আঠারোতে নয়, মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক হয় তিরিশে!
বয়সের গণ্ডি আঠারো হতেই চারপাশের সবকিছু বদলে যেতে থাকে।
প্রাপ্তবয়স্ক হবার এই আঠারো বছরে পরিবর্তন আসে নিজের চিন্তা-ভাবনায়, ধ্যান-ধারণায়। শৈশবকাল যেন এক ধাক্কায় পেছনে পড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক হবার এই সময়টি একইসাথে আনন্দময় ও কিছুটা বিভ্রান্তিমূলক।
এ সময়ে কার্টুন চ্যানেলের প্রতি আকর্ষণ কাজ করার পাশাপাশি নিজেকে বড় যেকোন কাজের সঙ্গে জড়িত রাখার তাগিদটাও কাজ করে।
বয়স বিশ কি পঁচিশের কোঠা পেরুলেই শুনতে হয়, এতো বড় হয়ে গেছো! অথচ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে একেবারেই অবাক হয়ে যাওয়ার মতো তথ্য।
মস্তিষ্ক বিজ্ঞানীদের (Brain Scientists) মতে, মানুষ পরিপূর্ণভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয় বয়স ৩০ এর ঘরে যাওয়ার পরেই।
মস্তিষ্কের নার্ভাস সিস্টেম নিয়ে কাজ করা ও গবেষণা করা বিজ্ঞানীরা আরও বলছে, প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঠিক বয়সটি ভিন্ন হয়ে থাকে।
গবেষকেরা জানাচ্ছে, ১৮ বছর বয়সে মানুষের মস্তিষ্ক নানান ধরণের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। যা তার আচরণের উপর প্রভাব ফেলে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে ‘মেন্টাল হেলথ ডিসঅর্ডার’।
ক্যামব্রিজ ইউনভার্সিটির প্রফেসর পিটার জনস বলেন, ‘আমরা যা বোঝাতে চাচ্ছি সেটা হলো, শৈশবকাল শেষে প্রাপ্তবয়স্ক হবার বিষয়টি খুবই অদ্ভুত। এটা এতোই সুক্ষ পরিবর্তনের একটি ধারা, যা পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হতে তিন দশক তথা তিরিশ বছর প্রয়োজন হয়’।
তিনি বোঝানোর জন্য বলেন, ‘এখন শৈশবকাল এবং ঠিক তার পরেই প্রাপ্তবয়স্ক হবার সময়টি চলে আসে না। প্রতিটি মানুষ একটি পথ ধরে এগোয়। তারা সেই পথের অভিযাত্রী’।
অক্সফোর্ডে অ্যাকাডেমি মেডিক্যাল সায়েন্স আয়োজিত নিউরোসায়েন্স মিটিং এর অন্যতম একজন দক্ষ গবেষক হলেন পিটার জনস।
আরও পড়ুন: পাম্প করা মাতৃদুগ্ধ কী ক্ষতিকর?
আরও পড়ুন: আবিষ্কৃত হলো চিকন থাকার ‘রহস্য’