গাইবান্ধায় বন্যায় ভেসে গেছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার মাছ
গাইবান্ধায় বয়ে যাওয়া চার দফা বন্যায় কৃষকদের ২৫০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে মাছচাষিরা।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকালে গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, গেল বন্যায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এতে করে দুর্গত এলাকার মানুষদের ঘরবাড়ি, পশুপাখি ও কৃষি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা ২৫০ পুকুরের মাছও ভেসে গেছে তাদের। যার ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। অনেকে লাভের আশায় জিও-এনজিও’র ঋণ নিয়ে মাছচাষ করেছিলেন। কিন্তু বন্যার থাবায় পানিতে ভেসে গেছে তাদের স্বপ্ন। এমন ক্ষতির শিকার হলেও মৎস্যচাষিদের কপালে জোটেনি সরকারি কোন সহায়তা বা প্রণোদনা। এমন পরিস্থিতির শিকার কৃষকরা এখন ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নির্ঘুম রাত পোহাচ্ছেন।
নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মাছচাষি আনোয়ারুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, কয়েক মাস আগে দেড় একর পুকুরের মাছের পোনা ছেড়ে দেওয়া হয়। এতে সবমিলে খরচ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা। মাস খানেক পরে এসব মাছ বিক্রি করলে, খরচ বাদে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ হতো।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বন্যার পানির তাণ্ডবে ভেসে গেছে পুকুরের মাছগুলো। লাভের আশায় এনজিও সংস্থা থেকে মাছ চাষ করে বন্যার থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
গাইবান্ধা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুদ দাইয়ান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, মাছচাষিদের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বন্যায় করণীয় শীর্ষক লিফলেট মাছচাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতে মাছচাষিদের জন্য কৃষিখাতে ৪ পার্সেন্ট সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।