কবরস্থানের জন্য বেদেদের জমি দিলেন ডিআইজি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিকভাবে অবহেলিত ও পিছিয়ে থাকা বেদে-শান্দার সম্প্রদায়ের লোকজনের কবরস্থানের জন্য ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে বেদেদের নিকট হস্তান্তর করলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার হাট বাসুদেবপুর এলাকায় জমি হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করেন তিনি।

এ সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সমাজের মানুষেরা বেদে-শান্দার জনগোষ্ঠীকে ভিন্ন নজরে দেখে। তাদের কেউ মারা গেলে সামাজিক কবরস্থানে সচরাচর কবর দিতে দেয় না। এ কারণে বেদের বাড়ির সামনে বা অন্য কোনো স্থানে তাদের স্বজনদের কবরস্থ করতে হয়। এ কারণে মানবিক দৃষ্টি থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের কবর দেয়ার জন্য ১৩ শতাংশ জমির ব্যবস্থা করে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জমি হস্তান্তরকালে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, এএসপি সিআইডি (গাজীপুর) এনায়েত করিম রাসেল, হরিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুঈদ চৌধুরীসহ স্থানীয় বেদে পল্লীর লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

   

সব ইস্যু হারিয়ে বিএনপি এখন পাগলের প্রলাপ বকছে: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত বয়কটের নামে বিএনপি পাকিস্তানের চিন্তা চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বলে মন্তব্য করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি সব ইস্যু হারিয়ে এখন পাগলের প্রলাপ বকছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে বহুমুখী পাটপণ্যের একক মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, পাটের মত পরিবেশবান্ধব পণ্য আর একটিও নেই। পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। পরিবেশবান্ধব সোনালি আশ পাটকে কীভাবে সার্বজনীনভাবে ব্যবহার করা যায়, রফতানি বাড়ানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। জেডিপিসি ২৮২ রকম বহুমুখী পাটের পণ্য উৎপাদন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পাট শিল্পের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে পাট শিল্পের সরকারি, বেসরকারি ধারাকে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাট শিল্পের বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানো হবে আরও ৮ গুণ বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পাটভিত্তিক জিও টেক্সটাইলের বৈশ্বিক বাজারে আকার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাট পণ্য রফতানিকারক এবং সংশ্লিষ্টদের পাটের উৎপাদন থেকে শুরু করে পাটপণ্য নিয়ে গবেষণা আরও বেশি বাড়াতে হবে।

বিশ্বের মধ্যে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ দ্বিতীয় জানিয়ে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে এই শিল্পকে আমরা অনেক দূর নিতে পারব। পাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আরও কর্মচাঞ্চল্য হয়ে মেধাকে গবেষণার মাধ্যমে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে এ শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেডিপিসির আয়োজনে এ মেলায় ৩০টি স্টল বসেছে। যেখানে ১০০টির অধিক পাটের আকর্ষণীয় পণ্য তুলে ধরা হয়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট সংলগ্ন সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে তিন দিনব্যাপী এ মেলা।

আগামীতে ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা২৪.কমকে জানান জেডিপিসির প্রযুক্তি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

মেলা উদ্বোধন শেষে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী স্টল পরিদর্শন করেন এবং সবাইকে পাট মেলায় অংশগ্রহণ করে পাট পণ্য ব্যবহার ও কেনার আহ্বান জানান।

;

উপজেলা নির্বাচন

পরশুরামে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিনা ভোটেই নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছেন ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরামের জনগণ। অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নির্বাচন বিধি অনুযায়ী তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। তবে এবার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখের আগমন ঘটতে যাচ্ছে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে এ উপজেলায় ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে ৮ মে ভোটগ্রহণ করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যহারের শেষ দিনে এ দুই উপজেলায় বৈধ ১৯ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় পরশুরামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার নতুন চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন। এছাড়া এ উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিনা ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চলেছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সামছুন নাহার পাপিয়া পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এর আগেই দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

এর পেছনে কারণ আছে কীনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এবারও মনোনয়ন জমা দিয়ে দলের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। তবে কারো কোনো চাপে এ সিদ্ধান্ত নেইনি।

এছাড়া একই দিন বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইকরামুল করিম মজুমদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুর রসুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম রিটু এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নিলুফা ইয়াসমিন মজুমদার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এ উপজেলায় সবশেষ নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধি ভোট ছাড়া জয় পেয়েছেন। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কোনোটাতেই ভোট হয়নি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চে পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোট হয়নি। ওই নির্বাচনেও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা জয় পান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

;

ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু পারাপার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ও নওদা শালুয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুর মাঝ বরাবর ভেঙে লোহার রড বের হয়ে গেছে। বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে ৪০টি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ওই সেতু দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক যুগ আগে নির্মিত সেতুটি গত পাঁচ বছর ধরে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় সম্প্রতি সেতুটির একাংশ ভেঙে পড়েছে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অটোরিকশা, ভ্যানসহ হালকা যানবাহন এখনো চলাচল করছে। বর্তমানে ভাঙা অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের মাচাল বিছিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করছে। তবে খুঁটির নড়বড়ে অবস্থা। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে নলকা-শালুয়া সেতু সংস্কার বা পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও কাজ হচ্ছে না। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী মিলে সামান্য চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। যেকোনো মুহূর্তে সেতু ভেঙে মানুষের মৃত্যুসহ বড় ধরনের বিপদে পড়তে পারে।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সেতুর যাবতীয় তথ্যাদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।

এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সেতু পরিদর্শন শেষে এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত জনগণের ভোগান্তি নিরসন করা হবে।

;

'খেলনার প্যাকেটে' আমেরিকা থেকে এসেছে গাঁজার চকলেট, কেক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে একটি পার্সেল আসে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের বৈদেশিক ডাক শাখায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পার্সেলটি জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো. কার্যালয় (উত্তর)।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে বিশেষ পদ্ধতিতে প্যাকেজিং করা পার্সেলটি খুলে দেখা যায়, বাঁচাদের খেলনার প্যাকেটে আমেরিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত গাঁজার কুশ, চকলেট ও কেক। যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।

জব্দ হওয়ার পার্সেলের গায়ে থাকা একটি নম্বরের সূত্র ধরে এই চালানের সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো.রাসেল মিয়া (২০), রমজান মিয়া (২১) ও মো. ইমরান ওরফে রাজ (২০)।

তিনি জানান, পার্সেলের ভিতরে ছিলো ৬ টি প্যাকেটে। যার মধ্যে ছিলো টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ, যা আমেরিকার তৈরি। যার ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। এছাড়াও আমেরিকার তৈরি গাঁজার চকলেট টি ও ১০টি গাঁজার কেক।

মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন, গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) পল্টনের পুরাতন ডাক ভবনের বৈদেশিক ডাকের সিইডি/ডিসিএল শাখা হতে ইউএসএ'র ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে আগত একটি পার্সেল জব্দ করা হয়। পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল যুক্ত কুশ, ক্যানাবিস চকলেট ও ক্যানাবিস কেক জব্দ করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএনসি জানতে পারে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বিপুল পরিমাণের মাদকের একটি পার্সেল ডাকযোগে বাংলাদেশে আসবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডাক বিভাগের সহযোগিতার পার্সেলটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণপূর্বক পুরাতন ডাক ভবন বৈদেশিক ডাক এর সিইডি/ডিসিএল শাখা থেকে পার্সেলটি জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, পার্সেলের গায়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাপকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পার্সেলটি ডেলিভারি নেওয়ার কথা ছিলো তার। সে আরও জানায়, গ্রেফতার রমজান মিয়া তাকে পার্সেলটি টাকার বিনিময়ে রিসিভ করার কথা বলে। পরে রাসালের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রমজান মিয়াকে আশুলিয়ার আমতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রমজান মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাকে টাকার বিনিময়ে পার্সেলটি রিসিভ করতে বলেন মো. ইমরান ওরফে রাজ। পরে রমজান মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করে আশুলিয়ার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রমজান ও রাজ একে অপরের বন্ধু।


তিনি আরও বলেন, যে প্যাকেটে করে মাদকগুলো আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছিল সেগুলো ছিল বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেট। যাতে করে কেউ বুঝতে না পারে এসব প্যাকেটে মাদক রয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বিদেশ থেকে গাঁজার কেক, কুশ ও চকলেট এনে রাজধানীরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো। বিদেশ থেকে যারা এই মাদকটি বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়াতে গাঁজা সেবন বৈধ কিনা আর সেই জন্য কি বাংলাদেশে আসতে সমস্যা হয়নি এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাদকের ডিজি বলেন, ক্যালিফোর্নিয়াতে এ মাদক বৈধ কিংবা অবৈধ সেটা বিষয় না। বাংলাদেশে এই মাদক অবৈধ, তাই বাংলাদেশে এই মাদক পাঠানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে এটা অবৈধ জেনেই তারা বাচ্চাদের খেলনার প্যাকেটে মাদক পাঠিয়েছে। এই পার্সেলটি যে কোন আমেরিকান নাগরিক পাঠিয়েছেন বিষয়টি এমন নয়। ঐখানে বসবাসরত অন্য কোন দেশে নাগরিকও পাঠাতে পারেন।

আমেরিকা থেকে এই মাদক বাংলাদেশে কতবার এসেছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমেরিকার থেকে ঠিক কতবার এসেছে এ তথ্যটি এখনো নিশ্চিত নয় আমরা। তবে আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছি তারা গত এক দুই বছর ধরে এই মাদক বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানার চেষ্টা করব তাদের নেটওয়ার্ক টা কতটুকু বিস্তৃত।

এই মাদকের ব্যবহারকারী কারা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা তদন্ত করে জানার চেষ্টা করব। কি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই মাদক কেক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা খুবই মারাত্মক। এই বিষয়ে আরো সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদেরকে আমরা জানাবো।

গ্রেফতারকৃতদের বয়স অল্প। তারা এই কোটি টাকার মাদকের মূল্য কিভাবে সংগ্রহ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে একজন একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মার্কেটিং অফিসার। আমরা তদন্তে জানার চেষ্টা করব তাদের অর্থের উৎস কি এবং তারা কিভাবে অর্থ সেখানে পাঠিয়েছেন। এর সঙ্গে মানিলন্ডারিং জড়িত থাকতে পারে আমরা এ সকল বিষয়েও তদন্ত করব।

;