বন্যায় সবজির বাজারে আগুন
সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলায় বয়ে গেছে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা। এতে নষ্ট হয়েছে কৃষকের ধান-পাটসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। এ কারণে জেলার হাট-বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচসহ শাক-সবজির দাম বাড়ছেই।
সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ বেশ কিছু হাট-বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আর এভাবে দাম বাড়ার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষরা। তাদের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা। দৈনন্দিন রোজগারের টাকা দিয়ে কষ্ট করে কিছু চাল কিনলেও, কিনতে পারছে না চাহিদা মতো শাক-সবজি।
জেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কচু ২০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, সজনে ডাঁটা ২০০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, শসা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লাল শাক ৪০ টাকা, পুঁইশাক ৩৫ টাকা, কলমি শাক ৪০ টাকা, পাট শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ৫০ টাকা ও লাউ শাক (প্রকার ভেদে) ৪০ থেকে ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভ্যান চালক আব্দুল মতিন মোল্লা বলেন, ‘করোনার কারণে কয়েক মাস ভ্যান চালাতে পারিনি। এরপর বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে যায়। এখনো রাস্তায় সব সময় ভ্যান চালাতে পারি না। প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা রোজগার হয়। কিন্তু সবজির বাজারে যেন আগুন লেগে থাকে। সব কিছুর দাম বেশি। বর্তমানে ৫ সদস্যের সংসার চালাতে আমার কষ্ট হচ্ছে।’
সাদুল্লাপুরের খুচরা সবজি বিক্রেতা লাল মিয়া বার্তা২৪.কমকে জানান, সব ধরনের সবজির দাম বেড়েই চলছে। এতে ক্রেতা থাকলেও তারা পরিমাণে কম কিনছে। ফলে ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, গেল বন্যায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমির শাক-সবজি নষ্ট হয়েছে। এরপর অতিবৃষ্টির কারণে উঁচু এলাকার সবজি ক্ষেতে পানি ওঠায় উৎপাদন কমেছে। ফলে দাম বেড়েছে শাক-সবজির।
তিনি আরও জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী দুই সপ্তাহ পর নতুন সবজি বাজারে আসবে। তখন হয়তো দাম কমতে পারে।