হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে একসঙ্গে ৪০টি মরদেহ রাখার হিমঘর চালু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভবনে একসঙ্গে ৪০টি মরদেহ ধারণ সম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক সংরক্ষণাগার (হিমঘর) চালু হলো। বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় এগুলো উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার, এমপি।

মরদেহ সংরক্ষণাগারটি দেশের স্বাস্থ্যসেবায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করে রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ। মরদেহের মর্যাদাপূর্ণ ও যথাযথ ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি)-এর সহযোগিতায় এসব হিমঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলোতে একসঙ্গে ৪০টি মরদেহ রাখা যাবে।

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হিমঘরটি ৪০ ফুট রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ কন্টেনার থেকে তৈরি হয়েছে। এখানে রয়েছে উন্নতমানের স্টিলের ফ্রেম, যেন তা সর্বোচ্চ ৪০টি মরদেহ ধারণ করতে পারে। ইউনিটটিতে মরদেহ সার্বক্ষণিক ৪-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা হবে, যেন বাংলাদেশের আর্দ্র আবহাওয়ায় নষ্ট না হয়। ফলে প্রত্যেকের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এখন থেকে মরদেহ নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারবে।

পাশাপাশি শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত এই হিমাগারে মরদেহ নিরাপদ ও ধর্মীয় মর্যাদার সঙ্গে সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া মৃত ব্যক্তির পরিবার মরদেহ নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে মরদেহ দাফনে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর ওপর অর্পিত দায়িত্বের চাপ কমে আসবে।

মরদেহ সংরক্ষণাগারটি তৈরিতে সহযোগিতার জন্য আইসিআরসি বাংলাদেশস্থ প্রধানসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমদ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘মরদেহ সংরক্ষণাগারটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৪০টি মরদেহ রাখা যাবে। এটি হাসপাতালের নিয়ম মেনে সবাই ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে সবশ্রেণির মানুষ উপকৃত হবে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও আইএফআরসির গভর্নিং বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, এমপি; সোসাইটির ট্রেজারার লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, আইসিআরসি বাংলাদেশ হেড অব ডেলিগেশন পাবলো পের্চেলসি ও আইসিআরসি বাংলাদেশ প্রটেকশন কোঅর্ডিনেটর হেনিং ক্রাউসে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ও প্রাক্তন সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা.মোহাম্মদ মোর্শেদ, ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি) প্রতিনিধিরা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জাতীয় সদর দফতর ও হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা।

এর আগে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন ও আইসিআরসি বাংলাদেশ হেড অব ডেলিগেশন পাবলো পের্চেলসি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এতে স্বাক্ষর করেন।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সোসাইটি দীর্ঘ পাঁচ মাস সরকারের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শেষে গত রোববার থেকে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন আঙ্গিকে উন্নত সেবার ব্রত নিয়ে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে সব ধরনের রোগী এখানে ভর্তি হয়ে জরুরি ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

   

গোলাপ শাহ মাজারের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গোলাপ শাহ মাজারের পাশের ফুটপাতের থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ নেওয়াজ জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আশপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে আমরা ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানতে পারিনি।প্রযুক্তির সহায়তায় তার নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

;

বান্দরবানে রাজ পরিবারের উদ্যো‌গে ‘নদী পূজা’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অশুভ শক্তিকে প্রতিরোধ করে সবার সুখ-শান্তি আর মঙ্গল কামনায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে পালিত হচ্ছে নদী পূজা। প্রতিবছর বৈশাখ মাসে মারমা সম্প্রদায়ের সংগ্রাইং উৎসবের পরে বান্দরবান রাজপরিবারের পক্ষ থেকে সাঙ্গু নদীতে এই নদী পূজা উদযাপন করা হয়ে থাকে। আর এর মাধ্যমে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুনের আহ্বান জানান বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান বোমাং রাজবাড়ী পরিবারের আয়োজনে বর্ণাঢ্য ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি রাজবাড়ী প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উজানী পাড়া সাঙ্গু নদীর তীরে সবােই সমবেত হন।

শোভাযাত্রায় বান্দরবানের বোমাং সার্কেলের চিফ রাজপুত্র চসিংপ্রু বনি নেতৃত্বের রাজপরিবারের সদস্য, বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান ও কারবারি (পাড়া প্রধান) সহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ও অনুসারীরা এতে অংশ নেন।

সেই সময় সাঙ্গু নদীর তীরে বটগাছ ও নদীর পানিতে পূজা করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। তখন মিষ্টি জাতীয় খাবারসহ বিভিন্ন রকমের ফল উৎসর্গ করার পাশাপাশি মোমবাতি ও ধুপ জ্বালিয়ে পূজারীরা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন। নদীর ধারে বাঁশের তৈরি মাচাংয়ের ওপরে ফুল বিসর্জন করে দেবতার উদ্দেশে পূজা করা হয়। সবাই নতুন বছরে পৃথিবীতে সুখে-শান্তিতে বসবাসের জন্য বিশেষ প্রার্থনায় মিলিত হন।

জনশ্রুতি আছে যে, পাহাড়ের মানুষজন এক সময় প্রকৃতি পূজারি ছিলেন। তারা ধারণা করতেন অরণ্যে ঘেরা সবুজ বান্দরবানের পাহাড় পরিবেশে অশুভ শক্তি প্রভাব বিস্তার হয়। এতে পাহাড়ের মানুষজন বিভিন্ন সময়ে নানা প্রকার রোগব্যাধিতে, বিপদ আপদে আক্রান্ত হতেন। তাই সেই সময় থেকে পাহাড়ের মানুষজন বিশ্বাস করে আসছে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে নদী পূজা সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আর তাই প্রতিবছরই বৈশাখ মাসে মারমা সম্প্রদায়ের নববর্ষ ও সাংগ্রাইং উৎসব শেষে বান্দরবানে বোমাং রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এই নদী পূজার আয়োজন করা হয়। আর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সবাই এই আয়োজনে অংশ নিতে প্রতিবছর বান্দরবানে সাঙ্গু নদীতে সমবেত হয়।

;

বগুড়ার নিউ মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় নিউ মার্কেটের একটি স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। শহরের নিউ মার্কেটে আল তৌফিক জুয়েলার্সে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতের কোন এক সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানটি থেকে প্রায় ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেছে বলে জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ দাবি করেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসেন জানান, শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে দোকানের ম্যানেজার তাকে ফোন দিয়ে জানায় যে দোকানের তালা ভাঙা এবং দোকান খোলা। এছাড়াও মেঝেতে স্বর্ণের কিছু জিনিসও পড়ে আছে। খবর পেয়ে তিনি দোকানে যান। মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতারাও তখন তার দোকানে পৌঁছান। তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরেদর্শন করে।

তিনি বলেন, ‘দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও রাতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় সেটি সচল ছিলনা। দোকানের প্রায় ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা।’

জুয়েলার্সের ম্যানেজার ধলু মিয়া বলেন, ‘রাতে দোকানের ডিসপ্লেতে যে সোনার জিনিসপত্র ছিলো, দোকানে এসে সেগুলোর একটাও পাওয়া যায়নি। দোকানের সিন্দুকে (লকার) থাকা সোনা ও গহনা চোরেরা নিতে পারেনি।’

বগুড়া নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার বলেন, ‘মার্কেটের নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) আরও বাড়ানো দরকার। দোকানীরা দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা প্রহরীর টাকা বাঁকি রাখে, এরফলে প্রহরীর সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হয়না। মার্কেটে সকল দোকানীকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথাও বলা হয়েছে। এবার নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ফইম উদ্দিন বলেন, নিউ মার্কেটে জুয়েলারি দোকানে চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

;

তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের

তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু মানুষ নয়, অসহনীয় গরমে স্বস্তিতে নেই মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণিকুল। প্রচণ্ড দাবদাহে জীবন ওষ্ঠাগত খাঁচার প্রাণীদের। গত কয়েকদিন ধরে ৩৪-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠা নামা করছে তাপমাত্রা। তবে শরীরে অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি এমন তথ্য আবহাওয়া অফিসের।

এমন পরিস্থিতি আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, চৈত্র মাসের শেষের দিন থেকেই শুরু হয়েছে দাবদাহ। যা আগামী কয়েকদিন চলমান থাকবে। ফলে অসহনী তাপমাত্রার কারণে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমে প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যে।

মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) সরজমিন জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, দাবদাহের কারণে পরিবেশের উপর যেমন বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ দুর্বিষহ জীবন পার করছে, তেমনি, হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণী কুলেরও। বিশেষ করে চিড়িয়াখানার বন্দি প্রাণীদের অবস্থা নাজুক। গরম থেকে বাঁচতে ছায়া স্থানে আশ্রয় ও পানিতে নেমে প্রশান্তি পেতে নেওয়ার চেষ্টা করছে পশুপাখিরা। গরমে প্রভাবে অনেক পশুপাখির মধ্যে খাবার গ্রহণে অনীহা দেখা দিয়েছে ।

প্রচণ্ড গরমে পানিতে বসে আছে বাঘ

একটু ঠান্ডা প্রশান্তির পেতে খাঁচার ছায়া যুক্ত স্থানে বসে থাকতে দেখা গেছে বক, ময়ূর, কুমির ও অন্যান্য প্রাণীকে।

বাঘের খাঁচায় ব্যস্ততা নেই খাবার সংগ্রহে। গরম থেকে বাঁচতে ছায়া বসে খুনশুটি করছে বাঘ গুলো নিজেদের মধ্যে। প্রশান্তি পেতে নমনীয় হয়ে পানিতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে বাঘ।

এছাড়া তীব্র গরম থেকে বাঁচতে চিত্রা হরিণের পাল নেড়ছেন না গাছের নিচ থেকে। নিজেদের বিচরণের জন্য বিশাল জায়গা থাকলেও বসে আছেন গাছে ছায়ায়। এছাড়া ব্যস্ততা নেই বানরের। নাকাল অবস্থা কুমিরেরও। কুমির খাঁচায় অল্প পানি রোদের তাপে গরম হওয়ায় বাধ্য হয়ে খাঁচার মধ্যেকার কৃত্রিম ডাঙ্গায় হাঁসফাঁস করছে কুমির।

এদিকে জলহস্তিদের দেখা মিলছে না পানির উপরিভাগে। গভীর পানিতে ডুবে থাকছে জলহস্তী। বেশ কয়েকটি জলহস্তীকে দেখা গেছে পুকুরের পাড়ের ছায়ায় ঠাঁই নিতে। এমন অবস্থায় প্রাণীদের বাঁচাতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার। স্যালাইন ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। তীব্র গরমের যেন হৃদ্‌রোগ না হয় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


ভেটেরিনারি সার্জন মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, প্রাণীদের ডি হাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে এ সময় প্রচুর পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় খানার ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এতে হার্ট অ্যাটাক বা অন্য উপসর্গ থেকে বাঁচানো যাবে।

এদিকে প্রাণীদের গরম থেকে বাঁচাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কিউরেটর মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, গরমের জন্য আমরা নানা ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছি। খাঁচার হাউসের পাশাপাশি গামলায় পানি রাখা হয়েছে। যাতে প্রাণীরা সেখানে গা ভেজাতে পারে। কিছুক্ষণ পরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানি দেওয়া হচ্ছে। ভিটামিন সি ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত চিড়িয়াখানা কোনো পশুপাখি অসুস্থ হয়নি।

;