হোমনায় টেঁটাযুদ্ধে নিহত ১

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার হোমনায় দুই গ্রুপের টেঁটাযুদ্ধে নুরন্নবী (২৮) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

বুধবার (১২ আগস্ট) সকালে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর মিঠাইভাঙা গ্রামে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ছামাদ মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য জুনা আলী গ্রুপের মধ্যে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

আহতরা হলেন- ছামাদ মেম্বার গ্রুপের ছামাদ মেম্বার (৬৯), তার ভাই আবদুল করিম (৬৫) এবং একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২২)। এদের তিনজনকে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুনা আলী এবং ছামাদ মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে জুনা আলীর একটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। এতে প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করা হয়। বিরোধের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই জুনা আলী গ্রামে ঢুকতে না পেরে বাড়ির বাইরে ছিল। বুধবার ভোরে জুনা আলী তার দলবল নিয়ে গ্রামে ঢোকে। এরই জের ধরে এদিন সকালে উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, তাদের দীর্ঘদিনের বিবাদ এবং আধিপত্য বিস্তারই এই হত্যাকাণ্ডের কারণ।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছামাদ মেম্বার এবং জুনা আলী গ্রুপের মধ্যে টেঁটাযুদ্ধে জুনা আলী গ্রুপের নুরুন্নবী মারা যান। অপরদিকে ছামাদ মেম্বার ও তার ভাইসহ তিন জন আহত হয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।