আটকেপড়া ১০ হাজার টন পেঁয়াজ একদিনে ফিরিয়ে নিল ভারত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের মহদীপুরে আটকেপড়া বাংলাদেশি আমদানিকারকদের এলসি করা পেঁয়াজ দেশের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে ভারত।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ২১৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসলেও রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনভর এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে কোনো পেঁয়াজের ট্রাক ঢোকেনি।
উল্টো মহদীপুরে প্রায় ৩৫০টি ট্রাকে থাকা ৯ হাজার ৪৫০ টন পেঁয়াজ ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত। সেখানে থাকা অবশিষ্ট প্রায় ১০০ ট্রাক পেঁয়াজ সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে প্রবেশ করবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
ভারতের মহদীপুর স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হৃদয় ঘোষ ও স্থলবন্দরের এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ভূপতি মণ্ডলের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুল হক।
তিনি বলেন, ওপার থেকে রফতানিকারকরা নিশ্চিত করেছেন- বাংলাদেশি আমদানিকারকদের এলসি করা পেঁয়াজ ভারত তাদের দেশের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। আজ (রোববার) ৩৫০ ট্রাকের বেশি পেঁয়াজ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখনো ১০০ এর বেশি ট্রাক পেঁয়াজ মহদীপুর স্থলবন্দরে রয়েছে। যেগুলো ছাড় হলেই অল্প সময়ের মধ্যেই সোনামসজিদ বন্দরে ঢুকে যাবে।
পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বন্দর ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল থেকে মহদীপুর বন্দর দিয়ে ভারতীয় অন্যান্য পণ্যবাহী বহু ট্রাক প্রবেশ করলেও পেঁয়াজের ট্রাক আসেনি। তথ্য পেয়েছি- ওপারের বন্দরে আটকে থাকা পেঁয়াজ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বাকি প্রায় ১০০ ট্রাকও সোমবার ফিরিয়ে নেবে, নাকি বাংলাদেশে ছাড় করবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে, প্রায় এক সপ্তাহ আটকে থাকার পর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে আসা আমদানিকৃত পেঁয়াজের এক-তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীর বাজারে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা কমিয়েও বিক্রি করতে পারেনি তারা।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আবদুল আওয়াল বলেন, অনেকদিন আটকে থাকার পর আসা পেঁয়াজের গুণগত মান খারাপ হয়েছে, তাই দাম পাচ্ছি না। বন্দরের আমদানিকারকরা সবাই লোকসান গুনছেন।