‘বঙ্গবন্ধু বিনা অস্ত্রে নিয়ন্ত্রণ নিলেন’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের ভার্চুয়াল সভা চলছে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের ভার্চুয়াল সভা চলছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

শত্রুপক্ষ অস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ ঘোষণা দিয়ে বিনা অস্ত্রে নিয়ন্ত্রণ নিলেন। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম।

শনিবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ধরনের শক্তি। আমি অরাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলাম না, আমি ছিলাম মহকুমার প্রশাসক (এসডিও)। সেদিন চুরি করে ৭ মার্চের ভাসন শুনতে এসেছিলাম। ১৫ মিনিটের সেই বক্তৃতায় সব ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই বক্তৃতায় এক ধরনের শক্তি ছিল।’

তিনি বলেন, ‘১৭ এপ্রিল যখন শপথ গ্রহণ করল প্রবাসী সরকার। ঘোষণাপত্র যখন পাঠ করা হলো, সেদিন সেটি কিন্তু সংবিধান ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু। প্রবাসী নয়, অস্থায়ী নয়, এটি ছিল স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রথম সরকার। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি সমর্থক শব্দ। এটাকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। অনেকে বলবেন বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের সময় ছিলেন না। কিন্তু তিনি না থেকেও বেশি ছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুব সিম্পল একটি গোল (লক্ষ্য) দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। সেটি হচ্ছে দুঃখী মানুষের হাসি ফোটানো। সমাজের ফাইনাল হ্যাপিনেস ইনডেক্স হচ্ছে হাসি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিল। তারা সব সাক্ষী প্রমাণ ধ্বংস করেছেন। ‍পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেনা আত্মসমর্থনের জায়গাকে যাতে স্মরণ করতে না পারি, তার জন্য সেখানে শিশুপার্ক করা হয়েছে, ভাবতে পারেন? চক্রান্ত কারা করেছিল, কারা সুবিধাভোগী ছিলেন, তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি।’

বিদ্যুৎ বিভাগের ভার্চুয়াল সভা চলছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ পঁচাত্তরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। ওই সময় আমরা কুচকাওয়াজের পর জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতাম। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অধ্যক্ষ পরিবর্তন হয়ে গেল। সেনা অফিসার অধ্যক্ষ হয়ে এলেন। তিনি পরের সপ্তাহে ঘোষণা দিলেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা যাবে না। সেদিন কিন্তু ছাত্ররা সেই নির্দেশনা মানেনি।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর ৩ মাস আমরা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে থেকেছি। সেই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরার জন্য সেনা অফিসার নিয়োগ দেয়া হলো। আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো। আমাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে চাইলেন, কিন্তু অধ্যক্ষ না করলেন।’

নসরুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময় পেয়েছিলেন কাজ করার। ওই সময়ে তিনি কী না করার চেষ্টা করেছেন। ভবিষ্যতে যা যা করার দরকার সব নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সারা বাংলাদেশের আজকের যে গতি, তার সেই ৫ গ্যাস ফিল্ড কেনার কারণে। বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়ে গেছেন, আমরা পারি, আমরা করতে পারব। মিথ্যা দিয়ে কখনো সত্যকে ঢাকা যায় না।’

২০০২ সালের কথা স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন ১৫ আগস্ট ঢাকা শহরে কোনো ব্যানার ছিল না। সেদিনের কথা মনে হলে এখনো অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে। প্রতিবার শেখ হাসিনা আসেন, দেশের উন্নতি হয়। আর অন্যরা আসেন, দেশ পিছিয়ে যায়। আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার এটাই উত্তম সময়।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে কতোটা আত্মস্থ করেছি সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, সমগ্র জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন কোনো সামরিক শক্তি তাকে মোকাবিলা করতে পারে না। যারা এক সময় নানা ব্যঙ্গ করত তারাই এখন সবচেয়ে বড় প্রেমিক সেজেছে, তাদের বিষয়ে সচেতন থাকার সময় এসেছে।’

বিদ্যুৎ বিভাগের ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বক্তারা।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিসুর রহমান বলেন, ‘যাকে পাকিস্তানিরা হত্যা করতে সাহস পায়নি, সেই বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশি কেউ হত্যা করতে পারে, এটা পঁচাত্তর সালে অনেকে বিশ্বাস করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু এক মহাকাব্যের নায়ক। বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তার আলোচনা চলতেই থাকবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘১৪ আগস্ট অপরাহ্নে আমরা যখন বাসায় ফিরছি, তখন সেই আশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছি যে পরদিন বঙ্গবন্ধু আসবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় যখনই সংকটে পড়েছে, তখনই বঙ্গবন্ধু হাজির হয়েছেন। যুদ্ধের পর শিক্ষার্থীরা নানা দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছিলেন। কিছু ছাত্রনেতা ভিসির কক্ষে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করেন। বঙ্গবন্ধু ভিসি ঘেরাওয়ের খবর পেলেন, তখন সোজা রেজিস্ট্রার ভবনে চলে এলেন বঙ্গবন্ধু। এসেই তালা খুলে দিতে বললেন। এতে বুঝা যায়, তিনি শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কী মর্যাদা দিয়েছেন।’

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন অতিরিক্ত সচিব একেএম হুমায়ুন কবীর, মাকছুদা খাতুন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির সিইও এএম খোরশেদুল আলম, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জে (অব.) মঈন উদ্দিন, ঢাকা ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) এমডি কাওসার আমির আলী, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) এমডি বিকাশ দেওয়ান, নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) এমডি জাকিউল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন কোম্পানি ও দপ্তর-পরিদপ্তর ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (পবিস) পদস্থ কর্মকর্তারা এই ভার্চুয়াল সেমিনারে অংশ নেন।

ভার্চুয়াল সভা শেষে ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

   

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) একটি কূটনৈতিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, পারস্পরিক সুবিধাজনক নতুন তারিখে এই সফরটি অনুষ্ঠিত হবে। এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনার অংশ।

২০ এপ্রিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদেরও এ সংক্রান্ত একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সফরটি স্থগিত করা হয়েছে।’

সফরের বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও শনিবার সংক্ষিপ্ত সফরে তার ঢাকায় আসার কথা ছিল।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকের কথা ছিল।

;

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;