চকবাজারে সাড়ে ৩ কোটি টাকার নকল বিদেশি কসমেটিকস জব্দ
রাজধানীর চকবাজার থানার মৌলভীবাজার এলাকায় তাজমহল টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাকওয়া এন্টারপ্রাইজের প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার নকল বিদেশি কসমেটিকস জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মালিকসহ ৫ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এই অভিযান। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, ‘র্যাব এবং বিএসটিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে দুপুর থেকে চকবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মাঝে সৌন্দর্য বর্ধন বেড়েছে। ফলে মানুষের চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে নকল কসমেটিকস দিয়ে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আমরা দেখছি তিন ক্যাটাগরিতে তারা নকল করে থাকে, চায়না থেকে শুধু প্রডাক্টের খালি বোতল আমদানি করে। এরপর নিজেরাই বিভিন্ন কোম্পানির নামে প্রোডাক্ট ও বোতল বানায় এবং সর্বশেষ আরেকটি ধাপ রয়েছে। সেটি হলো তারা বাজার থেকে ব্যবহৃত পণ্যের খালি বোতল কিনে এনে ওয়াশ করে নকল পণ্য রিফিল করে বাজারে বিক্রি করে।’
তিনি বলেন, ‘তারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট তৈরি করে, যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। জনসন শ্যাম্পু, জনসন পাউডার, ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম, লোশন তৈরি করা হয়। এই পণ্যগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের নানা রকম সমস্যা ও ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। অভিযানে মালিকসহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের পণ্য জব্দ করা হয়। তাদের ৪টি দোকান ও ৩টি শো-রুম সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।’
অভিযানে বিএসটিআই ফিল্ড অফিসার মো. শরিফ হোসেন বলেন, ‘তাকওয়া এন্টারপ্রাইজ ফর্সাকারী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ক্রিম, লোশন, শ্যাম্পু, সাবানসহ প্রায় ৫০ প্রকারের মতো পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করছিল। যার সবগুলো নকল। এ পণ্যের আনুমানিক মূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা। এসব পণ্যের বিএসটিআই থেকে অনুমোদন নেয়া হয়নি এবং সবগুলোই অবৈধ। নকল ফর্সাকারী ক্রিম মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলোতে হাইড্রোক্লিন এবং মার্কারি নামক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। ফলে মানবদেহে ক্ষতি হয়।’