২০টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিজিবি-বিএসএফ'র আলোচনা চলছে
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি শুরু হয়েছে। সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি'র অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ ও বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসারবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করছেন।
সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহত করা, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান, অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার, বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া/আটক, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম/বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো, মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ, বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারি নির্মাণ, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা (CBMP) বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনা, রিজিয়ন/ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন, পার্বত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা চলছে।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলন শেষে একই দিন ১৯ সেপ্টেম্বর বিএসএফ প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করবেন।