ঢাকায় খোলা বাজারে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল পাওয়া যাবে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মোহাম্মাদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় খোলা বাজারে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল  উদ্বোধন করা হয়

মোহাম্মাদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় খোলা বাজারে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল উদ্বোধন করা হয়

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ডব্লিউএফপি খোলা বাজারে বিক্রয়ের (ওএমএস) জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল (ফর্টিফায়েড রাইস) অন্তর্ভুক্ত করেছে। সোমবার (১০ আগস্ট) ডব্লিউএফপি কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহারযোগ্য একটি পণ্য যা বৃহৎ পরিসরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণে অনেক সহায়তা করে। পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের দানা দেখতে সাধারণ চালের মতোই, এর রান্নার পদ্ধতি ও স্বাদও সাধারণ চালের মতো, তবে এই দানাগুলোকে সমৃদ্ধ করা হয়ে থাকে ছয়টি অপরিহার্য ভিটামিন ও খনিজ দিয়ে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি১২, ফলিক এসিড, আয়রন ও জিংক। সাধারণ চালের সাথে ১:১০০ অনুপাতে এগুলো মেশানো হয়।

সোমবার বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ এবং ঢাকা রেশনিংয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক মো. জাহাঙ্গীর আলম যৌথভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের অধীন মোহাম্মাদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় কর্মসূচিটির উদ্বোধন করেন।

ঢাকাস্থ নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন এই কর্মসূচির সপক্ষে সমর্থন বাড়াতে অ্যাডভোকেসির কাজে সহযোগিতা প্রদান করবে।

কর্মসূচির আওতায় বাজারমূল্যের থেকে কম দামে পুষ্টিসমৃদ্ধ চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে- স্বল্প আয়ের প্রত্যেক পরিবার প্রতি কেজি ৩০ টাকা (০.৩৬ ইউএস ডলার) মূল্যে প্রতিদিন পাঁচ কেজি পর্যন্ত চাল কিনতে পারবে। এরকম প্রতিটি পরিবার গড়ে প্রতিমাসে ২০ কেজি পর্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল কিনতে পারবে। ওএমএস-এর মাধ্যমে ১ লাখ ৪৪ হাজার পরিবারের প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২০ টি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত দোকানের মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল বিক্রি করা হবে।

ডব্লিউএফপি’র লক্ষ্য হল ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল বিতরণ নিশ্চিত করা যাতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা পরিবারের সদস্যদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিসংক্রান্ত উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়, বিশেষত যেসব পরিবারে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ও খনিজ জাতীয় খাবার থাকে না।

খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল খনিজ ও ভিটামিন সরবরাহ করবে সেইসব পরিবারের সদস্যদের যারা কোভিড-১৯ সংকটের কারণে আয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং সে কারণে সামর্থ্যের অভাবে যারা খাদ্য বৈচিত্র্য নিশ্চিত করতে পারছে না। তাছাড়া, এটা ব্যয় সাশ্রয়ী একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে শহরের স্বল্প আয়ের সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করা যায়।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ‘খাদ্য অনিরাপত্তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপর, বিশেষ করে দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে এমনসব এলাকায় যারা বাস করে তাদের উপর। বৈচিত্র্যপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সামর্থ্য না থাকা বাংলাদেশে পুষ্টিহীনতা এবং ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতির অন্যতম কারণ।’

ওএমএস একটি জনমুখি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী সারা বছর জুড়ে কমমূল্যে চাল বিক্রি করা হয়।

   

বগুড়ার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ঢাকা থেকে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া সদর উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মাথায় নিয়ে পলাতক মামুনকে (২৮) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। মামুন বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি কারিগর পাড়ার জনৈক আলম হোসেনের ছেলে।

হত্যা মামলায় গত ফেব্রুয়ারী মাসে বগুড়া জেলা জজ আদালত মামুনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই মামুন পলাতক ছিল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন,বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হারিয়াকান্দি মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম (৩৫) বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী মাটির মসজিদ এলাকায় বসবাস করে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সাইদুল ইসলামকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে নিহত সাইদুল ইসলামের ছোট ভাই অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানার মামলা করেন। সেই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ মামুনকে গ্রেপ্তার করলে সে হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে পুলিশ মামুনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ফেব্রুয়ারী মাসে রায় ঘোষণা করা হয়।

মামুনের নামে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী হলে বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) জাকির আল আহসান তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামুনের অবস্থান নিশ্চিত করেন।এরপর শুক্রবার রাতে ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বগুড়ায় আনা হয়। শনিবার দুপুরে মামুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

ফেনীতে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে তরুণদের ধর্মঘট ও পদযাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রাইডেস ফর ফিউচারের আহ্বানে বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটে একাত্মতা প্রকাশ করে জলবায়ুর ন্যায্য দাবিতে ধর্মঘট ও পদযাত্রা করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস ফেনী ইউনিট।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) ফেনীর ফুলগাজী মুহুরী নদীর পাড়ে জলবায়ু কর্মীরা ধর্মঘটে অংশ নেন। এ সময় সমবেত জলবায়ু যোদ্ধারা নানা দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের দাবি প্রদর্শন করেন।

ইয়ুথনেট ফেনী জেলার সমন্বয়কারী ফাহিম মুনতাসীর তন্নীর সভাপতিত্বে ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথনেট কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মোহাইমিনুল ইসলাম জিপাত, ফেনী জেলা ইয়ুথনেট এর সহ-সমন্বয়কারী মাহামুদুল হাসান ও সাদিয়া বিন্তে নসর প্রমুখ।

ইয়ুথনেট কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মোহাইমিনুল ইসলাম জিপাত বলেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন জীবাশ্ম জ্বালানিতে আর বিনিয়োগ না করে তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অবশ্যই নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, কপ সম্মেলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠায় দূষণকারী দেশগুলো থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। জলবায়ু এবং জ্বালানি সংকট শুধু একটি দুর্যোগই নয়; এটা আমাদের জন্য একটি বড় সতর্ক বার্তাও।

ইয়ুথনেট ফেনী জেলার সমন্বয়কারী ফাহিম মুনতাসীর তন্নী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানিতে আমাদের নির্ভরতা কমানো যে কত জরুরি, সেটা বোঝার জন্য দীর্ঘকাল অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। আমাদের টেকসই এবং ন্যায়সংগত নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলোতে রূপান্তর করার জন্য অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কাজ করার এখনই সময়।

এছাড়াও বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট নিয়ে এক বিবৃতিতে ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়কারী সোহানুর রহমান জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাবের কারণে বিশ্ব এখন এক জটিল সময় পার করছে, জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই একে ‘বিশ্ব মানবতার জন্য রেড অ্যালার্ট’ হিসেবে ঘোষণাও করেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই ক্ষতিকারক জীবাশ্ম জ্বালানির জলবায়ুবিধ্বংসী কার্যকলাপের দায় নিতে হবে।

উল্লেখ্য,কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ২০১৮ সালের আগস্টে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে ‘স্কুল স্ট্রাইক ফর দ্য ক্লাইমেট’ লিখিত একটি প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতি শুক্রবার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। পরে এ আন্দোলন নিয়ে তিনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে কথা বলতে শুরু করেন। এর নাম করণ করেন ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

;

মুজিবনগরে ট্রলি উল্টে চালক নিহত, আহত ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় ট্রলি উল্টে লিটন আলী (৩৮) নামের এক চালক নিহত হয়েছেন। এসময় পাওয়ার ট্রিলারে থাকা আরও ৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত লিটন আলী মুজিবনগরের বাবরপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেহেরপুর-মোহনপুর সড়ক দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক নিয়ে কাজ যাচ্ছিল একটি ট্রলি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সামনে থেকে আসা একটি মাটি বহনকারী ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাওয়ার ট্রিলার চালক লিটন আলীর মৃত্যু হয়।

আহত হয় ট্রলির যাত্রী নির্মাণ শ্রমিক সুমন (২০), ইদ্রিস (৪৫), দেলোয়ার (২৬), নজরুল (৬৫) ও আহসান (২০)। স্থানীয়রা তাদেরকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

মুজিনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি উজ্জল কুমার দত্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি: বিআরটিএ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপি সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি জিডিপি ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে বিআরটিএর আয়োজনে ‘সড়ক নিরাপত্তামূলক আলোচনা সভায়’ এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ'র নেয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন তিনি।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি জিডিপি ক্ষতি হয়। এটাকে যদি শতকরায় হিসাব করি তাহলে মোট জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষতি হয়। এটা তো শুধু আর্থিক হিসাবের কথা বললাম। এছাড়াও দুর্ঘটনায় কোন পরিবারের কর্মক্ষম ব্যক্তি মারা গেলে তো ঐ পরিবারই শেষ। 

ই ড্রাইভিং লাইসেন্সই মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে হার্ডকপি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, “ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে হার্ড কপির জন্য কেউ মরিয়া যেন না হয়। এটা ওয়েল সার্কুলেটেড। ই ড্রাইভিং লাইসেন্সই মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স। এটা মোবাইলে প্রদর্শন করে গাড়ি চালনা করা যাবে। কেউ যদি মনে করেন পুলিশ এটা মানছে না, ই ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানোর পরও পুলিশ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তাহলে নির্দিষ্ট করে সেই পুলিশের নাম ফোন নাম্বার লিখে আমাদেরকে জানালে আমরা কিন্তু পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি বলেন, যদি কোন পুলিশ সদস্য এটা না জানে সেটা আইনের লোক হিসেবে তার ব্যর্থতা। সেটার জন্য ওই পুলিশ সদস্য দায়ী থাকবে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের সমস্যা আছে তারিখ দেওয়া বন্ধ করে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর মতো করে সার্ভিস দেয়ার জন্য বিআরটিএ কর্মকর্তাদের আহ্বান করছি।

ডোপ টেস্ট সহজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়ি চালকদের লাইসেন্স পেতে ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হচ্ছে। আপনাদের প্রস্তাবে ডোপ টেস্ট ডিজিটাল করার প্রস্তাব এসেছে। ডোপ টেস্ট নিয়ে প্রথমে আমরা কিছু সমস্যার মুখোমুখী হয়েছিলাম। এখন সেই সমস্যা নেই বললেই চলে। আমরা কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে একাধিক মিটিং করে একটা অ্যাপস প্রস্তুত করেছি। এটা এখনো চালু হয়নি। চালু হলে বারবার অফিসে যেতে হবে না।

অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, চালকরা স্বেচ্ছায় একটা পিঁপড়েও মারতে চায় না। কিন্তু, নানা পারিপার্শ্বিক কারণে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। জেলা উপজেলায় সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোকে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমাদের বিভিন্ন অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম চালু আছে। লিফলেট বিতরণ বিজ্ঞাপন প্রকাশসহ নানাভাবে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া নানা ধরনের ট্রেনিং চালু আছে, সেটা আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। গতকাল শুক্রবারও সারা দেশের ৬৪টি জেলায় আমরা ওভারস্পিড নিয়ন্ত্রণে ৪০৫টি মামলায় ১০ লাখের বেশি টাকা জরিমানা করেছি। এই অভিযান প্রতিদিনই চলমান থাকবে।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি পেলেই ডাম্পিং করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, গাড়ির রোড পারমিট অবশ্যই আপ টু ডেট থাকতে হবে। সেটার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা বসে করব। কোনভাবেই সড়কে রুট পারমিট বিহীন ফিটনেস বিহীন গাড়ি নিয়ে নামা যাবে না। এক্ষেত্রে চালকদের যত ধরনের সহযোগিতা দরকার আপনারা আপনাদের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে আমাদের কাছে পেশ করবেন, আমরা সংবেদনশীল ভাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা আপনাদেরকে করব। কিন্তু কেউ যদি ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ে সড়কে নামেন, তাহলে আমরা ধরতে পারলেই সোজা ডাম্পিং স্টেশনে পাঠিয়ে দেব।

এর আগে চালক ও মালিকপক্ষের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বাস মিনিবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদিকুর রহমান হিরু। মহাখালী বাস টার্মিনালের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক।

অন্যান্যদের মধ্যে ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার আবুল মোমেন, বিআরটিএর রোড সেইফটি বিভাগের পরিচালক, বিআরটিএর রোড সেইফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মো. মাহবুব-ই-রব্বানী বক্তব্য রাখেন।

;