অর্থ নয়, দক্ষ জনবলের সংকট: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেক অফিসারকে দেখেছি সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলতে চায়। এখন অর্থের কোনো সংকট নেই, দক্ষ জনবলই আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, এনার্জি সিকিউরিটি এবং আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ভার্চুয়াল এ আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (বিপপা)।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের দক্ষ লোকের প্রয়োজন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সেই সময়ে রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ট্রেনিং করতে পাঠিয়েছিলেন অনেককে। এখনও তারাই বিভিন্ন সেক্টর পরিচালনা করছেন। অনেকে অনেক কথা বলেন, পদ্মা সেতু হতোই, বিদ্যুৎ হতোই। তাদের উদ্দেশ্যে বলি, না হতো না, অনেক সরকার দেখেছেন তারাতো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলেনি, শেখ হাসিনা সরকার বলেছে। মুজিব বর্ষেই সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। অনেকে সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেন। হ্যাঁ আমরা এখনও অনেক পেছনে। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে যাচ্ছি। পরশা একটি গ্রাম সেখানে বিদ্যুৎ যাওয়ার পর রাত ১২টা পর্য‌ন্ত বাজার চলে। আগে সন্ধ্যায় ঘুমিয়ে যেতো মা-বোনেরা। এখন রাত ৯টা পর্য‌ন্ত কাঁথা সেলাই করে।

যেখানে ১১ ঘণ্টাও লোডশেডিং হতো। এখন আমরা জেনারেটর ও আইপিএসের ব্যবসা উঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। হ্যাঁ গ্রামে এখন নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারিনি। নদী, খাল, ঝড়-বাতাসে অনেক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাছের ডাল পড়ে যায়।

পায়রাতে প্রথম যখন গেছি ধুধু বালু। প্রথম অনেকে অনেক কথা বলেছে। পাওয়ার প্লান্ট রেডি হওয়ার আগেই কয়লা এনেছি। আমেরিকাতেও অনেক প্লান্ট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি নেই, আমরা পায়রাতে করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে বিদ্যুতের কারণে। ১৩ জনের ওপরে লোক মারা গেছে। শত শত লোক আক্রান্ত হয়েছে এরমধ্যেও কাজ চলছে। কিছুটা ভুলভ্রান্তি থাকবেই। যদি প্রশংসা না করি তাহলে মাঠ পর্যায়ে লোকজন হতাশ হবে। আমরা পেপারলেস অফিস করতে চাই। আগামী ২ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ ইআরপি হবে। জ্বালানিতেও করতে যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন কাগজপত্র দেখি আর ভাবি মাত্র সাড়ে তিন বছরে কিভাবে এতো কিছু করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বেশ অবাক লাগে, তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, রাস্তা নেই, ব্রিজ নেই, টাকা নেই, মানুষের ঘরে খাবার নেই। বিশ্বে তখন ঠান্ডা যুদ্ধ চলমান, কোন দেশ কাকে নিবে তারও একটি লড়াই চলছিল। এখন অনেক বড় বড় দেশ বাংলাদেশকে সহায়তা করছে যারা তখন আমাদের সমর্থনে ছিল না।

সেই সময়ে নাইজেরিয়াসহ অনেক বড় বড় দেশ বিদেশিদের হাতে তাদের গ্যাস তুলে দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আর্থিক অবস্থা, রাজনৈতিক ভিতটাও শক্তিশালী হয়নি তখন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। ৫টি গ্যাস ফিল্ড কিনে নিয়ে ভিত রচনা করেছেন। ক্রাইসিসে কিভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় সেই পথটা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই সাহসী সিদ্ধান্তের রিফ্লেকশন দেখতে পাই নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার ঘোষণা।

তিনি বলেন, কয়লা তুলতে গেলে তার প্রভাব কি, শেখ হাসিনার কাছে প্রথম হচ্ছে মানুষ ও পরিবেশ। আমাকে বলেছেন, মানুষের ক্ষতি না করে যদি কিছু করতে পারো তবে দেখো। এই যে এলএনজি আমদানি করছি, এটা নিয়েও অনেক কথা। আমাদের গ্যাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। শিল্প বাড়ছে সেখানে গ্যাস দিতে হবে। হ্যাঁ দুর্নীতে কমাতে হবে। যতো আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়বো ততো দুর্নীতি কমবে। যে দেশে যতো প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে। সেই দেশ দ্রুত এগিয়ে গেছে। আমরা আগে ইসিএ ফাইন্যান্সিং পাওয়ার প্লান্ট করেছি, এখন নিজেদের অর্থে করছি। নিজেদের অর্থে এলএনজি আমদানি করছি।

আগে তেল আসার পর বড় জাহাজ থেকে খালাস করতে ১২দিন লাগতো। এখন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তেল আসবে। এ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে। এতে ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে আনতে লোকসান হয়। ভেজাল হয় এটাও বন্ধ হয়ে যাবে। এটাও কিন্তু জ্বালানি নিরাপত্তার অংশ। পতেঙ্গায় টার্মিনাল করছি, বাঘাবাড়িতে টার্মিনাল করছি। পাইপলাইনে তেল আসবে নারায়ণগঞ্জে, সেখান থেকে এয়ারপোর্টে। অনেকে বলেন সোলার দিয়ে বিদ্যুৎ করতে পারি। ১শ মেগাওয়াট বিদ্যুতে ৩’শ একর জমি লাগে। আমাদের উর্বর জমি কি বিদ্যুতের জন্য ব্যবহার করবো।

এলএনজি আমদানিতে স্পর্ট মার্কেটের কথা বলেন। স্পর্ট মার্কেট কিন্তু অনেক উঠানামা করে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কিন্তু ভিন্ন কথা। আমাকে অনেকে প্রশ্ন করেন তেলের দাম কমান না কেনো। তেলের দাম কমালে লাভ কার। গাড়িতে ব্যবহার হয়। গাড়ি ব্যবহার করেন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত। এই যে বিদ্যুতের তেল আমদানিতে ডিউটি ধরেছে এতে বিদ্যুতের মূল্যে কোনো প্রভাব পড়বে না। হ্যাঁ পাবলিক ট্রান্সপোটে ব্যবহার হয়। তারা যদি দাম কমায় তাহলে কমাতে পারি।

গাড়িতে তেল ব্যবহার করলে তার ইফিসিয়েন্সি ২০ শতাংশ। আর বিদ্যুতের ইফিসিয়েন্সি ৮০ শতাংশ। আমরা যদি বাস, ট্রেন ইলেকট্রিক্যাল করতে পারি তাহলে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার সেভ করতে পারবো। এখানে কাজ করতে হবে, আমরা বৈদ্যুতিক বাস চালু করবো। বেসিক তেলের জায়গা কাজ করার জন্য রিফাইনারি ইউনিট-২ করা হচ্ছে।

বাপেক্সকে শক্তিশালী না করার সমালোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাপেক্সকে বলেছিলাম তোমরা কি হবা, ড্রিলিং কোম্পানি, অনুসন্ধান কোম্পানি, নাকি সব। সেইভাবে অর্গানোগ্রাম চেঞ্জ করো। ৫ বছরেও তারা তা শেষ করতে পারেনি।

আমার মন্ত্রণালয় একমাত্র মন্ত্রণালয় যেখানে ইন্টার্নশিপ করা হচ্ছে। বছরে ৩’শ ছেলে মেয়েকে ইন্টার্নশিপ করাচ্ছি। বড় বড় জিনিস দেখে তারা ধারণা পাবে। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। সুশাসন যাতে থাকে সেদিকে নজর রয়েছে। স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করবো। সবার অনীহা, আগামী নির্বাচনের আগে এক-দেড়কোটি বসবে। তখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিল নিতে হবে না। করোনায় বিল না দেওয়ায় বিষয়টি শাপে বর হয়েছে। এখন বিতরণ কোম্পানিগুলো আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সাবেক একান্ত সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, অন্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ, বাপেক্সের সাবেক এমডি মর্তুজা আহমেদ ফারুক চিশতী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ সালেক সুফী, বিপপার চেয়ারম্যান ইমরান করিম প্রমুখ।

   

আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি, বৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিনদিন বাড়ছে তাপমাত্রা। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন পরিস্থিতিতে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। একই সঙ্গে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার দেওয়া পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বুধবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

;

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’ আদালতে ড্রাইভারের জবানবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

‘কেএনএফ অস্ত্রের মুখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে সেনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের সময় কেএনএফ সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ি চালাতে বাধ্য করেছে মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচির চাঁদের গাড়ি চালক কফিল উদ্দিন সাগর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দিতে একথা বলেন তিনি।

অপরদিকে বান্দরবানের রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার গাড়ির ড্রাইভারসহ কফিল উদ্দিন সাগর ও আরও ছয় সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এএসএম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, আজ তাদের ২ দিন রিমান্ড শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ পর্যন্ত মোট ৭৭ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ির চালকসহ মোট ৭৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন নারী রয়েছেন।

;

চরফ্যাসনে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোলার চরফ্যাশনে হিটস্ট্রোকে মিরাজ (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে দুলারহাট থানার আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক মিরাজ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

প্রতিবেশী আরিফ জানান, যুবক মিরাজ প্রচণ্ড রোদে দুপুরে তার নিজ বাড়িতে কাজ করছিলো। প্রায় দুই ঘণ্টা তীব্র রোদে থাকার পর হঠাৎ তার বুকে ব্যথার অনুভব হয়। বিকালে ব্যথা আরও তীব্র হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরফ্যাসন হাসপাতালে কর্মরত সাব-অ্যাসিস্টেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যুবক মিরাজ হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।

;

ফেনীতে গরমে চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও বইছে তীব্র তাপদাহ। কয়েকদিনের তীব্র গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডাবের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। তবে সরবরাহ কম থাকায় বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় ৬০ টাকা বেড়ে ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। অন্যদিকে মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এটি রেকর্ড মূল্য মনে করছে ক্রেতারা।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফেনী শহরের ট্রাংক রোড, নাজির রোড, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, কলেজ রোড ও সদর হাসপাতাল মোড়, মুক্তবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ডাবের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। দাম বেশি হলেও গরমের ক্লান্তি কাটাতে ডাব কিনে খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।


শহরের নাজির রোড এলাকায় ডাব বিক্রি করেন রিফাত। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর পাইকাররা ডাবের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা বাড়িয়েছে। গত বছরে ব্যবসায় এত বেশি দাম কখনো দেখিনি। এমনকি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ও এত দাম ছিল না। বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মুক্তাবাজারের ডাব বিক্রেতা এসানুল হক বলেন, সবসময় ঈদের পরপর চাহিদা কম থাকত, কিন্তু এবার তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে চাহিদা বেড়ে গেছে।উৎপাদকদের কাছ থেকে সরবরাহকারীরা বেশি দামে ডাব কিনেছেন, আর তাই পাইকারি বাজারে ডাবের দাম বাড়ছে বলে জানান এই বিক্রেতা।

সাফওয়ান নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। গরমে ডাবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। তারপরও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মায়ের জন্য ১৪০ টাকায় একটি ডাব কিনেছি। দাম যেমনই হোক না কিনে তো আর পারি না।


শহরের হাসপাতাল মোড়ে কথা হয় সাহাবউদ্দিন নামে আরেক ক্রেতার সঙ্গে। ডাবের বাজারদর নিয়ে তিনি বলেন, ১২০ টাকার নিচে তেমন কোনো ভালো ডাব নেই। যেভাবে গরম পড়ছে কিছুটা স্বস্তির জন্য এখানে এসেছি। সব দোকানেই দাম প্রায় একই।

শহরের নাজির রোড এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, গরমে গত কয়েকদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৩০-৪০টি ডাব বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডাবের সংকট থাকায় দাম কিছুটা বেশি। আমরা খুচরা পর্যায়ে সাধারণত কেনা দামের চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের কোনো হাত নেই।

ফেনী মহিপাল ফল আড়তের আব্দুল হাকিম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ফেনী শহরে যেসব ডাব বিক্রি হয় সেগুলো মূলত নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এলাকার। অল্প কিছু ডাব জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজী থেকে আসে। এখানে ডাবের কোনো আড়তও নেই। সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনে ট্রাকে করে ডাবগুলো এনে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে যায়। গত এক সপ্তাহে প্রতিটি ডাবের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। সঙ্গে বেচাকেনাও বেড়েছে।

শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ্ কায়সার সড়কের এডাব ব্যবসায়ী কাইয়ুম বলেন, গরমে প্রতিদিন এখন ৬০ থেকে ৭০টি ডাব বিক্রি হচ্ছে। নোয়াখালী ও সোনাগাজী অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেনা ডাব মানভেদে খুচরা পর্যায়ে ১৩০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে ঠান্ডা মৌসুমে একই ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয় বলেন তিনি।

;