পোশাকে থাকবে বসন্ত নাকি ভালোবাসা দিবস!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
দুই দিবসের যুগলবন্দী থাকুক পোশাকের রংয়ে

দুই দিবসের যুগলবন্দী থাকুক পোশাকের রংয়ে

  • Font increase
  • Font Decrease

চিরাচরিত নিয়মের ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে এ বছরে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন নয়, এ বছর থেকে দিনটি আসবে ১৪ই ফেব্রুয়ারি। কিন্তু একই দিনে যে ভালোবাসা দিবসও! দুইটি চমৎকার উপলক্ষ একই দিনে হয়ে বেশ গোঁজামিল একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন।

আর তা হবেই বা না কেন! পহেলা ফাল্গুনের দিন পুরো সাজপোশাকেই থাকে আলাদা আভা, হলুদ-কমলা-বাসন্তি-সবুজের মতো বর্ণীল রংয়ের ছোঁয়া। অন্যদিকে ভালোবাসা দিবসে একান্তভাবেই লাল রংয়ের আধিপত্য থাকে সবখানে। রংয়ের ভিন্নতায় ভিন্ন দুই দিবস একই দিনে হয়ে যাওয়াটা বিপত্তিই বটে।

প্রিয় ও পছন্দের দুইটি দিবস একই দিনে হলে কোন দিবসকে সামনে রেখে সাজপোশাক নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে থাকবে বেশ বড় ধরনের দ্বিধা। বিষয়টি খুব সহজে গ্রহণযোগ্যতা না পেলেও, খুব একটা কঠিন হবে না মোটেও।

হলুদ-কমলা-বাসন্তি রংগুলো সাথে খুব সহজেই লাল রং মানিয়ে যায়। তাছাড়া এমন রংয়ের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজের সাথে লালের উপস্থিতি বরাবরই থাকে। ছিটেফোঁটার মতো অন্যান্য রংগুলোও শোভা বাড়ায় পোশাকের। তাই লালের মতো প্রখর ও হলুদের মতো আরামদায়ক রং দুইটিকে একসাথে রেখেই নির্বাচন করতে হবে ১৪ ফেব্রুয়ারির সাজপোশাক।

ফাল্গুন

সেক্ষেত্রে শাড়িটা যদি হলুদ হয়, তবে ব্লাউজ পরা যেতে পারে ফুটফুটে লাল রংয়ের। এতে খুব সহজেই ব্যলেন্স রাখা যাবে দুইটি দিবসের সাথেই।

তবে যারা আগামীকাল লাল শাড়ি পরবেন বলে মনস্থির করে ফেলেছেন, লালের সাথে গাড় সবুজ, হালকা সবুজ, শ্যাওলা সবুজ রংয়ের আভা রাখতে পারেন। সবুজকেও যেহেতু বসন্তের রং হিসেবে দেখা হয়, লালের সাথে সবুজের মিশেল খুব দারুণ ফুটে উঠবে।

ফাল্গুন

পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস একই দিনে হয়ে যাওয়ার জন্য যারা দুশ্চিন্তায় পরে গিয়েছিলেন, তারা কিন্তু খুব সহজ সমাধানে নিশ্চিন্ত হতে পারেন। তাছাড়া দুই দিবসই আনন্দ ও ভালোলাগার বার্তা নিয়ে আসে। তাই যেভাবে নিজেকে সাজিয়ে দিনটি পালন করতে ইচ্ছা করে সেভাবেই নিজেকে সাজিয়ে নিন বিশেষ দিনটিতে।

   

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;

সিডনীর উইলি পার্কে উৎসব মুখর বৈশাখী মেলা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মানেই নতুন সূচনা। বছরের প্রথম মাসে নতুন করে চারদিক আন্দোলিত হয় নতুন আনন্দে। এই আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালিরা। আমাদের দেশে বেশ ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা, পাশাপাশি বিখ্যাত রমনার বৈশাখীমেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই বৈশাখে কয়েকদিন যাবত মেলা চলে।

তবে দেশের বাইরেও বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেক বাঙালি। তাদের ভেতরের বাঙালি সত্ত্বাও নতুন বাংলা বছরে জেগে ওঠে। প্রায় সময় দেখা যায় প্রবাসে বসবাসকারীরা বিভিন্ন উৎসব নিজেদের উদ্যোগে উদযাপনের চেষ্টা করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেকোনো উৎসব আয়োজন করার।


রোববার (২১ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বসবাসকারী বাঙালিরা আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী মেলার। নিউ সাউথ ওয়েলসের উইলি পার্কে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা ভিড় জমান এবং বৈশাখ বিলাসে মেতে ওঠেন। লাল-সাদা পোশাকে সকলে একত্রিত হন পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে। ছোট ছোট শিশুরা বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচে-গানে সেজে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ঢোল, তবলা, করতালের ছন্দে বাংলার আভায় মেতে ওঠে এক টুকরো সিডনি।

মেলার মাঠে ছোট ছোট তাবুতে স্টল বসেছে। সেখানে সাজানো হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যময় নানান জিনিস। তাঁতের শাড়ি, নানান গহনা, খেলনা, বাঙালি খাবার , পোশাকসহ নাগরদোলা এবং বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা। খাবারের মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, সমুচা, ফুচকা, চটপটি, হালিম সহ নানান পদ।


শুধু বিদেশের মাটিতে বাঙালীর মেলার আয়োজন হয়েছে তা নয়! আমাদের দেশেও বেড়াতে আসা ভিনদেশীদেরা ঐতিহ্যে নিজেদের খাপ খায়িয়ে নেন। প্রায়ই দেখা যায়, অনেক বিদেশীরাও বৈশাখী আনন্দে মেতে ওঠে। গালে শুভ নববর্ষ লিখে মেলায় যায়। মানুষের সাথে মানুষের যে আত্মার বন্ধন; পোশাক, জীবনধারা, ভাষা- কিছুই যে বাঁধা নয় তারই প্রমাণ মেলে। আমরা যেমন আবরণ ভুলে সকলকে জরিয়ে আপন করে নেই, তেমনি তারাও আমাদের সংস্কৃতির ছাঁচে তাদের আবদ্ধ করে নেয়। এমন করে দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাক! যুগ যুগ বেঁচে থাকুক বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি…

;