বেসরকারি মেডিকেলে স্থায়ী শিক্ষক ৭৫ শতাংশ বাধ্যতামূলক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম

বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বেসিরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজের একাডেমিক অনুমোদন, নবায়ন, শিক্ষা কার্যক্রম এবং কত ছাত্র থাকবে ও কী সুবিধাদি থাকবে, শিক্ষকের কী যোগ্যতা থাকবে, কলেজগুলো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে, অর্থ ব্যবস্থাপনা কেমন থাকবে- এ বিষয়গুলো আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সীমিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৭০টি এবং ডেন্টাল কলেজের সংখ্যা ২৬টি। আর সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৬টি এবং সরকারি ডেন্টাল কলেজ একটি। যে বিভাগের যে মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ থাকবে সেই বিভাগের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এবং যে বিভাগের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নেই সেখানে সার্কুলার দিয়ে বলে দেওয়া থাকবে কার অধীনে থাকবে।

তিনি জানান, এতদিন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ দু’টি নীতিমালার মাধ্যমে চলতো। এখন দেখা যাচ্ছে যে শুধু নীতিমালা দিয়ে সবকিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না, সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আইনের খসড়া নিয়ে আসা হয়েছে। মেডিকেল কলেজে প্রতি ১০ জন ছাত্রের জন্য একজন শিক্ষক এবং ন্যূনতম ছাত্র থাকতে হবে ৫০ জন। প্রত্যেক বিষয়ে ন্যূনতম পাঁচজন করে শিক্ষক থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

নীতিমালায় অনেক কিছু পরিষ্কার না থাকায় অনেক মেডিকেল কলেজ অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে চালানো হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২৫ শতাংশের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না, ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে। ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই কোটি এবং মেডিকেল কলেজের জন্য তিন কোটি টাকা রিজার্ভ ফান্ড রাখার বিধান রয়েছে। আর মেডিকেল কলেজে ২৫০ শয্যা এবং ডেন্টালে কমপক্ষে ৫০ শয্যার মধ্যে বিনা পয়সায় চিকিৎসায় ১০ শতাংশ শয্যা গরিব মানুষের জন্য রাখতে হবে।

আইনে বর্জ্য ব্যস্থাপনার বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মেডিকেল বর্জ্যগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, নরমাল ডাম্পিংয়ে রাখলে হবে না। এখান থেকে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বা রোগ-জীবাণু ব্যাপক প্রসারিত হয়।মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের জন্য অবশ্যই নিষ্কণ্টক জমি থাকতে হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মেট্রোপলিটনে কমপক্ষে দুই একর এবং মেট্রোপলিটনের বাইরে চার একর জমি থাকতে হবে।

আইন লঙ্ঘন করলে দণ্ডের কথা উল্লেখ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুই বছর কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। আইনের শর্ত না মানলে মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হবে। এখন যে ভাড়া বাসায় মেডিকেল কলেজ রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কী হবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনে বিস্তারিত থাকে না। এজন্য বিধিমালা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিধিমালা বা নীতিমালায় স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।