সরকারি মূল্য কম, নীলফামারীতে চাল সংগ্রহে অনিশ্চয়তা
খোলা বাজারে ধানের বর্তমান বাজারমূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত চালের দাম কম। আর তাই নীলফামারী জেলায় বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে শতভাগ চাল সংগ্রহ অভিযানে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
চলতি বোরো মৌসুমে ১৯ হাজার ৬১২ মেট্রিক টন মোটা চাল সংগ্রহ করতে জেলা খাদ্য বিভাগ ১৯টি অটোমেটিক রাইচ মিল আর ৫৫০টি হাসকিং মিলের সাথে চুক্তি করে। গত ৭ মে থেকে শুরু হওয়া চাল সংগ্রহ অভিযানে সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে খাদ্য গুদামে সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ৭হাজার ৫৭৮মেট্রিক টন চাল। যা লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ।
বাজারে ৯৫০ থেকে ৯৭০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে বোরো ধান। এ ধান থেকে চাল উৎপাদনে প্রতি কেজির দাম দাঁড়ায় ৪০ থেকে ৪২ টাকা। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা থেকে ৬ টাকা ব্যয় বেশি হওয়ায় মিল মালিকরা পড়েছে লোকসানের মুখে। এতে এ বোরো মৌসুমে মিল মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে অন্তত ১০ কোটি টাকা। আর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে বিশেষ প্রণোদনার দাবি মিল মালিকদের।
ক্ষতিপূরণে বিশেষ আর্থিক সহায়তা চেয়ে নীলফামারী পৌর শহরের আজিজুল ইসলাম অটোমেটিক রাইস মালিক মালিক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমরা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছি ৩৬ টাকা দরে চাল দেয়ার। কিন্তু ধানের বাজার দর বেড়ে যাওয়ায় প্রতি কেজি চল উৎপাদনে খরচ পড়ছে ৪০ টাকার বেশি। এভাবে লোকসান হলে মিলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।'
জেলার বেশ কয়েকজন হাসকিং ও অটোমেটিক মিল মালিকদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, 'ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাল উৎপাদনে প্রতি কেজিতে ৪ টাকা থেকে ৬ টাকা লোকসান করে চাল সরবরাহ করতে বেগ পেতে হচ্ছে মিল চাতাল মালিকদের। ছোট বড় সকল হাসকিং ও অটোমেটিক রাইস মিল মালিকেদর বিশেষ প্রণোদনার দাবি করেছেন তারা।'
সদ্য যোগদান করা নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভূইয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, 'ব্যবসা করতে গেলে লাভ ক্ষতির হিসাব করলে চলবে না। একবার লস হলে আরেকবার লাভ হবে। আমি সকল মিলারদের ডেকে মতবিনিময় করে চলতি মাসেই চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহের জন্য বলেছি। তবে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে কিনা সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে।'