সমতল আদিবাসীদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দের দাবি
সমতল আদিবাসীদের জন্য বাজেটে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন।
তিনি বলেন, ‘সমতলের আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং পৃথক মন্ত্রণালয় ও স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠন করুন। আমাদের নিরাপত্তা বিধান, শিশুদের নিজ মাতৃভাষায় প্রাথমিক স্তরে শিক্ষাদান এবং বাজেটে কমপক্ষে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখুন।’
বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো-পয়েন্টে আয়োজিত মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব দাবি জানান। জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য খ্রিস্টিনা বিশ্বাস, উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, দপ্তর সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মানিক সরেন ও আদিবাসী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নকুল পাহান প্রমুখ।
১৯৯৩ সালকে জাতিসংঘ ‘আদিবাসী বর্ষ’ ঘোষণা করলে তৎকালীন বিএনপি সরকার ঘোষণা দেয় যে, বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই। একই সময় রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাবইলডাইং গ্রাম গুড়িয়ে দেয় ভূমি দস্যু ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা।
এতে প্রায় ৫০টি আদিবাসী সাঁওতাল পরিবারের বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয়। এতে আদিবাসীরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং জোরদার আন্দোলনের ফলে রাষ্ট্র সেখানকার আদিবাসীদের নিজ জমিতে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
এরপর ১৯৯৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারের আদিবাসী বিরোধী বক্তব্য ও তানোরে সাঁওতাল গ্রাম উচ্ছেদের প্রতিবাদে ৯ দফা দাবির ভিত্তিতে রাজশাহীর এক আদিবাসী গ্রাম থেকে ‘জাতীয় আদিবাসী পরিষদ’ নামের এই সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। আদিবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণ রাখা সংগঠনের উদ্দেশ্য।