হোসেনি দালান চত্বরেই ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমে তাজিয়া মিছিল
হোসেনি দালান চত্বরেই আশুরা পালন করা হচ্ছে। ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতমে চলছে শিয়া সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান তাজিয়া (শোক ও সমবেদনা প্রকাশ) মিছিল।
হোসেনি দালানের প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে হায় হোসেন, হায় হোসেন মাতম তুলে মিছিলের মত ঘুরছেন শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
রোববার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিল। তবে দিনভর তাজিয়া মিছিলের পাশাপাশি চলবে অন্যান্য আচার অনুষ্ঠান।
সকাল থেকেই সীমিত পরিসরে পবিত্র আশুরা উদযাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করে শিয়া সম্প্রদায়ের ইমামভক্তরা। সকাল ১০টার আগেই ইমামভক্তদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী হোসেনি দালান প্রাঙ্গণ। লাল-কালো আর সবুজের সমারোহে নানা অক্ষর খোচিক নিশান হাতে ছুটে আসেন তারা।
এরপর সকাল দশটা থেকে শুরু হয়, মূল আচার অনুষ্ঠান শোক বা তাজিয়া। এতে দশ বিশজন দলবদ্ধ হয়ে চক্রাকারে বুক চাপড়িয়ে চাপড়িয়ে হায় হোসেন, হায় হোসেন ধ্বনিতে শোকের দিনটিকে স্মরণ করছেন তারা। আবার কেউ কেউ স্লোগ গাইছেন পবিত্র দিনের স্মৃতিকথা তুলে ধরে। আর কেউ কারবালার যুদ্ধে নিহত হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.)-এর সমাধির প্রতিকৃতিতে আগরবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন ফুল দিয়ে। আর কেউ কেউ শিয়া সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর কবর জিয়ারত করছেন।
তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মানুষের পদচারণা বেশি না হলেও ইমামবাড়া প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে নারী-পুরুষ, যুবক এমনকি শিশুদের আনাগোনায়। তবে তাদেরকে ভেতরে প্রবেশের আগে দুই স্থরের নিরাপত্তা বেষ্টনী পাড় হয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও অন্যান্য সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রয়েছেন পুরো হোসেনি দালান এলাকায়।
এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রোববার (৩০ আগস্ট) সরকারি ছুটি। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার সব ধরনের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তবে ধর্মপ্রাণ নগরবাসী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমাম বাড়াগুলোতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন। পাশাপাশি রাজধানীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।