ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা সংরক্ষণের উপযুক্ত নয়: প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা, ছবি: সংগৃহীত

ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা চলচ্চিত্রের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে সংরক্ষণের উপযুক্ত নয় বলে জানিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

তবে ওই প্রতিবেদনে ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা রাজশাহী জেলা প্রশাসন স্থানীয়ভাবে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে সংরক্ষণ করতে পারে বলে মতামত দেওয়া হয়।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়- ‘ঋত্বিক ঘটকের বাড়িটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত নয় বলে মত দিয়েছেন। তবে এটি রাজশাহী জেলা প্রশাসক বা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (আরডিএ) স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে।’

তবে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িটি পরিদর্শন করে সংরক্ষণ করা হবে বলে স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতিশ্রুতি দেন। সেসময় প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ঋত্বিক ঘটকের এই বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখলাম। বাড়িটির যতটুকু জায়গা আছে, সেটুকু কীভাবে সংরক্ষণ করা যায়; তার ব্যাপারে সরকার অবশ্যই চেষ্টা করবে।’

এদিকে, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সংরক্ষণ করবে না জানিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার পর ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা স্থানীয়ভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কমিটির সদস্যরা ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা পরিদর্শন করেছেন। তারা বাড়িটির ভৌত অবকাঠামো পরিমাপ এবং সংরক্ষণ ব্যয় নির্ধারণ করবে এবং দ্রুততম সময়ে পুরো বাড়ির অংশটি কীভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে।

জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নজরুল ইসলাম। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কবিকুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকার, ঐতিহ্যবাহী বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি সহকারী পুলিশ কমিশনার ফারজিনা নাসরিন, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এমদাদুল হক ও হোমিওপ্যাথিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, কমিটি গঠনের পরপরই গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথম বৈঠক করা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি (বর্তমানে হোমিওপ্যাথিক কলেজ) পরিদর্শন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঋত্বিক ঘটকের পরিবারের ব্যবহৃত বাড়ির অক্ষত অংশ এবং একটি কুয়া চিহ্নিত করেছি। কমিটির সদস্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত ভবনের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং সামনের জায়গা পরিমাপ করবেন। আর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এমদাদুল হক ভবনটি যেভাবে রয়েছে, সেভাবে সংরক্ষণের জন্য সম্ভাব্য ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন। আগামী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। আশা করছি- সাংস্কৃতিক কর্মীসহ রাজশাহীর মানুষের দাবি অনুযায়ী দ্রুত ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি সংরক্ষণের আওতায় আসবে।’

ঋত্বিক ঘটকের পৈত্রিক বাড়ির অবশিষ্ট অংশ
ঋত্বিক ঘটকের পৈত্রিক বাড়ির অবশিষ্ট অংশ। ছবি: সংগৃহীত

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু দিকে সাইকেল গ্যারেজ তৈরির জন্য ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলছে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ—এ খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সম্মিলিত ব্যানারে রাজশাহীতে মানববন্ধনের ডাক দেয় ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি, রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ এবং বরেন্দ্র ফিল্ম সোসাইটি। প্রতিবাদ লিপি পাঠান ১২ চলচ্চিত্র নির্মাতা। নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুসহ ১১ জন নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে বিবৃতি দেন।

প্রসঙ্গত, ঋত্বিক ঘটক জীবনের শুরুর সময়টা কাটিয়েছেন পৈতৃক বাড়ি রাজশাহীতে। এই বাড়িতে থাকার সময় তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে পড়েছেন। রাজশাহী কলেজ ও মিঞাপাড়ার সাধারণ গ্রন্থাগার মাঠে প্রখ্যাত সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে নাট্যচর্চা করেছেন।

ওই সময় ‘অভিধারা’ নামে সাহিত্যের কাগজ সম্পাদনা করেছেন ঋত্বিক। তাঁকে ঘিরেই তখন রাজশাহীতে সাহিত্য ও নাট্য আন্দোলন বেগবান হয়। এই বাড়িতে থেকেছেন ঋত্বিক ঘটকের ভাইঝি বরেণ্য কথাসাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। এই বাড়ির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়।

   

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

কমলাপুর স্টেশনে র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। কন্টোল রুম থেকে যাত্রীরা যেকোনো আইনগত সহায়তার পাশাপাশি জাল টাকা সনাক্তকরণসহ বিভিন্ন সেবা নিতে পারবেন।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে র‍্যাব-৩।

একইদিন সন্ধ্যায় র‍্যাব-৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব-৩ অধিনায়ক আরিফউদ্দিন জানান, কমলাপুর রেলস্টেশনে স্থাপিত কন্টোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এখান থেকে সাধারণ যাত্রীরা সবধরণের সেবা নিতে পারবেন। বিশেষ করে যেকোনো আইনগত সহায়তা ছাড়াও জাল টাকা সনাক্তকরণ, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়া বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ, শারীরিক প্রতিবন্ধী, অসুস্থ ব্যক্তি সহায়তা চাইলে সহায়তা করবে র‌্যাব সদস্যরা। তাছাড়া ঘরমুখো যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে দ্রুত যাত্রীদের সহায়তা করা হবে। যেকোনো প্রয়োজনে র‌্যাবের হটলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। যার নম্বর- ০১৭৭৭-৭১০৩৯৯।

;

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাসের উদ্যোগে এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ক

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা যদি পাঁচজনের মুখেও হাসি ফোটাতে পারি সেখানেই আমাদের সফলতা। ক্ষমতা ও সামাজিক অবস্থান মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়।

তিনি বলেন, এবার ইফতারের অর্থ দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ ধরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে।

সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। মানুষের জীবন আরও সহনীয় করতে কাজ করছে। সরকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলেও এসময় মন্তব্য করেন তিনি।

;

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে মজিবর রহমান (৬৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় মৃত্যুর পর তার তৃতীয় ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সদরের চাওয়া সরঞ্জাবাড়ি ইউনিয়নের বাটুল টারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মজিবর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও চার সন্তানের জনক।

সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত মজিবর রহমান তার তিন ছেলেকে নিজের সম্পত্তির জমি লিখে দেয়। তার তৃতীয় ছেলে নওশাত আলী ঢাকায় চাকরি করতেন। তার সাথে বাবার বনিবনা কম থাকায় তাকে কোনো জমি লিখে দেয়নি। হঠাৎ মধ্যরাতে মজিবর রহমান মারা গেলে শুক্রবার দুপুরে তাকে দাফন করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনরা। এ সময় নওশাদ তার বাবার কবরে শুয়ে থেকে মরদেহ দাফন করতে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করেন।

এ বিষয়ে চওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কবির শাহ বলেন, মৃত মজিবর তার তৃতীয় ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ার কারণে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা সবাই মিলে পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;