অগ্রগতি আর সাফল্যে আধুনিকতার সারিতে ট্রাস্ট কলেজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ট্রাস্ট কলেজ

ট্রাস্ট কলেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার অভিজাত এলাকা উত্তরায় অবস্থিত ট্রাস্ট কলেজ। গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতি থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী এবং আধুনিকতার সারিতেই সুপরিচিত এ কলেজটি।

একাদশ শ্রেণিতে তিনটি বিভাগ প্রায় ৩৫০জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে ট্রাস্ট কলেজ। গত ১২ বছর ধরে সাফল্য আর ক্রমাগত অগ্রযাত্রায় ট্রাস্ট কলেজ।

ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত পাঠদানের জন্য রয়েছে ৮০ জন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতাপূর্ণ অকৃপণ শিক্ষাদানে বিগত ৯টি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ সহ ট্রাস্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীরা রেখে আসছে ঈর্ষণীয় সাফল্য।

সাফল্যের এই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ ২০টি কলেজের অন্যতম স্থান অর্জন করে ট্রাস্ট কলেজ।

ট্রাস্ট কলেজ গতানুগতিক মুখস্থবিদ্যা, নোটসংস্কৃতি, পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্তকরণ বা সাজেশন নির্ভরশীলতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ সিলেবাস সম্পর্কে দক্ষ করে তুলতে সর্বদা দৃঢ় প্রত্যয়ী। সৃজনশীল ও কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বায়নের উপযোগী, আলোকিত মানুষ ও দক্ষ জাতি গঠনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে ট্রাস্ট কলেজ।

সুদক্ষ ও বিচক্ষণ পরিচালনা পর্ষদ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকের সমন্বিত উদ্যোগে ট্রাস্ট কলেজের পাঠদান পদ্ধতিতে রয়েছে ব্যতিক্রমী ও অনন্য বৈশিষ্ট্য।

পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা

বৈশিষ্ট্যসমূহ হল :

একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পাঠদান-

এ পদ্ধতিতে বোর্ডের দুই বছরের সিলেবাসকে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছরকে তিনটি টার্মে ভাগ করা হয়। প্রতিটি টার্মের নির্ধারিত ক্লাসের সংখ্যা অনুযায়ী অধ্যায়সমূহ সাজিয়ে টার্মভিত্তিক পরিকল্পনা করা হয়। টার্ম পরিকল্পনানুযায়ী প্রতিদিনের ক্লাস পরিচালিত হয়ে থাকে।

পাঠ-পরিকল্পনা:
প্রতিটি ক্লাস পূর্বনির্ধারিত পাঠ-পরিকল্পনা অনুযায়ী নিখুঁতভাবে গ্রহণ করা হয়। ক্লাসের নির্ধারিত সময়ে শিক্ষকগণ কী বিষয় কোন পদ্ধতিতে পাঠদান ও মূল্যায়ন করবেন পাঠ-পরিকল্পনায় তা নির্ধারণ করা থাকে।

লেকচার শিট/প্রভাষণপত্র:
প্রতিটি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তির প্রাক্কালে মুদ্রিত পাঠ-পরিকল্পনা ও প্রভাষণপত্র সরবরাহ করা হয়। এই প্রভাষণপত্রে আলোচ্য বিষয়ের মূল প্রসঙ্গসহ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহ উল্লেখ থাকে, যা ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস শুরুর আগে পড়া থাকলে ক্লাস চলাকালে সহজেই অনুসরণ করতে পারে। এতে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত ও বিশেষ ফলদায়ক হয়।

মানসম্মত নোট:
কোনো বিষয়ের লেকচার শুরুর পূর্বেই ছাত্রছাত্রীদের ‘A+’ পাওয়ার উপযোগী মানসম্মত হ্যান্ডনোট প্রদান করা হয় (অধ্যক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে)। ছাত্রছাত্রীরা এই নোটের সঙ্গে নিজের সৃজনশীল মেধা কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে।

সম্পূর্ণ বই পড়ানো হয়:
চূড়ান্ত পরীক্ষার পূর্বে প্রতিটি বিষয়ের মূল বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পড়ানো হয়। সেই সাথে শ্রেণিকক্ষেই ছাত্রছাত্রীদের প্রতিটি অধ্যায়ের সকল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করানো হয়।

বিশেষ ক্লাস:
নির্ধারিত ক্লাসের বাইরে অতিরিক্ত সময়ে শিক্ষকবৃন্দের প্রত্যক্ষ এবং নিবিড় তত্ত্বাবধানে অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং কম মেধাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য কলেজের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়।

অডিও-ভিজ্যুয়াল শিক্ষা মাধ্যম:

প্রচলিত প্রভাষণ বা লেকচার পদ্ধতি ছাড়াও প্রজেক্টর, কম্পিউটার, সিডি, ভিসিডিসহ বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেয়া হয়। শিক্ষাদান পদ্ধতির বৈচিত্র্যের কারণে শিক্ষা আনন্দময় এবং আকর্ষণীয় হয়। এতে দুর্বল এবং মনোযোগী ছাত্রছাত্রীরা সহজেই পঠিত বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভে সক্ষম হয়। শিক্ষা হয় স্থায়ী এবং ফলপ্রসূ।

শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে

বিকল্প ক্লাসের ব্যবস্থা:

কলেজটি আবাসিক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় হরতাল ও অবরোধে ক্লাস অব্যাহত থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা অনিবার্য কারণে ক্লাস চালানো সম্ভব না হলে পরবর্তী নির্ধারিত ছুটির দিনে বিকল্প ক্লাসসমূহের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

মেকআপ ক্লাস:
অসুস্থতা অথবা বিশেষ কোনো কারণে অধ্যক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে ছাত্রছাত্রী কোনো দিন অনুপস্থিত থাকলে মেকআপ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষকবৃন্দের নিকট ছাত্রছাত্রীকে উপস্থিত করার বিষয়টি অভিভাবকগণ নিশ্চিত করবেন।

ব্যবহারিক ক্লাস:

শ্রেণিকক্ষে পঠিত তত্ত্বীয় বিদ্যাকে আরও কার্যকর এবং বাস্তবজীবনে দক্ষভাবে কাজে লাগানোর প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষাগারে হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষা ব্যবহারিক রূপ পায়। এসব বিবেচনায় ট্রাস্ট কলেজ দেশে একটি নতুন শিক্ষা ধারার সূচনা করেছে এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানে ট্রাস্ট কলেজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাফল্যের শীর্ষে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

ব্যবহারিক ক্লাস

আবাসিক হোস্টেলে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান:
ট্রাস্ট কলেজ-এ ছাত্রছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল সুবিধা রয়েছে, যা পৃথক পৃথক হোস্টেল সুপার দ্বারা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করা হয়।


এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে হোস্টেলে অবস্থান করে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখা তত্ত্বাবধান করে থাকেন।

গাইড শিক্ষক/ফর্ম শিক্ষক:
প্রতি ১০ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য ১ জন গাইড শিক্ষক/ফর্ম শিক্ষক নির্ধারণ করা থাকে। এই গাইড শিক্ষক/ফর্ম শিক্ষক সার্বক্ষণিকভাবে ছাত্রছাত্রীদের পর্যবেক্ষণ করে থাকেন এবং যে-কোনো সমস্যায় ছাত্রছাত্রীর পাশে থেকে তা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এছাড়াও নিয়মিত একাডেমিক শিক্ষার সাথে সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীর অর্ন্তলোক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ট্রাস্ট কলেজে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি অনেক সহশিক্ষা কার্যক্রমও পরিচালিত হয়। ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতিদিনের ক্লাসের পাশাপাশি রুটিন অনুযায়ী নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চারও ব্যবস্থা রয়েছে।

ছাত্রছাত্রীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।

কম্পিউটার ল্যাবে কাজে ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা

যে সমস্ত ক্লাব রয়েছে তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১. সায়েন্স ক্লাব ২. ডিবেটিং ক্লাব ৩. ল্যাংগুয়েজ ক্লাব ৪. ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ৫. কালচারাল সেন্টার ৬. ট্যুরিস্ট ক্লাব ৭. রাইটার্স ক্লাব ৮. আবৃত্তি-সংঘ ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিভিশন আয়োজিত জাতীয় টেলিভিশন সংসদীয় ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১২-১৩ এর প্রথম রানার আপের সম্মান অর্জন করে ট্রাস্ট কলেজ। যথাযোগ্য মর্যাদায় আড়ম্বরের সাথে পালন করা হয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসমূহও।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি:
ট্রাস্ট কলেজ- EIIN: 134221; মাধ্যম : বাংলা ও ইংরেজি (আবাসিক/অনাবাসিক); শাখা ও আসন : বিজ্ঞান-৪৫০, ব্যবসায় শিক্ষা-১৩০, মানবিক-৮০; আবেদনের ন্যূনতম এচঅ : বিজ্ঞান-৪.০০, ব্যবসায় শিক্ষা-৩.০০, মানবিক-১.৫০।

ভর্তি-ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রী ও সম্মানিত অভিভাবকগণের সুবিধার্থে ঙহষরহব-এর মাধ্যমে আবেদনের জন্য সার্বক্ষণিকভাবে চালু রয়েছে ট্রাস্ট কলেজের Help Desk- ০১৭৩০ ৩২২ ৬০০ূ১১; সকল প্রকার ফি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে trustcollege.edu.bd থেকে Service Manifesto_pdf এবং বিগত বছরগুলোর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তুলনামূলক বিশ্লেষণ download করে জানা যাবে।

   

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

;