বিনিয়োগ বাড়াতে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতকে অর্থমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগকারী আনার লক্ষ্যে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (২০আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় নবনিযুক্ত দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কেউনের সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অর্থমন্ত্রী এই আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি নবনিযুক্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতকে এ সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের কোরিয়ান ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সম্পর্কে ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রের অভূতপূর্ব বিশাল অগ্রগতি সম্পর্কে জাং-কেউনকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন, প্রথম বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে উন্নয়ন অংশীদার এবং বিনিয়োগ অংশীদার হিসাবে কাজ করার আগ্রহের কথা অবহিত করেন। তিনি বলেন, কোরিয়ায় অনেক বাংলাদেশি প্রবাসী কাজ করছেন এবং বাংলাদেশের মজুরি উপার্জনকারী রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে কোরিয়া অন্যতম দেশ। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি এসকল শ্রমিকদের সাধুবাদ জানান।
লি জ্যাং-কেউন বাংলাদেশের কোরিয়ান বিনিয়োগের সাম্প্রতিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন, বিশেষ করে স্যামস্যাংয়ের মোবাইল অ্যাসেম্বলিং এবং হুন্দাইয়ের স্থানীয় অংশীদারের সাথে অটোমোবাইল অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট সম্পর্কে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারি প্রকল্পে কাজ করার বিষয়েও কোরিয়ান নির্মাণ সংস্থাগুলির প্রতি সরকারের আস্থা রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে মেঘনায় তৃতীয় সেতুটি নির্মাণের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেখানেও কোরিয়ান সংস্থা দেওয়ূ আগ্রহ দেখাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উদ্দীপনা প্যাকেজের সহায়তায় বাংলাদেশের অর্থনীতি কোভিড-১৯ মহামারী থেকে প্রত্যাবর্তন শুরু করেছে। নির্মাণ, উচ্চ-প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে কোরিয়া থেকে বিনিয়োগ আনার এটি অত্যন্ত ভাল সময়।
কোরিয়ান জায়ান্ট সংস্থাগুলির সাফল্যের কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী উভয় দেশের পক্ষে লাভজনক হওয়ায় বাংলাদেশে আরো বেশি বিনিয়োগকারী আনার লক্ষ্যে কোরিয়ান রাষ্ট্রদূতকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
লি জ্যাং-কেউন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সাথে একমত পোষণ করেন এবং কোরিয়া থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আনতে বাংলাদেশের কোরিয়ান দূতাবাসের ভবিষ্যতের ভূমিকার বিষয়ে তাকে আশ্বাস দেন।
তিনি আরো যোগ করেন, উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ) দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করছে।