পিপিএ ও ইপিসিতে ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইপিসি ও পিপিএ চুক্তিতে একটি প্যারা যুক্ত করা হচ্ছে, তারা আমাদের লোকজনকে ট্রেনিং দিতে বাধ্য থাকবে। এসব ট্রেনিং না নিলে কর্মকর্তারা ফরেন ট্রেনিং এবং প্রমোশন পাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিপিএমআই রেক্টর মাহবুব উল আলম।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) এনার্জি এন্ড পাওয়ার আয়োজিত “হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কো-অপরেশন” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এমন মতামত উঠে আসে।

বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের (বিপিএমআই) রেক্টর মাহবুব উল আলম বলেন, জেনারেশনে সারপ্লাস, বিতরণ ও সঞ্চালনে কিছু সংকট রয়ে গেছে। একদল দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল লোকবল প্রয়োজন। যারা এসব প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেবেন।

বিপিএমআই ৩৭০০ কর্মকর্তাকে ট্রেনিং দিয়েছে। মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে জাপান। আমাদের প্রকৌশলীরা এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ নয়। আমরা জাপানী প্রকৌশলীদের অধীনে থেকে ট্রেনিং করে প্রশিক্ষিত করে তুলছি।

শুধু প্রকৌশলীদের ট্রেনিং দিলে চলবে না। ওয়েল্ডিং করার লোকবলও নেই। ভারত-চীন থেকে ওয়েল্ডার আনতে হচ্ছে। আমরা দক্ষ ওয়েল্ডার গড়ে তুলতে চাই। সোলার পাওয়ার প্লান্ট তৈরির লোকবল ছিল না শতাধিক লোক তৈরি করেছি। যারা ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি থেকে সবকিছু করতে সক্ষম। শুধু টেকনিক্যাল বিষয় না কমার্শিয়াল মার্কেট সম্পর্কে দক্ষ লোকের প্রয়োজন।

বিপিএমআই’র সঙ্গে জ্বালানিকে যুক্ত করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম বলেন, ১’শ মাইল গতির একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১০মাইল গতির কিছু জুড়বেন না কিনা। এটি ভাবার বিষয়। স্কিল ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস প্রয়োজন, তাহলে সাটিফিকেশন কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স করার প্লান রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল বলেন, দক্ষ জনবল যে প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ৫টি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সঙ্গে বসেছিলেন প্রতিমন্ত্রী। ভিসিদের অনুরোধ করেছিলেন অনার্স এবং মাস্টার্স করা যায় কি না। ওনারা ট্রেনিংয়ের উপর জোর দিয়েছিলেন। সে কারণে বিপিএমআই’র উপর জোর দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ধাপে সফল না হলেও, ভবিষ্যতে আশাবাদী। ক্লাস্টার করার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে, তবে এটি অনেক বড় বিষয়। বিদেশ সফরে কর্মকর্তাদের যাওয়ার সমালোচনা প্রশ্নে বলেন, যখন বিপুল পরিমাণ জমি চাচ্ছি, তখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের লোকজন প্রশ্ন তুলছেন। সে কারণে ম্যানেজারদেরও টেকনিক্যাল জ্ঞান প্রয়োজন।

পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন. এনার্জিতে টেনিং করে এসে যদি এনার্জিতে না থাকে তাহলোতো কোনো লাভ হলো না। নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিকমতো হয় না, ধারাবাহিকতা জরুরি। নিয়োগ হলো তারপর দেখা গেলো, তারা অনেকে থাকেন না। একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে পাওয়ারের কোম্পানির অর্ধেক সুবিধাও নেই জ্বালানিতে। জ্বালানি খাতের লোকজন পাওয়ারে চলে যাচ্ছে।

আরএমআইটি’র প্রফেসর ফিরোজ আলম বলেন, দক্ষ জনবল গড়তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করতে হবে। সাটিফিকেট লেভেল রাখতে হবে। দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে পারলে কনসালটেন্ট লাগবে না অনেক অর্থ সাশ্রয় হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ওয়ার্ক ইন্ট্রিগেটেড করতে হবে।

প্রফেসর কামরুল আলম বলেন, শুধু একটি সেক্টরে জনশক্তির উন্নয়ন করলে হবে না। সব সেক্টরের উন্নয়ন হতে হবে। অনেকটা এডহক ভিত্তিতে কাজ চলছে, নির্দিষ্ট গাইড লাইন নেই। এখনই টাস্কফোর্স গঠন করা উচিত। যারা ম্যাপিং করবে কি ধরণের লোকবল রয়েছে আর কি ধরণের লোকবল প্রয়োজন। আমাদের মেধা, বুদ্ধির ঘাটতি নেই। আমরা শুধু নারিশ করতে ব্যর্থ হচ্ছি। প্লানিং থেকে ক্যারিয়ার প্লানিং করতে হবে। না হলে ট্রেনিং নিয়ে অন্যসেক্টরে চলে যাওয়ায় রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হচ্ছে।

এনার্জি এন্ড পাওয়ারের কনসালটেন্ট এডিটর জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার আব্দুস সালেক সূফী বলেন, একটি সেমিনারের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, আমাদের মেগা প্রকল্পগুলি পরিচালনার জন্য টেকনিক্যাল পার্সন ঘাটতি রয়েছে। ন্যাশনাল প্লানিং সেল গঠন করার সুপারিশ এসেছে। যারা চাহিদা ম্যাপিং করবে।

ন্যাশনাল পে-স্কেলের মধ্যে আটকে রাখা যাবে না। প্রকৌশলীদের প্রোপার মূল্যায়ন করতে হবে। বিদ্যুৎ খাত পেরেছে, জ্বালানি খাত এখানে ব্যার্থ হয়েছে। পাওয়ার এন্ড এনার্জির যৌথ ট্রেনিং হতে পারে। বাংলাদেশের এনার্জি এন্ড পাওয়ার এতো বড় নয়। যে কারণে পৃথক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয়তা দেখছি না। ক্লাস্টার করতে হবে, না হলে ট্রেনিং করে লাভ হবে না।

নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির এসই মীর সাইফুদ্দিন আহসান বলেন, আফটার ট্রেনিংয়ের ফলোআপ জরুরি। নমিনেশন যখন দেওয়া হয়, একই ট্রেনিংয়ে একই লোককে বারবার দেওয়া হচ্ছে। এমনও রেকর্ড রয়েছে তিনবার একই লোক একই ট্রেনিং নিয়েছেন। যিনি ফ্রি আছেন তাকেই পাঠানো হয়। ট্রেনিং এবং আফটার ট্রেনিংসহ সমন্বিত প্লান দরকার।

সঞ্চালন করেন এনার্জি এন্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন বলেন, টেকনোলজি আনা হচ্ছে, কিন্তু অপরেট করার জন্য দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে। এলএনজি আমদানি করতে গিয়ে অনেক জটিলতা ফেস করতে হচ্ছে। পিএসসি সেখানে কিন্তু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এর থেকে অনেক সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। অনেক কাজ হচ্ছে গোপনে গোপনে। কিন্তু লোকজন ধরে রাখতে পারছি না।

   

ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে মতিঝিল থানা পুলিশ।

মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর জানান, বিকেলে খবর পেয়ে ফকিরাপুল ট্রাফিক সিগন্যালের পাশের রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আগে থেকেই ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির বাঁ পায়ের কিছু অংশ ছিল না। লাঠি দিয়ে ভর দিয়ে চলাফেরা করতেন।

তিনি জানান, রোগে আক্রান্তের পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও মৃত্যু হতে পারে।

তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভিক্ষুক প্রকৃতির। ফকিরাপুল এলাকাতে ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং ওই এলাকায় থাকতেন।

;

লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে দিঘিরহাট নামক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা একটি বালু বোঝাই ট্রাক একটি যাত্রীবাহী ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যান চালক সহ গুরুতর আহত হয় ৬ জন।

তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাইয়ুম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। বাকি ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে এবং হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মৃত আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিন ধুবনী এলাকায়।

ঘাতক ট্রাকটিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে সিংগীমারি ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়।

হাতীবান্ধা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আরিফ জানান, সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রথমে ছয়জনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।

;

অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারা কিশোর সুমন (১৬) মারা গেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সুমনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে স্বজনরা।

সুমন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের জুগিহার কাশিবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৩ মাস পূর্বে কাজের সন্ধানে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গিয়েছিলেন সুমনসহ সীমান্তবর্তী ওই এলাকার ২৫-৩০ জন কিশোর। সেখানে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে চিওড়া সরকারি কলেজের ভবন নির্মাণে লেবার হিসেবে কাজ করছিলেন তারা।

রোজার ঈদের জন্য ছুটিতে সবাই বাড়ি চলে এলো আসেননি কিশোর সুমন ও জিলানী। ঈদের পরদিন ওই এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধরের শিকার হন সুমন। পরে তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কৌশলে অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী খোকন মিয়া।

রংপুরে ৫ দিন চিকিৎসার পর সুমনের স্বজনদের উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বিশেষায়িত একটি ক্লিনিকে রেফার্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে স্বজনরা টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা না করে শুক্রবার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন সুমনকে। নিয়ে আসার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে শনিবার সকাল ১১টায় মারা যায় সুমন।

সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসিউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছিলে চিকিৎসক। সুমনের মাথা, ঘাড়ে ও দুই হাতে প্রচুর আঘাত রয়েছে। আইসিউতে প্রতিদিন ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে, এত টাকা কোথা থেকে পাবো। এজন্য গতকাল ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে এসে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছিলাম।

সুমনের বাবা আরও জানান, ঠিাকাদার খোকন তাকে চিকিৎসা বাবদ ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এরপরে আর খোঁজ নেননি তিনি। আজ সকালে মৃত্যুর খবর জানালে দাফনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পরিবারের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর নিয়ে খোকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।

আমজানখোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকালু (ডংগা) বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। ছেলেটির চিকিৎসা করানো সামর্থ নেই তার বাবার। তাই বাধ্য হয়ে তিনি ছেলের চিকিৎসা না করে বাড়ি নিয়ে আসেন। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সন্ধ্যায় সুমনের দাফন হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ কবির বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা আমাদের কেউ অবগত করেনি। তবে পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে পুলিশ আইনি সহায়তা প্রদান করবে।

;

পশু বিক্রির জন্য ৯টি অস্থায়ী হাট বসাবে ডিএনসিসি



জাহিদ রাকিব, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অস্থায়ীভাবে ৯টি হাট বসানোর পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্য হাটগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান করেছেন সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত কোন হাটের জন্য কারা দরপত্র জমা দিয়েছে সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটির গাবতলী স্থায়ী হাটের পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং, মোহাম্মদপুর বসিলা খালি জায়গা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ও খিলক্ষেত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা।

সূত্র জানায়, পূর্বের মত এবারও কোরবানির পশুর হাট পাঁচ দিনের জন্য বসানো হচ্ছে। হাটগুলোতে ক্রেতারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কোরবানির পশু কিনতে পারেন তার জন্য বিশেষব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ক্রেতারা হাট থেকে পশু কেনার পর মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েচে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে অস্থায়ীভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথ বসানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি হাটেই ক্রেতা বিক্রেতাদের বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে।

ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম জানান, দরপত্র অনুযায়ী ভাটারা খালের পাশে খালি জায়গা তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা এক কোটি ৩৭ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, উত্তরা ১৬ ও ১৭ সেক্টরের বউ বাজার এলাকা ছয় কোটি টাকা, আফতাবনগর খালি জায়গা এক কোটি ৭৪ লাখ দু' হাজার ৭২৭ টাকা, মিরপুর ইষ্টার্ণ হাউজিং এক কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০ টাকা, মোহাম্মদপুর বসিলার খালি জায়গা দু' কোটি ২০ লাখ টাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন খালি জায়গা ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ৪৪ নং ওয়ার্ডের খালি জায়গা ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও খিলেখত এলাকার পশ্চিম পাড়া খালি জায়গা ৩০ লাখ ২১ হাজার টাকায় পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ডিএনসিসির এই সম্পত্তি কর্মকর্তা জানান, ঈদুল আজহার পশুর হাট শুরুর আগে নানা ধরনের প্রস্তুতি থাকে। সকল প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই হাটের তালিকা চূড়ান্ত করে ইজারার আহবান জানানো হয়েছে। একই সাথে পশুর হাটে বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

;