বৃক্ষপ্রেমী শ্যামল কুমার
শ্যামল কুমার পাল (৫০) একজন বৃক্ষপ্রেমী মানুষ। তার নিজস্ব দুই একর জমিতে ঔষধিসহ ১০৮ প্রকার গাছ রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ গাছ তাদের পূর্বপুরুষদের রোপণ করা। তাও প্রায় ১০০ বছর আগের। তবে নিয়মিত গাছগুলো পরিচর্যা করেন শ্যামল। গাছগুলো তার কাছে সন্তানের মতো।
শ্যামল মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের বরালীদহ গ্রামের বাসিন্দা। সংসারে তার স্ত্রীসহ ৩ সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন শ্যামলের বাগানে অনেক মানুষ ঘুরতে আসে। এর মধ্যে কেউ কেউ রোগমুক্তির জন্য দুর্লভ ওষুধি গাছ নিতেও আসে।
বাগানে ওষুধি দুর্লভ গাছগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্বেত মাকাল, শ্বেত চন্দন, শ্বেত লজ্জাবতী, বিশাল্লা করবি, নিসিন্দে, অনন্তমূল, শতমূল, রাহুচন্ডাল, বন চন্ডাল, শ্বেত চন্দন ইত্যাদি।
আর গোলাপ, জবা, জুঁই, চামেলি, হাসনাহেনাসহ ৫০ প্রকার ফুল গাছ রয়েছে।
শ্যামল বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষরা গাছ খুব পছন্দ করতেন। এ কারণে ভালোবেসে এই বাগান করেছিলেন তারা। আমিও গাছ খুব ভালোবাসি। যখনই সময় পাই তখনই গাছের পরিচর্যা করি। গাছগুলো আমার সন্তানের মতো।’
এ ব্যাপারে নাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন রশীদ মুহিত বলেন, ‘শ্যামলের নেশা গাছ লাগানো। আমরা এলাকাবাসী তার এই গাছ লাগানোকে স্বাগত জানাই। এখান থেকে ওষুধি গাছ নিয়ে অনেকেরই রোগ ভালো হয়েছে। বিনিময়ে টাকা রাখেন না শ্যামল। এছাড়া এ বাগানটি একটি পর্যটন স্পট হিসেবে মনে করে এলাকাবাসী।’