‘জাস্ট গো’ ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে যা বললেন শিপ্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিপ্রা দেবনাথ

শিপ্রা দেবনাথ

  • Font increase
  • Font Decrease

মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ‘জাস্ট গো’ নামের পেজে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। ভিডিওতে ‘জাস্ট গো’ নিয়ে সিনহার সঙ্গে যে কর্ম পরিকল্পনা ছিল সে সম্পর্কে জানান তিনি।

ওই ভিডিওতে শিপ্রা বলেন, ‘হ্যালো আমি শিপ্রা দেবনাথ। গত ৩ জুলাই আমি, সিনহা, সিফাত এবং রুসকি আমরা চারজন কক্সবাজারে আসি ‘জাস্ট গো’ শিরোনামে ইউটিউব চ্যানেলে কাজ করার জন্য। আমাদের সাথে এরইমধ্যে বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায় যেটা আপনারা অনেকেই জানেন। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে এখানে এসেছিলাম জাস্ট গো নামের একটা চ্যানেল করে, সেটা নিয়ে কাজ করব। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য নিয়ে আমরা এখানে কাজ করছিলাম। আমরা যে প্রজেক্ট নিয়ে এখানে এসেছিলাম আমি ওই প্রজেক্টের ডিরেক্টর ছিলাম। আমি বিভিন্ন ধরেনর স্ক্রিপ্ট তৈরি করছিলাম।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, কোভিড-১৯ এর কারণে একজন প্রেজেন্টার খোঁজ করা খুব কষ্টের ছিল তাই আমি নিজেই প্রেজেন্টারের কাজ করছিলাম। সিনহা আমাদের প্রোডিউসার ছিলেন, কিন্তু আমরা তাকে শুধু একজন প্রোডিউসার বলতে চাই না সে ছিল আমাদের একজন সহযোগী বা সহকর্মী। সিফাত সচরাচর ক্যামেরা চালায়, সে এখনো আমার ভিডিওটি ধারণ করছে।’

শিপ্রা বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু প্ল্যান ছিল যেগুলো বেশ কিছু ঘটনার কারণে সঠিকভাবে হচ্ছে না। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম যার জন্য আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি, সেই স্বপ্নটা মনে হয় এখন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। অলরেডি জাস্ট গো নামে বেশ কিছু ভুয়া চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। আমরা চিন্তা করেছিলাম এই মাসের ১৫ তারিখ থেকে এই চ্যানেলে ভিডিও আপলোড দেওয়া শুরু করব, কিন্তু এখন দেখছি এই চ্যানেলটা আমাদের বাঁচানো জরুরি। যেই স্বপ্নের জন্য আমরা এত কিছু হারিয়েছি আমরা চাই এই চ্যানেলটি বাঁচুক।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বেশকিছু ভিডিও করেছি পাবলিশ করার জন্য কিন্তু সেগুলো এখনো পুরোপুরি রেডি হয়নি। কিছু কাজ এখনো বাকি আছে। আমরা চাই এটা তাড়াতাড়ি লঞ্চ করতে। জাস্ট গো আমাদেরই শ্রমে করা, আমরা চাই না আমাদের শ্রম নষ্ট হোক। আমরা যে বড় বিল্ডিং তৈরি করেছি সেই বিল্ডিংয়ের সবচেয়ে শক্ত খুঁটিটি ভেঙে গেছে। আমরা চাই এই খুঁটিটি যেন একেবারে ভেঙে না পড়ে। আমরা আশা করি আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।’

ভিডিওতে শিপ্রা আরও বলেন, ‘আসলে ভিডিওটি আমরা মার্চ মাসে প্ল্যান করি। তারপর আমরা নওগাঁর আলতাদীঘিতে যাই। সে জায়গাটা আমাদের খুব পছন্দ হয়। আলতাদীঘিতে যাবার পর আমি এক রাতেই স্ক্রিপ্ট রেডি করে ফেলি, আর ভিজুয়ালাইজেশন রেডি ছিল। এরপর আমি সিনহাকে বলি, সিনহা তোমার ক্যামেরা চালাতে হবে। তখন সিনহা বলে, অবশ্যই চালাব যদি তুমি শিখিয়ে দাও। আমি ক্যামেরার সামনে থাকলে পেছনের সব কিছু ও করতো। সিনহা অনেক বুদ্ধিমান ছিল। সে জানতো কোন কাজ কীভাবে করতে হয়। আমরা নদীর শ্যুট করেছিলাম, পাহাড়ের শ্যুট করেছিলাম ও বনের স্যুট করেছিলাম। তখন আমাদের টিমের সেফটির বিষয়টাও দেখেছে কিন্তু সেই মানুষটা যে আজ আর নেই। যেদিন সে মারা যায় সেদিন সে পাহাড়ের টাইম লাইভ দিচ্ছিল। সেজন্য সেদিন আমার যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। সেই ক্যামেরার পেছনে থেকে ‘চলো আর একটা করি’ এমন কথা বলা লোকটা আর নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন নওগাঁতে আলতাদীঘির শ্যুট করেছিলাম পরে জেল থেকে এসে দেখি সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এই ভিডিও আমরা পাবলিশ করিনি। কে বা কারা এটি পাবলিশ করেছে তা আমরা জানি না। আমরা চেয়েছিলাম এটা আন্তর্জাতিকভাবে পাবলিশ করতে, যাতে বিশ্বের মানুষ আমাদের দেশের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পারে।’

‘আলতাদীঘিতে শ্যুট করার পর ওর কিছু কাজ ছিল আর আমাদেরও কিছু কাজ ছিল তখন ভাবলাম পাহাড় আর সমুদ্র নয় কেনো? যেহেতু সমুদ্র সৈকত এখন ফাঁকা, তাই এখনি সুযোগ এটি ভালোমতো ধারণ করার। তখন আমরা ভাবি কোথায় শুরু করবো, কোথায় শুরু করবো। তখন ভাবলাম আমরা কক্সবাজারকেই বেজ ক্যাম্প করব। যেহেতু এখানে পাহাড়, নদী ও সমুদ্র একসাথে পাব। তারপর আমরা দুজনে প্ল্যান করে কক্সবাজারে চলে আসি’- বললেন শিপ্রা

   

রাঙামাটিতে মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটি শহরের অদূরে সদর উপজেলাধীন জীবতলীর আগরবাগান এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের এক নম্বর আগরবাগান এলাকার জঙ্গল থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করে।

এসময় নিহতের মাথা একটি গাছের সাথে রশিতে ঝুলে থাকলেও মরদেহের বিচ্ছিন্ন দেহটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন মাথা রশিতে ঝুলছে এবং মরদেহটি নিচে পড়ে আছে।

তিনি জানান, মরদেহটি ২০-২৫ দিন আগের হতে পারে।

এদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, মরদেহটি সন্ধ্যার পরে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মরদেহের শরীরে মাংস নেই বললেই চলে আর এটি বেশ কিছুদিন আগের। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

;

নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার পুরাতন কাঠহাটি এলাকা থেকে জানালার লোহার গ্রিল কেটে চুরি হয়ে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে, এদিন সকালে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সরল শিকারপুর গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে শামীম হৃদয় (২৪), নিরব সাজেদুর (২৭) ও আরজি নওগাঁ মধ্যপাড়ার কালু বাবুর ছেলে সরল হোসেন (২০)।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুরাতন কাঠহাটি এলাকায় মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে জানালার লোহার গ্রিল কেটে চোরের দল ঘরে ঢুকে এক জোড়া স্বর্ণের ঝুমকা, একটি স্বর্ণের কণ্ঠমালা, এক জোড়া স্বর্ণের পাশা এবং এক জোড়া ব্রোঞ্জ ও স্বর্ণের সমন্বয়ে নক্সা মুখবালা চুরি করে নিয়ে যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ঘটনার পর পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এরপর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের দিক নির্দেশনায় নওগাঁ সদর থানা-পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় শামীম, সাজেদুর ও সরল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সকল স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

;

সূর্যের প্রখরতায় জনজীবনে অস্বস্তি, ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের শুরু থেকেই সারাদেশে সূর্যের প্রখরতা বাড়ছে। সূর্য উদয় থেকেই তেজদীপ্ততা শুরু হয়, সেই থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তীব্র তাপদাহে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে জনজীবন। শুধু তাই নয় রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছে মানুষ। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি। দেশের এমন পরিস্থিতি আগামী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এদিকে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

 

;

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টা না পেরোতে আবারো ১১ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। এ নিয়ে বর্তমানে ২৮৫ জন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে টেকনাফের জীম্বংখালী সীমান্ত দিয়ে ৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি ৮ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেন। 

এর আগে গতকাল রাতে টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে কোস্ট গার্ডের কাছে ১৩ জন বিজিপি সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে কোস্টগার্ড বিজিপি সদস্যদেরকে বিজিবি'র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে (১১ বিজিবি) হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গতকাল ১৩ জন এবং আজকে ১১ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা সবাই বিজিবি হেফাজতে আছে।   

;