রোহিঙ্গাদের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে জাপান
রোহিঙ্গাদের জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে জাপান। কক্সবাজারের স্থানীয় কৃষক এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য জাপানের নতুন অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
বুধবার (২১ অক্টোবর) ডব্লিউএফপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
শরণার্থীরা ডব্লিউএফপি’র সহায়তা কার্ড ব্যবহার করে বাজার থেকে স্থানীয় কৃষকদের খাদ্যসামগ্রী নিয়মিত কিনতে পারবে। কক্সবাজার জেলার প্রায় ২,৪০০ স্থানীয় কৃষক বর্তমানে এই কর্মসূচিতে টাটকা শাকসবজি সরবরাহ করছে, যার দ্বারা এক লাখ মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, ‘খাদ্য সহায়তার মাধ্যমে সারা বিশ্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র নির্মূল করতে বিশেষ অবদানের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি ডব্লিউএফপিকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই। ডব্লিউএফপি’র এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষক এবং বাস্তুচ্যুত মানুষ উভয় সম্প্রদায়ই লাভবান হবে। আমি আন্তরিকভাবে আশা প্রকাশ করছি যে এই প্রকল্প কক্সবাজারে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের সমানভাবে সহায়তা প্রদান করবে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর আলফা বাহ বলেন, ‘কৃষকদের বাজারের এই মডেল দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, শরণার্থীদের সহায়তায় পরিচালিত কর্মকাণ্ড স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য প্রচুর অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এই বাজার উভয় সম্প্রদায়ের জন্যই লাভজনক, কারণ এর মাধ্যমে স্থানীয় খাদ্য উৎপাদনকারীদের আয়ের সুযোগ তৈরি হয় এবং অন্যদিকে শরণার্থী জনগণের খাদ্যবৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায়। অচ্ছেদ্য এক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে এই মডেল দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সামাজিক ঐক্য দৃঢ় করার ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রাখছে।’
প্রতি মাসে ডব্লিউএফপি মিয়ানমার থেকে আসা আট লাখ ষাট হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ এবং পাঁচ লাখের বেশি স্থানীয় বাসিন্দাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করে থাকে।
২০২০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। এটি বিশ্বের সব থেকে বড় মানবহিতৈষী সংগঠন যা জরুরি অবস্থায় জীবনরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি সংঘাত, দুর্যোগ আক্রান্ত ও জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার কমিউনিটিকে উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহযোগিতা প্রদান করে।