'অর্থনীতিকে সচল রাখতে সকলের দোরগোড়ায় প্রযুক্তি পৌঁছাতে হবে'
ছোট উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে গ্রাম-শহর সবখানেই সবার হাতে প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে হবে, তবেই উন্নয়ন এবং অর্থনীতিকে সচল রাখা সম্ভব। এছাড়া ছোট উদ্যোক্তাদেরকে ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় আনতে হবে সেই সাথে ইন্টারনেটকে সহজলভ্য করতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) করোনাকালে উন্নততর প্রযুক্তি যথা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও অনলাইন সেবা কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতিকে সচল রাখার প্রচেষ্টা নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রথম আলোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বেসিসের সভাপতি মুশফিকুর রহমান বলেন, করোনাকালীন সময়ে ছোট ও মাঝারি শিল্পে প্রভাব পড়েছে বেশি। তবে যেসব কোম্পানিগুলো সমস্যায় পড়েছে সেগুলোকে কিভাবে টিকিয়ে রাখা যায় সেদিকে চিন্তা করছি। সেজন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম সবকিছু সহজলভ্য করার জন্য। সবার আগে ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে। এই সুবিধা সহজলভ্য হতে হবে। এছাড়া ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিকে এক সাথে কাজ করতে হবে। তবেই অর্জন সম্ভব।
এ সময় এসবিকে প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ও অর্থনীতিকে সচল রাখতে সকলের হাতে প্রযুক্তির সুবিধা তুলে দিতে হবে। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ নয় ফোনেই সব রকম সুবিধা পাওয়া যাবে এমন ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব উদ্যোক্তারা পণ্য উৎপাদন করে আমাদেরকে ভালো রাখছে তাদেরকে ব্যাংকিং সুবিধা ও লোনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সিটি ব্যাংকের আইটি হেড আনিসুর রহমান বলেন, এই মহামারী সময়ে ব্যাংকগুলো প্রস্তুত ছিল না ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের জন্য। আমাদের কাছে অনেক ডেটা আছে সেগুলোকে ধীরে ধীরে এক করার চেষ্টা চলছে। অনেক মানুষ এখন ব্যাংকে না এসেও সেবা পেতে চান। তাদের জন্য আমাদের 'সিটি টাচ' এর মাধ্যমে ঘরে বসেই অ্যাকাউন্ট খোলা, ব্যালেন্স চেক করা সেই সাথে ক্যাশ ডিপোজিট করার সুবিধা থাকছে। তবে সবগুলো সেক্টর যদি একসাথে কাজ করা যায় তবে সবকিছু একত্র করা সম্ভব।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমরা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছি। সপ্তাহে তিন হাজার কোর্স আমরা কমপ্লিট করছি। আগের চেয়ে অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯৩ শতাংশ উপস্থিতি আমরা লক্ষ্য করছি। বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী কিন্তু ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ নয় স্মার্টফোন দিয়েই ক্লাস করছে। এদিকে সবার যে ব্রডব্যান্ড কানেকশন আছে তাও কিন্তু নয়। এ বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে ধরতে পারি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবাকে টেকসই করতে হবে। করোনা এখন দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাই শুধু ঘরে বসে থাকলেই হবে না, বাইরের কাজও করতে হবে। ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাস করতে পারে এবং চাকুরীজীবীরা কাজ করতে পারে তাহলে রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া কম চলবে পরিবেশেরও ক্ষতি কম হবে।
তারা আরো বলেন, পুরো পৃথিবী এখন ভার্চুয়ালি কাজ করছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন বেসিসে চলছে। তবে করোনাকালীন সময়ে মানুষের উপার্জন কমে যাওয়ায় তারা হতাশায় ভুগছে।
অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ইয়ুথ প্রোগ্রামের হেড মুনির হাসান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান এম এ কাশেম প্রমুখ।