দিনের ভোট রাতে হবে না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রে আসুন: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তৃতা করেন সিইসি

উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তৃতা করেন সিইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘড়িয়া) আসনের উপ-নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সিইসি নুরুল হুদা বলেন, আমরা কখনোই পক্ষপাতিত্বের নির্বাচন করিনি। পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনও অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হবে। ভোটগ্রহণে স্বচ্ছতা আনতে ভোটের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য নির্বাচনীসামগ্রী পাঠানো হবে। এরপরও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঈশ্বরদী-আটঘড়িয়া আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বিভিন্ন শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হচ্ছে। তবে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আলমগীর কবির, পাবনা জেলা পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

গত ২ এপ্রিল পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী শূন্য এ আসনে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ করা হবে।

উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নূরুজ্জামান বিশ্বাস, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব ও জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম।

   

উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন জেলায় যাবেন ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন জেলা সফর করবেন নির্বাচন কমিশনাররা। এ সময় কমিশনাররা উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৮ এপ্রিল নরসিংদী জেলা, ২০ এপ্রিল গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা, এবং ২১ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা সফল করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশমার মো. আলমগীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন জেলায় যাবেন ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বিভিন্ন জেলা সফর করবেন নির্বাচন কমিশনাররা। এ সময় কমিশনাররা উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে জেলার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় করবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৮ এপ্রিল নরসিংদী জেলা, ২০ এপ্রিল গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা, এবং ২১ এপ্রিল নারায়নগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা সফল করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশমার মো. আলমগীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ২১ এপ্রিল শেষ সময়, মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখের বেশি যেখানে সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

চার ধাপের উপজেলা ভোটের পরবর্তী দুই ধাপের নির্বাচন ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

;

রক্তের দাগ মুছে ফেলা এই পন্টুনেই ঝড়ে ৫ প্রাণ



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
রক্তের দাগ মুখে ফেলা এই ১১ পন্টুনেই ঝড়ে ৫ প্রাণ/ছবি: নূর এ আলম

রক্তের দাগ মুখে ফেলা এই ১১ পন্টুনেই ঝড়ে ৫ প্রাণ/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

সদরঘাটের ১১ নাম্বার পন্টুন। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। নোঙর ভেড়ানো লঞ্চগুলো সারি সারি বাধা। রক্তের দাগ নেই; নেই প্রাণ ঝরে যাওয়ার কোনো চিহ্নও! পাশেই মাত্র কয়েক হাত দূরে বিএইডাব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বক্স। এ সময় ঘাটে নোঙর ফেলতে যাওয়া এম.ভি অভিযান-৩ নামের একটি লঞ্চকে নির্দেশনা দিচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। সব চলছে স্বাভাবিক নিয়মে।

অথচ এই পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে প্রাণ যায় ৫ জনের। মুহূর্তেই বিষাদের রূপ নেই ঈদের দিনের বিকেলটা। পন্টুনে পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহগুলো ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। বিষাদ ছেয়ে যায় গোটা দেশে।

তবে এই প্রাণের বিনিময়ে এখন সদরঘাটে যেন শৃঙ্খলা ফিরেছে। লঞ্চ শ্রমিকরা জানালেন, কয়েকদিন আগেও ঘাটে লঞ্চ নোঙর করতে এতো তৎপরতা দেখা যায়নি। এখন নিয়ম মেনে নোঙর করানো হচ্ছে লঞ্চগুলোকে।


আর মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) সেই দৃশ্য দেখা গেলো সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালে। চিরচেনা ভিড় নেই। ঘাটে সারিবদ্ধভাবে বাধা লঞ্চগুলো। মাঝেমধ্যে দুই একজন যাত্রী এলেও নির্ধারিত সময় না হওয়ায় ছাড়ছে না কোনো লঞ্চ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌযান কর্মী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, পদ্মা সেতু হবার পর থেকে এমনিতেই সদরঘাটে যাত্রীর আনাগোনা নেই। দুই ঈদে কিছু যাত্রী হলেও এবার ঈদের দিনে অনাকাঙ্ক্ষিত যে দুর্ঘটনা ঘটলো তাতে মানুষ আরও ভয় পেয়েছে। একেকটা রশি অন্তত ৮/১০ মণ ওজনের হয়ে থাকে। এই রশি সহজে ছিঁড়ে যাওয়ার কথা না। তবে সেদিন যেই রশি ছিঁড়ে গেছে তা কিছুটা দুর্বল ছিলো, তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটার কথা না। এছাড়া ঘাটে দায়িত্ব পালন করা (বিআইডাব্লিউটিএ) এর কর্মকর্তাদের সারাবছর খুঁজে পাওয়া যায় না। পাঁচটা মানুষ মারা গেছে, এখন তারা প্রতিদিন এসে আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে এটা ঠিক আছে কিনা? ঐটা ঠিক আছে কিনা কতো কি! তবে আমি লঞ্চের চালকের কোন দোষ দেখি না। যাত্রী নিতে লঞ্চ ঘাটে আসবে স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু এখানে অন্য লঞ্চের সমস্যা হচ্ছে কিনা- সেটা তো আগে ঘাটের লোকজন দেখার কথা ছিলো।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এর সদরঘাটের অফিসে গিয়ে দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। অফিসের এক কর্মচারী বার্তা২৪.কম’কে জানান, সবাই প্রধান কার্যালয়ে মিটিংয়ে গেছেন।


নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাঁচ যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দায় বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বিভাগ কোনভাবে এড়াতে পারে না। একটা লঞ্চ কখন ঘাটে ভিড়বে বা ছাড়বে, কোথায় নোঙর করবে তা দেখভাল করার দায়িত্ব তাদের। ঘটনার সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তার গাফিলতির কারণেই মূলত এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হচ্ছে। যদি এম.ভি ফারহান ৪ লঞ্চটিকে ঘাটে ভিড়তে না দিতো বা অপেক্ষা করতে বলতো। অথবা অন্য লঞ্চ দুটির রশি একটু ঢিল করে দিতো তাহলে হয়তো এই পাঁচটা জীবন বাঁচানো যেতো। ঘটনার পূঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষেই জানা যাবে কার দোষ ছিলো।

সেদিন যা ঘটেছিল...

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে সেদিন ( ১১ এপ্রিল ) ঈদের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে নোঙর করে রাখা লঞ্চের রশি ছিঁড়ে অন্তত ৫জন যাত্রী মারা যায়। নিহতদের মধ্যে ১ জন নারী, ১ জন শিশু ও ৩ জন পুরুষ ছিলো।

সদরঘাট লঞ্চঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এমভি তাশরিফ ৪ ও এমভি পূবালী ১ লঞ্চ দুটি রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুই লঞ্চের মাঝ দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকতে গেলে এমভি তাশরিফ ৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় পাঁচ হতভাগ্যের।

;

বরিশালে পুণ্য স্নানে নেমে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাসাগরে পুণ্য স্নানে নেমে মনদ্বীপ মণ্ডল (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্র ডুবে মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মাধবপাশা দুর্গাসাগরে হাজারো পুণ্যার্থীর স্নানকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মাধবপাশা দুর্গাসাগরের হাজারো পুণ্যার্থীর স্নান চলাকালে মনদ্বীপ মণ্ডল নিখোঁজ হয়। আধা ঘণ্টা পর দেহ ভেসে উঠলে তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মনদ্বীপের মৃত নিশ্চিত করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম।

মনদ্বীপ বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি বরিশাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাঁশতলা এলাকার ঘোষ বাড়ির বাসিন্দা সাগর মণ্ডলের ছেলে।

নিহতের মা চম্পা মণ্ডল জানান, অষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্গাসাগর দিঘিতে গোসল করতে নামে মনদ্বীপ। একপর্যায় সকলের অগোচরে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় সে। 

শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বর মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মারা যাওয়ার পর তার দেহ ভেসে ওঠে।

;