রাজশাহীতে পুলিশের পূর্ণাঙ্গ সাইবার ক্রাইম ইউনিট চালু
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে (আরএমপি) পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলো সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আরএমপি সদর দফতরে কম্পিউটারের সুইচ টিপে এই ইউনিটের উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পুলিশ কমিশনার বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান হারে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তি তথা সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের ঘটনাও। সন্ত্রাসীরাও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করছে। আরএমপির সাইবার ইউনিট এ ধরনের অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। একসময় সাইবার ক্রাইম অপরাধের তদন্ত ও অপরাধী শনাক্তে ঢাকায় পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার সহায়তা নেওয়া হতো। তবে এখন থেকে রাজশাহীতে এ ধরনের অপরাধের ঘটনাগুলোর তদন্ত ও অপরাধী শনাক্ত নিজেরাই করতে পারবে পুলিশ।
আরএমপি কমিশনার আরও বলেন, মাদকপ্রবণ রাজশাহী অঞ্চলে মাদকের চোরাচালান ও চলাচল বেশি রয়েছে। এ ইউনিটের মাধ্যমে মাদককারবারিদের পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ, গতিবিধি ও চলাচল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। তাদের ফোন রেকর্ডসহ ফোনের রুট সহজেই শনাক্ত করা যাবে। এর বাইরে জঙ্গিপ্রবণ রাজশাহী অঞ্চলে জঙ্গিদের যোগাযোগ অ্যাপসগুলোকেও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও অনুসরণ করবে এ ইউনিট। ফলে জঙ্গি কার্যকলাপের পূর্বাভাস আগাম জানতে পারবে পুলিশ। সে অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে।
এদিকে, ফেসবুক ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেউ অপরাধে জড়াচ্ছে কিনা অথবা সন্দেহভাজনরা এই দুটি মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো সাইবারসহ অন্যান্য অপরাধ করছে কিনা তাও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
আরএমপির উপ-কমিশনার (সদর) ও বিশেষ শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার রাশিদুল হাসান ও কাশিয়াডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের প্রশিক্ষিত ও একটি চৌকস টিম এ ইউনিটের সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন বলে জানানো হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম, সালমা বেগমসহ আরএমপির বিভিন্ন জোনের উপকমিশনার, অতিরিক্ত উপকমিশনার, সহকারী কমিশনার ও বিভিন্ন থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।