সাভারে হোটেল ব্যবসায়ীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৯ ডাকাত গ্রেফতার
সাভারে রবিউল ইসলাম লস্কর (৪২) নামের হোটেল ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দলনেতাসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই এর পুলিশ সুপার (সেবা, ঢাকা) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম।
এর আগে শক্তিশালী গোয়েন্দা তৎপরতা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রথমে বসির মোল্লাকে সাভার থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও রাজধানীর ডেমরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃতরা হলো- পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানার আঙ্গারিয়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে বসির মোল্লা (৪২), ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার নাওড়া গ্রামের জবেদ আলী শেখের ছেলে শেখ হাফিজ (৩৫), মুন্সিগঞ্জ জেলার টুঙ্গীবাড়ি থানার ডোরাপতি গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), ধামরাইয়ের কেলিয়া পশ্চিম পাড়া এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে আমির হোসেন (২৮), বাগেরহাট জেলার মংলা থানার বাজিগারখন্ড এলাকার শাহ আলমের ছেলে আল আমিন (২৮), আশুলিয়ার নলাম তারিগরপাড়া এলাকার মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে জুয়েল (৩২), নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার ফতেহপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে নঈম (২২), টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার ভুখন্ডি গ্রামের সুভাস মন্ডলের ছেলে তপন (২৮) ও টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার ষাটশালা গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে নাজমুল (৩০)। তারা সবাই ড্রাইভার ও হেলপার এবং সাভার, ধামরাই ও যাত্রাবাড়িতে থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দল প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন ধরে বাসে ডাকাতি করে আসছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৫ অক্টোবর সাভারের বলিয়ারপুরের যমুনা ন্যাচারাল পার্কের গেটের পাশ থেকে রবিউল ইসলাম লস্কর নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পিবিআই এর রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে।
গত ৫ অক্টোবর লস্কর ভাগিনার সাথে দেখা করার জন্য কর্মস্থল মিরপুর থেকে জামগড়ার যান। ভাগিনার সাথে দেখা করে স্থানীয় ইসলামিয়া হোটেল মালিকের সাথে দেখা করার কথা বলে বিকেলে জামগড়া ত্যাগ করেন। এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেয়ের সাথে শেষ কথা বলেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে একই মোবাইল থেকে তার মায়ের ফোন নম্বরে ফোন করে লস্কর খুন হয়েছে বলে অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন করে জানায়।
এ ব্যাপারে পিবিআই এর পুলিশ সুপার (সেবা, ঢাকা) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম জানান, গত ৪ অক্টোবর গ্রেফতাকৃতরা ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের নিরালা পরিবহনের একটি বাস কুয়াকাটা যাওয়ার কথা বলে ৩ দিনের জন্য রিজার্ভ নেয়। পরে এই পরিবহন দিয়ে মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়িতে ডাকাতির কাজ শেষ করে ফেরার সময় আশুলিয়ার নবীনগর থেকে লস্করকে বাসে উঠায়। বাসের ভিতরে ডাকাতির সময় লস্কর চিৎকার করলে তাকে ডাকাত সদস্যরা চেপে ধরে ও দলনেতা হুইলরেঞ্জ দিয়ে আঘাত করে। এসময় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়।