যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৮ কিশোরকে গ্রেফতার
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্যাতনে ৩ কিশোর হত্যা ও ১৫ জন আহতের ঘটনায় বন্দী ৮ কিশোরকে গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশোরের চাঁচড়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক রকিবুজ্জামান বন্দী থাকা ৮ কিশোরকে গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানোর জন্য রোববার (১৬ আগস্ট) আদালতে আবেদন করেন। পরে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতার ওই ৮ কিশোর হলো- চুয়াডাঙ্গার আনিছ, গাইবান্ধার খালিদুর রহমান তুহিন, নাটোরের হুমাইদ হোসেন ও মোহাম্মদ আলী, পাবনার ইমরান হোসেন ও মনোয়ার হোসেন, রাজশাহীর পলাশ ওরফে শিমুল এবং কুড়িগ্রামের রিফাত আহমেদ।
জানা গেছে, শনিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৫ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। একই দিন সন্ধ্যায় ওই পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
ওই ৫ কর্মকর্তা হলেন- যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর শাহানূর এবং ওমর ফারুক।
এদিকে এই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও এই ঘটনায় পাঁচ সাক্ষী আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন।
গত ৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনসার সদস্য ও তাদের নির্দেশে কয়েকজন কিশোর অন্তত ১৮ জনকে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিট ও নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় ৩ কিশোর নিহত ও আরও ১৫ জন আহত হয়। সন্ধ্যার পর নিহতদের মরদেহ হাসপাতালে এনে রাখা হয়।
গত শুক্রবার এই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহত পারভেজ হাসান রাব্বির (১৮) বাবা খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়া। মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে। তবে আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে সংঘর্ষে তিন কিশোর নিহত, আহত ১৪
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ ১০ কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ কিশোর নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
৩ কিশোরকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্মকর্তারা!