আঞ্জুমানে মোশাররফের জানাজা করতে না দেয়ার ব্যাপারে যা বলল পুলিশ
ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম মোশাররফ হোসেনের প্রথম নামাজে জানাজা হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রশাসনের বাধায় রোববার (১৮ অক্টোবর) বাদ জোহর নির্ধারিত সেই স্থানে জানাজার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেন দলটির একাধিক নেতা।
পরে নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোডের নিজ বাসভবনের সামনে হয় জানাজার নামাজ। এরপরই পূর্ব নির্ধারিত স্থানে জানাজা করতে না দেয়া নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে এর নিন্দা জানান খোদ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজনও। ‘রাজনৈতিক সম্প্রতির শহর ময়মনসিংহ’ উল্লেখ করে অনেকে বিষয়টিকে একটি কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
তবে সোমবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজে দেয়া একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ বিষয়ের ব্যাখ্যা দেয়া হয়।
স্ট্যাটাসটিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের নামাজে জানাজা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ধরনের বিভ্রান্তিকর পোস্টের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে আমরাও শোকাহত। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে বিশ্ব এক জটিল সময় অতিক্রম করছে। উনি কোভিড পজিটিভ ছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই ব্যাপক জন-সমাবেশ পরিহার করে কোভিড প্রটোকল অনুযায়ী জানাজার নামাজ আয়োজনের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।’
এ ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে স্ট্যাটাসে আরও বলা হয়, ‘সবার আবেগের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, দলমত নির্বিশেষে সকলকে কোভিড সংক্রান্ত নির্দেশনা জানিয়ে দিয়ে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করা আমাদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব। তাই এ ধরনের বিভ্রান্তিকর পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হলো।’
উল্লেখ্য, শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোশাররফ হোসেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। সর্বশেষ তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়লে গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।