‘শেখ হাসিনা: দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ ‘শেখ হাসিনা: দুর্গম পথের নির্ভীক যাত্রী’ প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

জাতীয় অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষক ড. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, এমপি; গ্রন্থটির সম্পাদক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং গ্রন্থটির নির্বাহী সম্পাদক ও ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

৩৩২ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি ২০টি অধ্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার নিরন্তর সংগ্রামের তথ্যবহুল বিবরণ ও বহু দুর্লভ ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে।

গ্রন্থটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্ম, বেড়ে ওঠা, ছাত্রজীবন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ এবং সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ দল পরিচালনাসহ নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জন রায়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার বিবরণ। এরপর আসে ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র¿ ও কারচুপির নির্বাচন, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ে সরকার গঠন এবং পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিদ্যুৎ, কৃষি, মৎস্য, খাদ্য, শিক্ষা, তৈরি পোশাক শিল্পসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার গল্প সাজানো আছে এতে। উল্লেখ করা আছে ভিশন ২০২১, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন ২০৪১ ও ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নামে সবিশেষ কর্মসূচি নিয়েও। স্বপ্নের পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পগুলোসহ বাংলাদেশের দৃশ্যপট বদলে দেওয়া বিস্ময়কর উন্নয়নের নানা দিক আলোচিত হয়েছে গ্রন্থটিতে।

গ্রন্থটির মূল্য রাখা হয়েছে ২,৫০০ টাকা। তবে http://nagadnews.com ওয়েব সাইটের এই ঠিকানায় চাইলে পাঠকরা ই-বুক হিসেবে এটি ফ্রি পড়তে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে বই বিক্রি করে দেশের এমন আরো কয়েকটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে এটি দেওয়া আছে। সেখান থেকেও আগ্রহী পাঠক ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করছি, সেই সময়ে এমন একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের বাইরে যারা আছেন, তারাও যেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে জানতে পারেন, সে জন্য বইটির ইংরেজি সংস্করণ যেন প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর জীবন নিয়ে এমন উদ্যোগ সত্যিই মুগ্ধ করে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অত্যন্ত চমৎকার আলোকচিত্রের সংগ্রহ ও সংকলন যারা করেছেন, তাদের অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রীর ৩৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনের পথচলা একটি বইয়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়। বইয়ের নামটি প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রাম ও পথচলাকে তুলে ধরতে পেরেছে। তিনি তাঁর বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এই বইয়ে সেই ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি দিনই ইতিহাসের একেকটি অধ্যায়। সুতরাং তার সম্পর্কে দেশের মানুষ এবং বিশ্বকে জানানো আমাদের দায়িত্ব। এই গ্রন্থ সেই দায়িত্ব কিছুটা হলেও পূরণ করবে।
গ্রন্থটির সম্পাদক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শেখ হাসিনার মতো মানুষের ৭৩ বছরের কর্ম সংকলন করা দুঃসাধ্য কাজ। তারপরও একটু একটু করে হলেও আমরা চেষ্টা করেছি। এই বইটি একটি বড় রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। কারণ এখানে অনেক দুর্লভ ছবি ও ঘটনার বর্ণনা আছে। আশা করি এই বই দিয়ে অনেক গবেষণা হবে এবং আরও ভালো কিছু পাওয়া যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এই গ্রন্থটি জাতি বিনির্মাণের ইতিহাস সঠিকভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করবে।

তানভীর এ মিশুক বলেন, ভবিষ্যতে যখন প্রধানমন্ত্রীর জীবন ও কর্ম নিয়ে দেশে বিদেশে-গবেষণা হবে, তখন এই গ্রন্থটি গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করবে। তাছাড়া গ্রন্থটি রেফারেন্স গ্রন্থ হিসেবেও বহুল ব্যবহৃত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর ইয়াসিন কবীর জয় ছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং ‘নগদ’-এর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

   

আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী: পলক



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জেরে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ এবং নির্যাতনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, 'নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক, আইনগত ও সাংগঠনিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। সে ক্ষেত্রে কার কী পরিচয়, কে আমার ভাই, কে আমার শ্বশুর কিংবা শ্যালক এটা কোনো বিবেচনার বিষয় নয়। এটা নিয়ে আমি আসলেই বিব্রত, লজ্জিত, দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।'

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে অপহরণ ও মারধরের শিকার নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘যখনই আমি দেশে ফিরেছি, আমি মনে করেছি আমার দ্রুত এখানে আসা দরকার। আমার কর্মীর (দেলোয়ার) পাশে থাকা দরকার এবং স্পষ্ট বার্তাটা সকলের কাছে দেওয়া দরকার। সে আমার দলের নেতাকর্মী হোক, সে আমার আত্মীয় হোক, যেই হোক, আমি নিশ্চিত করতে চাই, এখানে কোন ব্যক্তিগত কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ব্যবহার করে বাড়তি কোন সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নাই। এই পরিচয় যদি কেউ ব্যবহার করতে চায়, তাহলে আরও কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে। সে রকম বার্তাই কিন্তু আমাদের নেত্রীর পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।’

এ সময় পলকের সঙ্গে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান, সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এ ঘটনার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীবের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় লুৎফুল হাবীবকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

লুৎফুল হাবীব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।

;

গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

গণভবনে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বাসায় ফেরার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপস্থিত নেতাদের এ উপহার তুলে দেওয়া হয়।

গণভবনে উৎপাদিত পালং শাক, পাট শাক, ডাটা শাক, পুঁইশাক, লাউ, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-উপহার দেওয়া কৃষক লীগ নেতাদের। উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদেরও এসব শাক-সবজি উপহার দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শাক-সবজি পেয়ে কৃষক লীগ নেতাদের বেশ উৎফুল্ল দেখা যায়। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ প্রসঙ্গে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, গণভবনে উৎপাদিত লাউ, চিচিঙ্গা, করলা, বরবটি, ঢেঁড়স, বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তার বাসভবনে (গণভবনে) উৎপাদিত শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাকর্মীদের উপহার দেওয়াতে আমরা যেমন উৎফুল্ল হয়েছি। তেমনি নিজেরাও প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন ভালো খামারি হওয়ার জন্য প্রেরণা পেয়েছি।

সমীর চন্দ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জায়গাও ফাঁকা না রেখে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। তাহলে খাদ্যের জন্য আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আমাদের নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।

গণভবন বাংকোয়েট হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

১৯৭২ সালের এই দিনে (১৯ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

;

প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের স্প্রিংমিটিং-এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং মাহমুদ আলীর বর্ণাঢ্য কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক কর্মজীবন সংক্ষেপে তুলে ধরেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং তিনি জাতিকে এর অভীষ্ঠ লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অস্তিত্ব এখনো বিদ্যমান এবং তারা দেশের চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে তার কূটনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত প্রথম কূটনীতিক যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এর আগে অর্থমন্ত্রী দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

দূতাবাসে পৌঁছালে অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

;

তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কিছুদিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি।

দেশের এমন পরিস্থিতি আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এদিকে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

 

;