আরও ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
পর্যায়ক্রমে সব রুটের যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেন চালু করারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে। এর ধারাবাহিকতায় নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রোববার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পারাবত, চিত্রা, নীলসাগর ও তিস্তা এক্সপ্রেস এই চারটা ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার রেল কন্ট্রোল।
১২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলবে যেসব রুটে: পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা- খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস,ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড়া এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটী-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস।
এছাড়া এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চলবে যে রুটে: ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন চালানো হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় আট জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। তবে কিছুদিন পর যাত্রী সংকটে দুই জোড়া ট্রেন বন্ধ হয়ে যায়।
বর্তমানের এখন মোট ১৭ জোড়া, অর্থাৎ ৩৪টি ট্রেন চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে। রোববার রেলের বহরে যুক্ত হলো আরও ১৩ জোড়া অর্থাৎ ২৬ টি ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জোড়া অর্থাৎ ৬০টি।
এদিকে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো একসাথে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। বিক্রিত টিকিট রিফান্ড করা যাবে না বা ফেরত নেওয়া হবে না। যাত্রার দিনসহ পাঁচ দিন পূর্বে আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা যাবে।
যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেন সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সুসম্পন্ন বন্ধ থাকবে।
রাত্রিকালীন উচ্চশ্রেণীর যাত্রীদের জন্য ট্রেনের ভেতর কোনরকম চাদর-কম্বল এবং বালিশ সরবরাহ করা হবে না এই লক্ষ্যে বিদ্যমান বেডিং চার্জ টিকিটের মূল্য হতে বাদ দেওয়া হবে। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, স্বাভাবিক সময়ে সারা দেশে প্রায় ১০০টির মত আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এই মাসের মধ্যে বন্ধ থাকা বাকি ট্রেনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে জানা গেছে।