চিকিৎসক-নার্স করোনায় আক্রান্ত, বিপাকে গাংনী হাসপাতাল
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩ জন চিকিৎসক, নার্স, অফিস সহকারী ও স্টোরকিপারসহ ৬ জন করোনায় আক্রান্ত। একই সঙ্গে ল্যাব টেকনিশিয়ান রয়েছেন লকডাউনে। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে হাসপাতালের চলমান কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যসেবা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
গাংনী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট হাসপাতালের আরএমও ডা. সাদিয়া আক্তার, নার্স আমেনা খাতুন ও স্টোর কিপার দবির উদ্দীনের করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে গত ২৬ জুলাই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (এসএসিএমও) ডা. এসএম তানভির আহম্মেদের করোনা শনাক্ত হয়। একই সময়ে মেডিকেল অফিসার ডা. হামিদুল ইসলাম স্ত্রীসহ ও অফিস সহকারী আসাদুল ইসলাম লিটনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজ নিজ বাড়িতে লকডাউনে হোম আইসোলেশনে আছেন।
অপরদিকে গত ৪ আগস্ট হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ান সুনিতি রায়ের স্বামীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে সুনিতা রায় নিজ বাড়িতে লকডাউনে রয়েছেন। তিনি গাংনী হাসপাতালের করোনা নমুনা সংগ্রহকারী দলের অন্যতম সদস্য। সুনিতা রায় লকডাউনে থাকায় নমুনা সংগ্রহ নিয়ে একটা সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও ডা. এসএম তানভির আহম্মেদ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছানো ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহকারী দলের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। কিন্তু তিনি নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় ও স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার একটি বড় অংশ নিয়ে গঠিত গাংনী উপজেলা। ফলে জেলার প্রায় অর্ধেক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। এ অবস্থায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অফিস স্টাফ আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নিয়ে এক প্রকার সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম রিয়াজুল আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে আমাদের অনেক সাফল্য রয়েছে। এ সাফল্য ধরে রাখা এখন অসম্ভব হয়ে পড়বে। হাসপাতালে কর্মরতদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত স্বাস্থ্য বিভাগ।’