিবস’ এবং ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’।
২০২৪ সালে ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন এবং সরস্বতী পূজা একই দিনে পড়েছে। তাই, উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছেন সব শ্রেণির মানুষ। সকাল থেকেই দেখা যায়, চারদিকে একেকজনের রঙিন সাজ। উৎসবমুখর এই দিনে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উপলক্ষ যাই হোক না কেন, সবার মনের আনন্দে সাফল্য আসুক!