পাটুরিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যানবাহন
একত্রে তিন দিনের ছুটি মিলে যাওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের চাপ বাড়ছে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। এতে করে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। যার ফলে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে অপেক্ষমাণ পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ছে ঘাট এলাকায়।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেখা যায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক এবং ৫০ থেকে ৬০টি বাস নদী পারের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। আর মহাসড়কের উথুলী এলাকায় আটকা রয়েছে দেড় শতাধিক ট্রাক। ঘাট এলাকায় ট্রাকের চাপ কমলে মহাসড়ক থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী ট্রাকগুলোকে ঘাট এলাকায় পাঠাবে শিবালয় থানা পুলিশ।
তবে অপেক্ষমাণ ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির কোনো সারি নেই। যে কারণে ঘাট এলাকায় আসা মাত্রই ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে ছোট গাড়ির চালক ও যাত্রীরা। অপরদিকে আধ ঘণ্টার নৌরুট পারাপারের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী পণ্যবাহী ট্রাক চালকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। কখনো আবার এর চেয়েও বেশি।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারি ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে সবগুলো ফেরি চলাচল করছে। সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাস ও ট্রাক মিলে তিন শতাধিক যানবাহন অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে জানান তিনি।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, ফেরিঘাট যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় ঘাটের প্রায় সাত কিলোমিটার আগে মহাসড়কের উথুলী সংযোগ সড়কে দেড় শতাধিক ট্রাক আটকে রাখা হয়েছে। ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ কমলে এখান থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঘাটে পাঠানো হবে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত সরকারি ছুটি হওয়ায় ঘাট এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের চাপ বাড়ছে। যে কারণে ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক ও বাস পারাপারে কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে। তবে বাসের চাপ কিছুটা কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে নৌরুট পারাপার করা হবে বলে জানান তিনি।