দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় উল্লাসিত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় উল্লাসিত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় উল্লাসিত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় দুর্গোৎসবকে দুর্গাপূজা হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ অর্থাৎ এবার কোনো উৎসব হবে না, শুধু পূজা হবে ৷ তবুও শরৎ ঋতুকে স্মরণীয় করতে খুলনায় শারদীয় দুর্গাপূজার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা শুধু দেবী বরণের।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) খুলনার মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা যায় শেষাংশের প্রস্তু‌তি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মণ্ডপ আর প্রতিমায় শেষ তু‌লির আঁচড় দিচ্ছেন শিল্পীরা। এবার খুলনায় ৯৭৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে খুলনার ৯ উপজেলায় ৮৪২টি মণ্ডপে ও খুলনা মহানগরীতে ১৩৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২১ অক্টোবর) মহাপঞ্চমীর মধ‌্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসব। এরপর ২২ অক্টোবরে ষষ্ঠী ও ২৬ অক্টোবরে বিসর্জনের মাধ্যমে সমাপ্ত হবে সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। তবে এবারের পূজায় থাকছে না জমকালো আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি, ভীড় জমায়েত বা কোনো প্রতিযোগিতা। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মন্দির প্রাঙ্গণ ও মণ্ডপে পালন হবে পূজার আচার-অনুষ্ঠান।

প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন শিল্পী

খুলনা পূজা উদযাপন পরিষদের তথ‌্যমতে, এবছর খুলনা জেলা ও মহানগরীতে মোট ৯৭৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর খুলনায় ৯৯৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ এবার ২০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে না। এরমধ্যে খুলনা মহানগরীর ৮টি থানায় ১৩৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৯৫টি, পাইকগাছা উপজেলায় ১৩৬টি, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১০৮টি, তেরখাদা উপজেলায় ১০১টি, রূপসা উপজেলায় ৭৩টি, দাকোপ উপজেলায় ৭০টি, দিঘলিয়া উপজেলায় ৬০টি, কয়রা উপজেলায় ৫৫টি, ফুলতলা উপজেলায় ৩২টি ও চালনা পৌরসভায় ১০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

খুলনার উল্লেখযোগ্য মণ্ডপগুলো হলো, দোলখোলা, শিববাড়ী, শীতলাবাড়ি, তালতলা আর্য্য কালি মন্দির, পঞ্চবীথি, আর্য্য ধর্মসভা, বড়বাজার, কয়লাঘাট কালিবাড়ি, ওমানন্দ শিবমন্ডির, মহেশ্বরপাশা বনিকপাড়া, সাহেবের কবরখানা। এছাড়া জেলার উল্লেখযোগ্য মণ্ডপগুলো হলো, রূপসা উপজেলার দুর্জনীমহল, আইচগাতি, পিঠাভোগ, বটিয়াঘাটা উপজেলার নারায়ণপুরের মহানামা যজ্ঞাস্থলী গোপাল বাড়ি, শৈলমারী, ঝড়ভাঙ্গা, হোগলাডাঙ্গা, জলমা, ডুমুরিয়া উপজেলার আন্দুলিয়া মন্ডপ, চুকনগর মালো পাড়া, খর্ণিয়া বাজার, দাকোপ উপজেলার চালনা বাজার, বউমার গাছতলা, লাউডোব, পোদ্দারগঞ্জ, লক্ষ্মীখোলা, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি মিলনমন্দির, পাইকগাছা বাজার, তেরখাদা উপজেলার আমতলা উত্তরপাড়া, দিঘলিয়া উপজেলার মাঝিরগাতি হাইস্কুল, গাজিরহাট, ফুলতলা বাজার বণিক সমিতি, জামিরা বাজার, মাতৃসেবা, দামোদর গাছতলা ও কয়রা উপজেলার আমাদি বাজার, চান্নিরচক, সুরখালী, মহেশ্বরীপুর, ভাগবা ও খড়িয়া। নারায়ণপুরের মহানামা যজ্ঞাস্থলী গোপাল বাড়ির পূজা মণ্ডপ। প্রায় সব মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ, চলছে দেবী বরণের অপেক্ষা।

প্রতিমায় শেষ তু‌লির আঁচড় দিচ্ছেন শিল্পীরা

পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রশান্ত কুন্ডু বলেন, করোনার কারণে এবছর আমরা স্বাভা‌বিকভাবে উৎসব পালন করতে পারবো না। উৎসব না হলেও পূজা ঠিকই হবে। করোনাকালে পূজার অনুষ্ঠানমালায় শুধুমাত্র ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে পূজা অর্চনা করা হবে, যা শুধুমাত্র মন্দির প্রাঙ্গণ ও মণ্ডপেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

তি‌নি আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সীমিত পরিসরে পূজা উদযাপনের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভক্ত-পূজারি ও দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা, সবার বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, দর্শনার্থীদের মধ্যে ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, পূজা মণ্ডপে নারী-পুরুষের যাতায়াতের আলাদা ব্যবস্থা করা, বেশি সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। এছাড়া সন্দেহভাজন দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখতে হবে। আতশবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। পূজা মণ্ডপে রাখতে হবে সিসি ক্যামেরা। ভক্তিমূলক সংগীত ছাড়া অন্য কোনো গান যেন বাজানো না হয়, মাইক বা পিএ সেট যেন ব্যবহার করা না হয়, পূজা মণ্ডপে প্রয়োজনের অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় কোনো দর্শনার্থী যেন না থাকে এবং সন্ধ্যার বিরতির পর দর্শনার্থীদের প্রবেশে যেন নিরুৎসাহিত করা হয়- সেসব বিষয়ও আছে নির্দেশনায়।

পূজার প্যান্ডেল

মণ্ডপের প্রতিমা শিল্পীরা জানান, প্রতিবছর পূজার সময়ে কাজের চাপে আমাদের স্নান খাওয়ার সময় থ‌াকে না। এবার একেবারেই উল্টো অবস্থা। অন্যান্যবারের চেয়ে এবারে কাজকাম অনেক কম। পূজা যেহতু স্বল্প পরিসরে হচ্ছে, তাই আমাদের বাজেটও অনেক কম। এই সময়টার জন‌্যই সারা বছর অপেক্ষায় থা‌কি। এবার শুধু একটাই প্রার্থনা, করোনা থেকে আমরা যেনো দ্রুত রক্ষা পাই।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতে দুর্গোৎসব পালিত হয়, সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের ম‌্যা‌জিস্ট্রেটরা প্রতি‌টি মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে নিরাপত্তার সকল বিষয়ে সজাগ দৃ‌ষ্টি রাখবেন। আশা কর‌ছি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, সৌহার্দ্য, শান্তিপূর্ণভাবে ও আনন্দমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সকল আয়োজন শেষ হবে।

খুলনার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে এবছর বাড়তি নিরাপত্তার ব‌্যবস্থা করা হয়েছে। পূজা চলাকালীন সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোবাইল ডিউটি, স্ট্রাইকিং ফোর্স জোরদার থাকবে। নিয়মের বাইরে এবার কাউকেই কোনো ধরনের আয়োজন করতে দেওয়া হবে না । শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের লক্ষে পূজা মণ্ডপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা, প্রয়োজনে সিসি টিভি স্থাপন, উচ্চস্বরে শব্দযন্ত্র ব্যবহার না করাসহ প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তি‌নি।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;