ইউএনও’র বাবা ওমর আলী চলাচল করতে পারছেন না
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নিজ বাসভবনে হামলার শিকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের কোমর থেকে নিচের অংশ পুরোটাই অবশ হয়ে পড়েছে। কথা বলতে ও খেতে পারলেও তিনি চলাচল করতে পারছেন না।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওমর আলী শেখের ছেলে শেখ ফরিদ উদ্দীন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আপাতত তার বাবার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও পুরোপুরি সেরে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
শেখ ফরিদ উদ্দিন আরো জানান, তার বাবার এ সমস্যার বিষয়টি রংপুর জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। আপাতত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখানকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ঢাকায় পাঠানো হবে।সেখানকার চিকৎসকরা রিপোর্ট দেখে ঢাকায় নিয়ে যেতে বললে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ওমর আলী শেখের আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। ঘটনার রাতে তিনি ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি হয়। সাধারণত এ ধরণের জটিলতায় চার হাত-পা অবশ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তার দুই হাত কিছুটা সচল থাকলেও নাভির নিচ থেকে পুরো নিচের অংশ অবশ হয়ে পড়েছে।
এই চিকিৎসক বলেন, এ ধরণের সমস্যা সেরে উঠতে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগে। আপাতত তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন না হলেও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে তার স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে যেতে চাইলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একটি চিকিৎসক দলের মাধ্যমে তার চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বাবা ওমর আলী শেখকে রমেক হাসপাতালের ৫ম তলার নিউরো সার্জারি ওয়ার্ড থেকে তৃতীয় তলায় ভিআইপি কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।