প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিড়ি শ্রমিকদের ৫ দফা দাবি
বিড়ির উপর বৃদ্ধিকৃত ৪ টাকা শুল্ক প্রত্যাহার, নিম্ন ও মধ্যস্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি, বিড়ি শিল্প সুরক্ষা আইনসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বিড়ি শ্রমিকরা।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশে বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানিয়েছেন তারা। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিড়ি শ্রমিক নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রাচীন শ্রমঘন কুটির শিল্প বিড়ি শিল্প। এ শিল্পে নদী ভাঙ্গন বা চর এলাকার অসহায় বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও পঙ্গু শ্রমিকরা কাজ করে। একদিকে করোনা মহামারি অন্যদিকে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রতি প্যাকেটে বিড়িতে মূল্যস্তর ৪ টাকা বৃদ্ধির ফলে বিড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শ্রমিকরা বেকার জীবন যাপন করছে। পরিবার নিয়ে চরম অসহায়ত্বে দিন যাপন করছে তারা।
বিড়ির প্যাকেট প্রতি ৪ টাকা বৃদ্ধি করা হলেও নিম্নস্তরের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্যস্তর মাত্র ২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যম স্তরের সিগারেটের কোনো মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। বিড়িতে এ বৈষম্যমূলক কর বৃদ্ধির ফলে বিড়ির বাজার সিগারেট দখল করেছে। এটা অত্যন্ত বৈষম্যমূলক ও জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
বক্তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯-১০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির উপর কর কমানোর নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও তা অমান্য করে এবারের বাজেটেও বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসনে বিড়ি শিল্পের উপর মাত্রাতিরিক্ত শুল্কারোপ করেছে। বর্তমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের জন্য বিড়ির উপর অর্পিত বাজেটটি মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে। ফলে তারা করোনায় আক্রান্ত না হয়ে কাজের অভাবে মজুরী না পেয়ে অনাহারেই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই বিড়ির উপর অতিরিক্ত ৪ টাকা শুল্ক প্রত্যাহার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জোর অনুরোধ করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে বাঙ্গালী, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি।