দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় ৮ শতাধিক যান, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে প্রায় আট শতাধিক যানবাহন। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে সাড়ে তিন শতাধিক এবং যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে সাড়ে চার শতাধিক।
নদী পারের জন্য এ সকল যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘন্টা সড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে। ফলে প্রচন্ড গরমের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও চালকরা।
শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিন ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী পারের জন্য দৌলতদিয়া ৩ নং ফেরি ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ছেড়ে প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে অপেক্ষা করছে শত শত যাত্রীবাহী বাস। এগুলো যানবাহনগুলোকে ফেরির নাগাল পেতে সময় লাগছে ৭-৮ ঘণ্টা।
অন্যদিকে দৌলতদিয়া-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় হতে রাজবাড়ীর দিকে কল্যানপুর বাজার ছাড়িয়ে সড়কে ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে সাড়ে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এ সকল ট্রাকগুলো নদী পারের জন্য তিন থেকে চারদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে।
পচনশীল ও কাঁচামালবাহী ট্রাককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদীপারের সুযোগ করে দিচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে সড়কে অবস্থান করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রাকের চালক ও শ্রমিকরা। খাদ্য সংকটসহ নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে তারা।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক সনজিদ বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত চারদিন ধরে সড়কে অবস্থান করছি। খাবার নেই, নেই টয়লেটের ব্যবস্থা। দুর্বিষহ জীবন কাটছে আমাদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখা ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচলে ব্যাহত হওয়ায় এখানে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে এ সকল যানবাহনগুলোকে নদী পারের জন্য ১৭টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে।