কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এমপির ভাইকে কুপিয়ে হত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
হাসিনুর রহমান

হাসিনুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. আ.কা.ম সারওয়ার জাহান বাদশার ফুপাতো ভাই হাসিনুর রহমানকে (৫০) প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

এ সময় জব্বার নামে আরেক ব্যক্তি আহত হন। হামলাকারী মুজিবুর রহমান বয়াতিকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, একটি খুনের ঘটনা মীমাংসার মধ্যস্থতার চেষ্টা করছিলেন হাসিনুর। এর জের ধরে তাকে খুন করা হতে পারে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, হাসিনুর রহমান সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাংসদের অবর্তমানে তার ব্যক্তিগত ও দলীয় কাজকর্ম হাসিনুর দেখভাল করতেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জব্বার নামে একজনের মোটরসাইকেলে চড়ে নিজ বাড়ি থেকে স্থানীয় বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় বাড়ির পাশেই একটি দোকানের কাছে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মজিবুর রহমান বয়াতি তার ওপর আচমকা হামলা চালায়।

এ সময় রমদা দিয়ে হাসিনুরের শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকলে এক পর্যায়ে তিনি মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু নিশ্চিত করে হামলাকারী পালিয়ে যায়। আহত হন মোটরসাইকেলের চালক জব্বার আলী।

জানা গেছে, বছরখানেক আগে মজিবুর রহমান বয়াতির এক বছর বয়সী ছেলে খুন হয়। সে সময় মজিবর এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করে দৌলতপুর থানায়। মামলার আসামিরা সবাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। স্থানীয়রা জানায়, সাংসদের প্রতিনিধি হিসেবে হাসিনুর রহমান এই হত্যা মামলাটি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মজিবুর এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক মাহবুবুর রহমান জানান, ‘নিহত হাসিনুর রহমান সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। তিনি মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করতেন। মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন।’

দৌলতপুর থানার ওসি নিশিকান্ত জানান, ‘ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পরপরই হামলাকারী মজিবর রয়াতিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’

   

'শুধু কিশোর গ্যাং নয়, তাদের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আমরা কিশোর গ্যাং দেখতে চাই না। কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাদের হাত থেকে নিরীহ মানুষ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক থেকে শুরু করে কেউ রক্ষা পাচ্ছে না। শুধু কিশোর গ্যাং নয়, তাদের গডফাদারদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গত মাসের খাতওয়ারি অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান।

এসময় জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখানকার সীতাকুন্ড, মিরসরাই ও সন্ধীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠাতব্য নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভার বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ঠিক উপজেলা পরিষদ নির্বাচন একইভাবে অনুষ্ঠিত হব।

সভায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র উদ্ধারে মাদক রোধে পুলিশ কাজ করছে। যদি কোনো গোষ্ঠী বা দল অনুষ্ঠাতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে তাদের ছাড় নেই।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক মো. মাজাহারুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব প্রমুখ।

সভায় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;

অচিরেই পায়রা বন্দর 'ইকোনমিক হাবে' পরিণত হবে: বন্দর চেয়ারম্যান 



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
‘অচিরেই পায়রা বন্দর 'ইকোনমিক হাবে' পরিণত হবে’

‘অচিরেই পায়রা বন্দর 'ইকোনমিক হাবে' পরিণত হবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

অচিরেই পায়রা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ 'ইকোনমিক হাবে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফরের সাথে বৈঠককালে বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

পায়রা বন্দর দক্ষিণ অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান আল মামুন চৌধুরী বলেন, পায়রা বন্দরটি বাংলাদেশের কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে এটি ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দরটি মূল সমুদ্র থেকে খুব কাছে এবং বড় মাদার ভ্যাসেল সহজেই এই বন্দরে আগমন করতে পারে।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত এর বিনিয়োগকারীদের অনুরোধ জানানোর জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলটি খুবই প্রশস্ত এবং সমগ্র চ্যানেলে ন্যূনতম ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা রয়েছে, যা দেশের অন্য বন্দরগুলোর তুলনায় বেশি। পায়রা বন্দর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পায়রা বন্দরটি প্রতিষ্ঠা করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দূরদর্শী ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।

বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর জানান, পোর্ট সেক্টরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পায়র বন্দর এখন একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সেক্টর। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুবাইয়ের সরকার এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনা করবেন বলে জানান। পায়রা বন্দরে কেমিক্যাল ও পেট্রোলিয়ম স্টোরেজ সুবিধাদি খাতে দুবাইয়ের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করতে পারেন বলে তিনি জানান, যেমনটি দুবাই সরকার ইতিপূর্বে সিঙ্গাপুরে করেছে।

এছাড়াও পায়রা বন্দরে বন্দর ব্যবস্থাপনা খাতে দুবাই কর্তৃক আরও কোন কোন জায়গায় বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে সে বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের অবহিত করতে শীঘ্রই পায়রা বন্দর থেকে একটি প্রতিনিধি দল সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করতে পারে বলে রাষ্ট্রদূত মতামত প্রকাশ করেন।

এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন এবং এ বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানান। পায়রা বন্দর পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ দূতাবাস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অদূর ভবিষ্যতে পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী অঞ্চলটি দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরে রূপান্তরিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

সভায় বন্দর চেয়ারম্যান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- কমান্ডার মাহমুদুল হাসান খান (চিফ হাইড্রোগ্রাফার, পাবক), মূর্শিদুল ইসলাম (পরিচালক প্রশাসন, পাবক), ক্যাপ্টেন এস এম সরিফুর রহমান (হারবার মাস্টার, পাবক), লে. কমান্ডার রিফাত মাহমুদ, (উপ পরিচালক নিরাপত্তা, পাবক), মো. আজিজুর রহমান (উপ পরিচালক ট্র্যাফিক), অমিত চক্রবর্তীসহ (যুগ্ম পরিচালক, এস্টেট, পাবক) অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

ফেনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কোরআনে হাফেজের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার আবদুল্লাহ আল নোমান (১৪) নামে এক ক্ষুদে কোরআনে হাফেজের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহতের মামা মাওলানা মাহফুজুর রহমান (৩৭) গুরুতর আহত হয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি চরলক্ষ্মীগঞ্জ নাজেরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার নুরানী শিক্ষক ও চরগোপালগাও জামে মসজিদের ইমাম।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুহুরীগঞ্জ এলাকার কাশীপুর রাস্তায় মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হাফেজ নোমান ফেনী সদর উপজেলার শান্তি কোম্পানি রোড খাজুরিয়া পাটোয়ারী বাড়ির আলমগীর পাটোয়ারীর কনিষ্ঠ পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত নোমান ও তার মামা মাহফুজুর রহমান রাধানগর ইউনিয়নের উত্তর কুহুমা গ্রামে নোমানের নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি জেলা শহর ফেনীতে যাচ্ছিলেন। এসময় কাশীপুর রাস্তা মাথায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল চালক মাহফুজুর রহমান হঠাৎ মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে পেছনে বসে থাকা নোমান মোটরসাইকেল থেকে সড়কের উপর ছিটকে পড়ে যায়। পরক্ষণে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির ধাক্কায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে।

ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার



অভিজিত রায় (কৌশিক), স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার

৪৩ হাজারের ধারণক্ষমতার কারাগারগুলোতে বন্দি ৬৬ হাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে দেশের কারাগারগুলোতে রয়েছেন ৬৬ হাজারের বেশি বন্দি। এদিকে, কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতা রয়েছে প্রায় ৪৩ হাজার। কারা অধিদফতরের দেওয়া তথ্য বলছে, ধারণক্ষমতার চাইতে ২৩ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছেন দেশের কারাগারগুলোতে।

কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া বার্তা২৪.কম-কে বলছেন, আমাদের আজকে (১৬ এপ্রিল) পর্যন্ত সারা দেশে মোট কারাবন্দি আছেন ৬৬ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৩ হাজার ৬৮৫ জন এবং মহিলা ২ হাজার ৬৪১ জন।

দেশের কারাগারে ধারণক্ষমতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাবন্দিদের হিসাব অনুযায়ী আমাদের ধারণক্ষমতা অনেক কম। আমাদের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন।

ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দিরা কীভাবে রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ধারণক্ষমতা তো আর হুট করে বাড়ানো যায় না। তাই আমাদের ম্যানেজ করে কারাবন্দিদের রাখতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেটা থাকার কথা সেই হিসাবে ৪২ হাজার ৮৬৬ জন থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় কারাবন্দি বেশি হওয়ার কারণে এক রুমে রাখার কথা ৪ জন, আমরা সেখানে ৮ জন রাখছি। ইউনিভার্সিটির হলগুলোর মতন আর কী! যদি বন্দি বেশি হয় তাহলে আমরা সেগুলো ম্যানেজ করে রাখি। আমাদের সক্ষমতা আস্তে আস্তে বাড়ছে। একসময় আমাদেরও এই সক্ষমতা পূরণ হয়ে যাবে।

এর আগে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সে সময় তিনি বলেন, শুধু আকরামের ঘটনা নতুন নয়। আমাদের আন্দোলন চলাকালে ৩০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০ থেকে ৮০০ জন নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে৷ গত কয়েক দিনের মধ্যে তারা ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ৷ তারা সারা দেশকে নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছ।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে দেওয়া তথ্যকে মিথ্যা বলছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেই সঙ্গে এই দাবির যথাযথ প্রমাণ না দিতে পারলে মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ নেতাকর্মী জেলে বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬০ লাখ লোকের তালিকা চাই। ছিল ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দির তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।

;