অবৈধ ভেসাল পেতে দেশীয় মাছের পোনা নিধন
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নিষিদ্ধ ভেসাল ও ধর্মজাল দিয়ে খাল-বিলে মাছ ধরা হচ্ছে। এতে নিধন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছের পোনা। ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে অনেক প্রজাতির মাছ। প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে এভাবে মাছ ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভেসাল ও ধর্মজাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৎস্য অধিদফতর থেকে উপজেলার উন্মুক্ত জলাশয়ের কয়েকটি পয়েন্টে রুই-কাতল-মৃগেলের পোনা ছাড়া হয়েছে। এক শ্রেণির মৎস্যজীবী খাল-বিলে ভেসাল দিয়ে এসব পোনাও ধরছে। উপজেলার কোলা, ইছাপুরা, শেখরনগর, লতব্দি, মালখানগর, জৈনসার, মধ্যপাড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে। কেবল সিরাজদিখানেই নয়, শ্রীনগর-লৌহজং ও টংগীবাড়ি উপজেরার পদ্মা সংলগ্ন সিংহেরহাটি নাগেরহাট মাওয়া কাজির পাগলা ভাগ্যকুল সব এলাকার চিত্র একই।
এ তিনটি উপজেলায় তিন শতাধিক ভেসাল, পাইন ও ধর্ম জাল রয়েছে। যার বেশিরভাগই খালের মধ্যে একটু পরপর দেখা যায়। কোনো তদারকি না থাকায় অবাধে মাছের পোনা নিধন হয়ে যাচ্ছে।
কোলা ইউনিয়নের টিটু খান, সেলিম শেখ, রুবেলসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দেশীয় প্রজাতির নানা প্রকার মাছ এখন বিলপ্তির পথে। এখন নদী-খাল-বিলে আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। আগে উন্মুক্ত জলাশয়ে, কৈ, শিং, মাগুর, সরপুঁটি, বাতাসি, টাকিসহ নানা প্রকার মাছ পাওয়া যেত। এছাড়া নদী-খাল-পুকুরে বড় মাছের মধ্যে রুই-কাতল-মৃগেল, কালিবাউস, আইড়, শোল, বোয়াল পাওয়া যেত। এখন চাষ ছাড়া এসব মাছ তেমন পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. আক্তামুন লিন্নাস বলেন, ‘ভেসাল অবৈধ। আমরা কিছু ভেসাল তুলে দিয়েছি। এখনো কিছু রয়েছে। আমরা দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তা অপসারণ করব।’